জিআরই বলতে অনেকেই মনে করেন ভার্বাল আর কোয়ান্ট। ভুলেই যান অ্যানালিটিকাল রাইটিং বলে কিছু আছে। ভার্বাল আর কোয়ান্ট এ যতটা সময় দিয়ে থাকেন অ্যানালিটিকাল রাইটিং এ অতো সময় দেওয়া ও সম্বব হয়না। একটু কৌশলী হলে অল্প সময়ের প্রস্ততিতে রাইটিং অংশে ভালো স্কোর গড়া সম্ভব। সেজন্য আপনাকে অনুসরণ করতে কিছু গাইড লাইন। যেমন-

সবার আগে পরিকল্পনা:

যে কোনো কাজে ভালো করার জন্য চাই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।জিআরই রাইটিং অংশে ভালো করার জন্য সে কারনে সবার আগে একটি পূর্ব পরিকল্পনার ছকমাথায় এঁকে নিতে হবে। লেখা শুরু করার আগে অন্তত ৩-৫মিনিট সময় নিয়ে কি লিখতে চান, কতখানি লিখতে চান তা নিয়ে ভাবতে হবে।পরিকল্পনার জন্য ৩-৫মিনিট ব্যয় করা আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছে সময়ের অপচয় বলে মনে হতে পারে। তবে এটা মনে রাখা ভালো পরিকল্পনা ছাড়া শুরু করলে হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই মাঝপথ থেকে লেখনীর ধরণ পরিবর্তন করা লাগতে পারে। কিন্তু সময়ের সীমাবদ্ধতায় মাঝপথ থেকে ফিরে এসে আবার নতুন করে গুছিয়ে উঠা সত্যিই অসম্ভব ব্যাপার।

সঠিক উত্তর নাই জানা:

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো জিআরই রাইটিং এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। আপনি যেভাবে উত্তর সাজান না কেন, যুক্তি নির্ভর হলে আপনি ভালোস্কোর পাবেন। ভালো স্কোর করার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র আপনার চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করতে হবে। পক্ষে অথবা বিপক্ষে যেখানে যেমন দরকার হবে ঠিক তেমনভাবে আপনার মতো করে যুক্তি উপস্থান করতে হবে।

মৌলিক লেখা:

রাইটিং অংশের মূল উদ্দেশ্য আপনার লেখনী ক্ষমতা কতখানি তা যাচাই করা। হতে পারে আপনার বন্ধু সাদা-মাটা ভাবে নিজের মৌলিক লেখা লিখে স্কোর ৪ থেকে ৫ পেতে পারে। আর আপনি মার্ক টোয়েন ভঙ্গিতে লিখলেও পেতে পারেন ২ অথবা ৩ স্কোর। সে কারনে নিজের মৌলিকতা বজায় রাখা ভালো স্কোর গড়ার কাজে সহায়ক।

হওয়া চাই ৩-৫ প্যারাগ্রাফ:

 রাইটিং এর জন্য ৩০ মিনিট খুব কম সময়। বেশি লেখার প্রবণতায় বানান ও ব্যাকরণিক ভূলেরপাশাপাশি এক প্যারার সাথে আরেক প্যারা মিল খাওয়াতে ব্যর্থ হওয়ার চাইতে ধীরস্থির ভাবে লেখা চালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে চেষ্টা করবেন আপনার লেখা ৩ থেকে ৫ প্যারাগ্রাফের মধ্যে সীমাব্ধ রাখতে।

চাই যুক্তির সাথে লেগে থাকা:

রাইটিং অংশের ৮০ শতাংশ লেখাই যুক্তি নির্ভর। তাই লেখার মাঝে যতদূর সম্ভব আপনার যুক্তিকে টেনে নিয়ে যেতে হবে। আপনার পূর্ব পরিকল্পনা আর যুক্তি এই দুইটি জিনিসের মেলবন্ধন ঘটাতে পারলে রাইটিং অংশে কাঙ্খিত স্কোর করা খুব কঠিন কিছু না।

বেশি বেশি উদাহরন:

যুক্তি উপস্থাপনের করার ক্ষেত্রে বেশি বেশি উদাহরন পেশ করতে হবে। আপনার লেখার মাঝে যত বেশি উদাহরন থাকবে স্কোরের দিক থেকে আপনি ততবেশি এগিয়ে থাকবেন। উদাহরন অবশ্যই প্রাসঙ্গিক ও বিজ্ঞান নির্ভর হতে হবে।

চাই কল্পনা শক্তির প্রয়োগ:

আর্গুমেন্ট রাইটিং অংশে ভালো করার জন্য আপনার কল্পনা শক্তি ভালো হওয়া বাঞ্জনীয়। আপনার কাজ হবে কয়েকটি যুক্তি থেকে যুতসই যুক্তি খুঁজে বের করা। তার পেছনের কারন উদঘাটন করা। নিয়মিত আর্গুমেন্ট রাইটিং চর্চা করার মাধ্যমে কল্পনা শক্তিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাক্যের গঠনে চাই ভিন্নতা:

লেখনীর সৌন্দর্য্য নির্ভর করে এক বাক্য থেকে আরেক বাক্যের ভিন্নতা কতখানি তার উপর। এ কাজে নতুন বাক্য শুরু করার সময় বেশি বেশি prepositional phrase ব্যবহার করা যেতে পারে। আকারের দিক থেকে বাক্য যতটা সম্ভব কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করতে হবে।

Transition word এবং phrase ব্যবহার করা:

However, On the one hand, Secondly, For instance, Nevertheless, While, Even though, Indeed এ জাতীয় শব্দ লেখনীতে যত বেশি ব্যবহার করা যায় ভালো স্কোরে তা নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।  

বানানের দিকে সতকর্তা:

যত বানান ভুল করবেন আপনার স্কোর তত কমে যাবে। প্রতি প্যারা লেখা শেষে তাই অন্তত একবার করে প্রুফরিডিং করা উচিত। কমে যাবে বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা।

বেশি বেশি চর্চা:

বেশি স্কোরের জন্য চাই বেশি বেশি চর্চা। নিয়মিত পড়তে পারেন তথ্যবহুল আর্টিকেলস। নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারেন অনলাইনে।

আরো আছে যা:

লেখার সময় চারটি ভিন্ন প্যারায় লিখা উচিত। শুরুতেই থাকা উচিত Introduction বা সূচনা। দ্বিতীয় প্যারায় Body বা মূল আলোচনা। তৃতীয় প্যারায় Qualification বা পক্ষে-বিপক্ষেযুক্তি উপস্থাপন। সবশেষ প্যারায় Conclusion বা উপসংহার দিয়ে লেখা শেষ করা উচিত। তবে আরর্গুমেন্ট টাস্কে তৃতীয় ও চতুর্থ প্যারা একেত্রে হিসেব করে মোট তিনটি প্যারা থাকা উচিত।

Passive voice পরিহার করে যতটা সম্ভব Active voice ব্যবহার করা উচিত। slang বা খারাপ শব্দ এড়িয়ে চলা। আগে সূচনা লেখা কঠিন মনে হলে মূল অংশ আগে লিখে তারপর সূচনায় আসা উচিত। এতে আপনার লেখার গতি এবং মান দুটোই বাড়বে। কখনো I believe বা আমি মনে করি এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।