স্টুডেন্ট ফিডব্যাকের ভিত্তিতে গত দশ বছরে আমরা যেসব টিচারদের বাদ দিতে বাধ্য হয়েছি তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন অতি উচ্চ স্কোরধারী। এই উচ্চস্কোরধারী টিচারদের ক্লাসেই ড্রপ আউটের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। কারণ একটাই। তারা সারাক্ষণ একটা অহঙ্কারের বলয়ে বাস করতেন বলে স্টুডেন্ট এর সাথে মানবিক সম্পর্ক, মোটিভেশন, মেন্টরিং, ক্লাসের পরে ও আগে সময় নিয়ে কথা বলা, এগুলোর তারা ধার ধরতেন না। নিজে ভালো স্কোর ধারী হবার চেয়ে ভালো মেন্টর হওয়া, বোঝাবার ক্ষমতা ও ধৈর্য আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক নির্বাচনে গ্রেক ভালো স্কোর ও ভালো মেন্টরিং ক্ষমতা এই দুইয়ের সমন্বয় রাখতে চায়, এবং অবশ্যই দ্বিতীয়টি স্টুডেন্টদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 

সম্প্রতি একজন জিআরই প্রাইভেট কোচিং প্রদানকারী ফেইসবুকের একটি গ্রুপে গ্রেক সম্পর্কে কিছু মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। এই ব্যক্তি গ্রেকের সায়েন্স ল্যাব শাখায় ফ্যাকাল্টি ছিলেন এবং প্রায় চার মাস আগে তিনি ক্লাস নেওয়া শেষ করেন। তার সাথে আমাদের সব সময়েই খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিল এবং বিদায়ের সময় সবকিছু সুন্দর ভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল। আমরা জানি তিনি তার হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি, গবেষণা এবং নিজের জিআরই কোচিং নিয়ে ব্যাস্ত রয়েছেন। গ্রেকে সেবাদানকালীন সময়ে তার সাথে আমাদের কখনো তিক্ততা হয়নি তবে তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মপ্রক্রিয়ার কয়েকটি বিষয়ে তার অভিযোগ জানিয়েছিলেন (নীচে দেওয়া হয়েছে)। আজ প্রায় চার মাস পরে তার এহেন অপবাদের কারণ আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আমরা সাধ্যমত পুরনো স্মৃতি থেকে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো এখানে লিপিবদ্ধ করছি, যা থেকে পাঠক বুঝতে পারবেন তার অভিযোগ গুলো আদৌ সঠিক কি না।

তার ফেইসবুকের দেওয়া পোস্ট:

 

এই পোস্টের মিথ্যাচার ও অসঙ্গতিগুলো পরে উল্লেখ করা হচ্ছে। গ্রেকের পক্ষ থেকে অহরহই স্টুডেন্ট, ভিজিটর, শিক্ষক এবং বাইরে থেকে বেড়াতে আসা অতিথিদের অভিজ্ঞতার ভিডিও বানানো হয়। তার নিজের জিআরই প্রস্তুতি নিয়েও একই রকম ভিডিও আমরা বানিয়েছিলাম। তার দাবী তাকে নাকি আমরা জব ইন্টারভিউ’র কথা বলে এই ভিডিওটা বানিয়েছিলাম।

 

 

গ্রেকে টিচার হিসাবে জয়েন করতে চাইলে তাকে তিনটি প্রশ্নের ভিডিও রেকর্ডিং করতে হয় (বিস্তারিত jobs.grecbd.com) যার সাথে ওই ব্যক্তির ভিডিওর কথার কোন মিলই নেই। বাকীটা বুঝে নেন। আর ফ্যাকাল্টি হিসাবে জয়েন করে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়ে যাবার পরে জব ইন্টারভিউ বিষয়টা একটু অদ্ভুতই বটে।

 

এবার দেখুন তার নিজের পোস্টের নীচেই নিজের কমেন্ট:

 

অর্থাৎ এই ”নিকৃষ্ট” প্রতিষ্ঠানের মেরুদন্ড ভেঙে দেবার জন্য অবশেষে তার মতো কেউ উঠে দাঁড়ালো বলে তিনি নিজেকে সাধুবাদ দিচ্ছেন (considering shity is a simple typo)। যেহেতু এই ব্যক্তি আমাদের প্রাক্তন সম্মানিত ফ্যাকাল্টি এবং আমাদের জ্ঞানত: তার সাথে সব সময়ই আমাদের সুসম্পর্ক ছিল, আমরা বোধ করি তিনি শুধুমাত্র তার নিজের কোচিং এর প্রমোশনের উদ্দেশ্যে উত্তেজনা বশত: ফেসবুকে এরকম পোস্ট দিয়েছেন। এই আর্টিকেলে আমরা তার প্রতিটি ভুল ও মিথ্যাচার খোলাসা করলেও সম্মানরক্ষার্থে সবখানে তার নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম। উত্তেজনা প্রশমিত হলে এবং নিজের ভুল বুঝতে পারলে উনি হয়ত পোস্টটি ডিলিট করে দিতে পারেন, কিন্তু আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অংশ হিসাবে আমরা এই পোস্টটি সংগ্রহে রাখছি। অনুগ্রহ করে তার উক্ত পোস্ট বা তার স্ক্রিনশট কোনখানে দেখলে তার নীচে গ্রেকের পক্ষ থেকে দেওয়া এই বিবৃতির লিংক প্রদান করুন।

গ্রেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে করা তার অভিযোগসমূহ (যা এই পোস্টে তিনি এড়িয়ে গেছেন)

১) কেন আমাকে ক্লাসের পরেও ফেসবুকে গ্রেকের স্টুডেন্টদের হেল্প করতে হবে? আমাকে কেন তারা মেসেজ পাঠাবে? অন্য কোথাও তো এটা নেই!

কারণ একটাই, গ্রেক অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা এবং আমরা সবার আগে স্টুডেন্টের স্বার্থ দেখি। এখনকার যুগে মানুষ যেহেতু ফেসবুকে একটা লম্বা সময় কাটায়, আমাদের তাই ফেসবুকের এই বৈশিষ্টকে সদ্ব্যবহার করে স্টুডেন্টদের পড়ালেখায় সাহায্য করতে হবে। আর নিয়োগের সময় প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয় যে তার বেতনের 75% হলো ফিক্সড। বাকী 25% আসে সরাসরি স্টুডেনট রিভিউ থেকে, প্রত্যক্ষ মেন্টরিং, ক্লাসের বাইরে সময় দেওয়া, ফেসবুকের সিক্রেট স্টাডি গ্রুপে স্টুডেন্টের পোস্টকৃত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ইত্যাদি। এটা নতুন কোন নিয়ম না। ফেসবুকের সিক্রেট গ্রুপে যা হয় তার সবকিছু হায়ার অ্যাডমিনরা দেখতে পারেন, তাই স্বচ্ছতাও অনেক বেশি থাকে। স্টুডেন্টদের কোন অভিযোগ, অসুবিধাও আমরা তাৎক্ষণিক জানতে পারি; অন্যদের মতামতও জানা যায়। এ কারণে অন্য যে কোন প্ল্যাটফর্মের চেয়ে ফেসবুকে আমরা স্টুডেন্টকে ক্লাস-পরবর্তী সেবা সবচেয়ে ভালো দিতে পারি আর তাই এটা ফ্যাকাল্টিদের জব ডিউটির একটি অপরিহার্য অংশ।

টিচারকে স্টুডেন্টের প্রাইভেট মেসেজ পাঠানো:

এই বিষয়টি ফ্যাকাল্টির নিজেকে হ্যান্ডল করতে হবে। গ্রেকের ফ্যাকাল্টি হ্যান্ডবুকে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে স্টুডেন্ট এর সাথে সম্পর্কের স্বরূপ কি হতে হবে এবং কি হওয়া যাবে না। গ্রেকের মাধ্যমে ফেসবুকের অ্যাকাউন্টের তথ্য কেউ জেনেছে এবং তারপর মেসেজ পাঠিয়েছে এই দায়ভার হাস্যকর। তার ওই আপত্তির পরে আমরা একটি পেইজ ক্রিয়েট করি, যার মাধ্যমে ফ্যাকাল্টিরা চাইলে নিজের পরিচয় গোপন রেখেই স্টুডেন্টদের সার্ভ করতে পারেন।

২) লালমাটিয়া এত বড়, সায়েন্সল্যাব এত ছোট কেন? আপনারা অফিস বড় করেন না কেন?

পাঠক নিজ দায়িত্বে বুঝে নেবেন এই ছেলেমানুষী অভিযোগের কি উত্তর হওয়া উচিত। লালমাটিয়া থেকে গ্রেকের শুরু এবং এখানেই সব বড় সেমিনারগুলো হয়ে থাকে। যা যা সুবিধা থাকা দরকার, সায়েন্সল্যাব, বনানী বা চট্টগ্রামের শাখায় তার সবকিছুই আছে।

৩) ”আজকের ক্লাস হচ্ছে না” এই কথাটা আমি স্টুডেন্টদের সরাসরি জানিয়েছি। ম্যানেজার বলেছে আমি যেন এরকম না করে আগে তাকে জানাই, সে স্টুডেন্টদের জানাবে। এ কথার মাধ্যমে আমাকে অপমান করা হয়েছে।

কারণ এটাই প্রতিষ্ঠত নিয়ম। শিক্ষক ক্লাস নিতে না পারলে তার সেটা আগে ম্যানেজারকে জানানো কর্তব্য, ম্যানেজার তখন প্রক্সি ফ্যাকাল্টির ব্যবস্থা করবেন, নাহলে ক্লাস বন্ধ রাখবেন। স্টুডেন্টদের সময়ের মূল্য আছে। একটা ক্লাস বাদ গেলে সেটা কবে কোন স্লটে হবে তা ম্যানেজারকে অনেক ঝামেলা করে মেলাতে হয়। এজন্য একজন দায়িত্বশীল কলিগের উচিত প্রচলিত নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সহযোগী হওয়া। যদিও ম্যানেজারের ওই বক্তব্যের দ্বারা কারো অপমানিত হওয়া উচিত নয়, আমরা তারপরেও দু:খ প্রকাশ করছি এজন্য যে তিনি মর্মাহত হয়েছে।

৪) একটা জিআরই প্রশ্নের ব্যাখ্যা একজন টিচার ক্লাসে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন

গ্রেকের ফ্যাকাল্টিদের নিজস্ব আলোচনার গ্রুপ আছে যেখানে তারা আলোচনার মাধ্যমে পেশাদারী মানোন্নয়ন করে থাকেন। একই প্রশ্ন একাধিক ফ্যাকাল্টি একাধিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন এবং একাধিক ভাবে সঠিক উত্তরে পৌছানো সম্ভব। আমাদের প্রতি ক্লাসে কোয়ালিটি পলিসি টানানো আছে, যার মধ্যে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে যে টিচার যদি কোন কিছু তাৎক্ষণিক ভাবে সমাধান করতে না পারেন তাহলে স্টুডেন্টদের কাছে সময় প্রার্থনা করে পরের ক্লাসে তিনি তা সমাধান করবেন। কেউই ভুলে ঊর্ধ্বে নয়। একজন ব্যক্তির ভুল ব্যাখ্যাকে ইস্যু করে ফ্যাকাল্টিদের সবাইকে দোষারোপ করা অন্যায়।

টিচারদের জিআরই স্কোর

অধিকাংশ স্টুডেন্ট যে ভুলটা করে থাকে তা হলো তারা ধরে নেয় ভালো স্কোরধারী হলেই বোধ হয় ভালো টিচার হওয়া যাবে। আসলে এটা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল। নিজে উচ্চ স্কোরধারী কিন্তু ভালো ব্যাখ্যা করতে পারেননা এমন টিচার এক-দুইটা ক্লাসের পরেই স্টুডেন্টদের বাজে রিভিউ এর শিকার হন, অতীতে অনেক দেখা গেছে। বরং, জিআরই’র মতো এত কঠিন পর্যায়ের পড়াতে স্টুডেন্টদের মোটিভেশেন ধরে রেখে তাদের সময় নিয়ে সব ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারেন এবং হায়ারস্টাডির পুরো পথে ধৈর্য্য নিয়ে তাদের গাইড হিসাবে পথ দেখাতে পারেন এমন প্যাশন রয়েছে যাদের, তাদেরই আমরা নিয়োগের সময় প্রাধান্য দেই। আমাদের এই প্রাক্তন শিক্ষকই চাক্ষুষ প্রমাণ যে উচ্চস্কোরধারী হওয়ার চেয়ে ভালো আন্ত-ব্যক্তীয় সম্পর্ক রয়েছে, টিচিং এর প্যাশন রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরই স্টুডেন্টদের বেশি দরকার। স্টুডেন্টদের যা দরকার, গ্রেক ঠিক সেটাই করে এসেছে।

আরো কিছু অসংলগ্ন তথ্য

চারমাস নাকি তার shittiest 4 months

একটা প্রতিষ্ঠানকে চেনার জন্য এক সপ্তাহই যথেষ্ট। আমাদের সবকিছুই ফেইসবুকে ওপেন। টিচার হিসাবে জয়েন করার আগেই সবাই জানে এখানে কি কি দায়িত্ব। নিজের খুশিতে চারমাস পড়ানোর পর এখন সেটা হয়ে যাচ্ছে shittiest 4 months. বাহ! প্রতিষ্ঠান নাকি টিচারদের dignity of human life এর চেয়ে টাকা বড় করে দেখে। ওয়েল, বাংলাদেশের অন্য যে কোন জিআরই কোচিং আমাদের ভগ্নাংশ পরিমাণ সেবা দিয়ে আমাদের মতই চার্জ করে। সেই বিবেচনায় গ্রেক আসলে কমই রাখে। আর অনলাইনে ভিডিও কোর্সের খরচের সাথে গ্রেকের খরচ তুলনা করাটা ভুল হবে। মাগুশ নিজেও অনলাইনে স্কাইপের মতো টিউটরিং সার্ভিস দেয় (ঘন্টায় ১০০ ডলার), তাহলে সেই বিবেচনায় গ্রেকের একটা কোর্সের খরচ হওয়া উচিত ৫ লাখ টাকার উপর (হিসাব নীচে দেওয়া হলো)।

 

 

পরিশেষে, গ্রেকের কোচিং ফি বেশি হলেও এত বেশি ফি দিয়ে এত স্টুডেন্ট গ্রেকে কোচিং করতে আসছে কেন? এত মানুষ তো একসাথে বোকা হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট, টিচার, আমলা তারা সবাই তো একই ভুল করতে পারে না। তার মানে নিশ্চই গ্রেকে এমন কিছু আছে যা তাদের ব্যায়কৃত টাকার চেয়েও দামী। ভালো সেবার সুনাম নিজের ওজনেই ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের এই প্রাক্তন শিক্ষক হয়ত তার প্রাইভেট কোচিং ছেড়ে স্টুডেন্টদের গ্রেকমুখী হওয়ার লোকসান আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।

এবার আমরা নীচে আরো কয়েকটি কারণ উল্লেখ করছি যেজন্য তিনি মনে করেন এই ”শিটি ইন্সটিটিউট” এর মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া দরকার। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই তার এই পোস্টের মাধ্যমে কারণ আমাদের আসল চিত্রটি তার অপবাদের মাধ্যমে লোকের সামনে আরো একবার তুলে ধরার সুযোগ হলো। যে প্রতিষ্ঠান প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে লাইভে তাদের কাজকর্ম দেখায়, অসংখ্য স্টুডেন্ট-শিক্ষকের হাস্যজ্জ্বল ছবি দেয়, যে কোন সেমিনার বা ক্লাসে পা টিপে টিপে টুর (tip-toe-tour) করায় যাতে একদম সত্যিকারের চিত্র সবাই দেখতে পারে, তার সম্পর্কে এরকম মিথ্যাচার বেশিক্ষণ চালানো সম্ভব নয়।

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফ্রি হায়ারস্টাডি সেমিনারের আয়োজক তারা।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… বাংলা ভাষায় বিশ্বের সমৃদ্ধতম হায়ারস্টাডির ওয়েবসাইটও তারা বানিয়েছে।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তারা সারা পৃথিবীর বাংলাদেশী স্টুডেন্ট-গবেষক-অধ্যাপকদের একটি ডাটাবেজে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যার সব তথ্যই একদম ফ্রি!

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তারা আমেরিকায় বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়মিত প্রকাশ করে সবাইকে সঠিক তথ্য জানার ব্যবস্থা করে আসছে।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তাদের ফেসবুক ফ্যান বেইজের ধারেকাছেও অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের অবস্থান নেই।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তারা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হায়ারস্টাডির তথ্য ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত ভিডিও প্রকাশ করে থাকে, যাতে ঘরে বসেও চাইলে প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তারা ওয়েবসাইটের ডাউনলোড ভল্টের পাশাপাশি 29 গিগাবাইট স্টাডি ম্যাটেরিয়াল মানুষকে ফ্রি বিতরণের আয়োজন করে থাকে, কিছু দিন পর পরই।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তার প্রাক্তন স্টুডেন্টরা আমেরিকায় পড়তে যাবার পর দেশে ফিরে আনন্দ নিয়ে নতুনদের সাথে আড্ডায় মিলিত হন, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তাদের প্রতিটি কাজ বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী বাংলাদেশীদের জন্য পজিটিভ ইমপ্যাক্ট রেখে চলেছে।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তার প্রতিষ্ঠাতার যোগ্যতার কিনারা দিয়েও বাংলাদেশের অনুরূপ প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নেই।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তারা প্রতিটি লেকচারশীটের ম্যাটেরিয়াল স্টুডেন্টদের জন্য গবেষণার মাধ্যমে বাংলায় সহজ ও উপযোগী করে নেয়।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… ক্লাসের সংখ্যা, বোনাস টোফেল/আয়েল্ট আর মডেল টেস্টের বিচারে তারা এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তাদের কোর্স মাত্র ভার্বাল বা কুয়ান্ট নির্ভর না; রয়েছে সব দিকের সুষম বন্টন।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… ভোকাবুলারির জন্য তারা অনলাইনে স্টুডেন্টএর বিশেষ স্টাডি ম্যাটেরিয়াল দিয়ে থাকে।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… ম্যাথের টপিকগুলো সহজ ভাবে বোঝার জন্য তারা ফ্রি ম্যাথ সেন্টার বানিয়েছে। রয়েছে সাম্প্রতিক জিআরই’র জন্য কঠিন ম্যাথের দুটি ক্লাস।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তাদের লেকচার ম্যাটেরিয়াল আর অনলইনের লেসনগুলো পড়লেই চলে, তার বাইরে কিছু দরকার হয় না।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… ক্লাসের পরে বাসায় বসে কেউ কোন সমস্যায় পড়লে তা ফ্যাকাল্টি অনলাইনে বিশেষ সেশনের মাধ্যমে হেল্প করেন, বাড়তি খরচ ছাড়াই।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… তারা ক্রমাগত গবেষণার মাধ্যমে জিআরই সহজ করার জন্য মূল্যবান বই প্রকাশ করে থাকে। রয়েছে সারা দেশব্যাপী হায়ারস্টাডির বই বিপনণের সেবা।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম ই-লার্নিং সিস্টেম তাদের।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে…  প্রতিটি স্টুডেন্ট ভর্তির সময়েই অনলাইন অ্যাকাউন্ট পেয়ে যান, একদম ফ্রি।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… শিক্ষার্থীর দক্ষতার অগ্রগতি অনলাইনে মনিটর করা হয়, যার দায়িত্বে সরাসরি ফ্যাকাল্টি নিয়োজিত থাকেন।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… সারা দেশ থেকে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে যোগ্যতার বিচারে কেবল সেরাদেরই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… ফ্যাকাল্টিরা নিয়মিত “ফ্যাকাল্টি ট্রেনিং” সেশনে অংশ নেন এবং পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… ক্লাসরুমে শিক্ষকের পারফরম্যান্স স্টুডেন্টরা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেডিং বা রিপোর্টিং করতে পারেন।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… বাংলাদেশর সুন্দরতম লার্নিং ফ্যাসিলিটির অধিকারী তারা।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… হায়ারস্টাডির বইয়ে গড়া সমৃদ্ধতম লাইব্রেরি তাদের প্রতিটি শাখায়।

 

এই প্রতিষ্ঠান এতই “shity” যে… জিআরই মডেল টেস্টে অংশ নেবার জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব মডেল টেস্ট ভেন্যু।