• সময়: ৪০ মিনিট। এর মধ্যে ৩০ মিনিট অডিও শোনার জন্য এবং অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় পাওয়া যাবে উত্তরপত্রে উত্তরগুলো লেখার জন্য।
  • পেপার ফরমেট: এই সেকশনের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে প্রথমে অডিও শুনে এরপর সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে উত্তরগুলো তুলতে হবে।
  • টাস্কের ধরন: ৪ ধরনের টাস্ক থাকবে।
  • প্রশ্ন সংখ্যা: ৪০ টি প্রশ্ন থাকে।
  • মার্কস: প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নাম্বার থাকে। অর্থাৎ ৪০ টি প্রশ্নের জন্য ৪০ নাম্বার থাকে।

আয়েল্টস পরীক্ষার প্রথম অংশ হলো- লিসেনিং সেকশন। অর্থাৎ টেস্ট ডে’তে যেকোন পরীক্ষার্থীকে আয়েল্টস টেস্টের যে সেকশনটির পরীক্ষা প্রথমে দিতে হবে সেটি হচ্ছে লিসেনিং সেকশন। এই সেকশনটির পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীকে মোট ৪০ মিনিট (প্রায়) সময় দেয়া হয়। যার মধ্যে প্রথম প্রায় ৩০ মিনিট সময় থাকে পুরো অডিওটি শোনার জন্য এবং পরবর্তীতে আরও ১০ মিনিট সময় দেয়া হয় উত্তরপত্রে উত্তরগুলো তোলার জন্য।

আয়েল্টস একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং এই দুই ধরনের টেস্টের জন্যই লিসেনিং সেকশনের পরীক্ষা একই হয়ে থাকে। আয়েল্টস একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং এর মধ্যে পার্থক্য জানতে ক্লিক করুন এখানে

আয়েল্টস লিসেনিং সেকশনে ৪ টি পার্ট থাকে অর্থাৎ ৪ টি ডিফারেন্ট অডিও প্লে করা হয়। এই প্রতিটি পার্টের জন্য ১০ টি করে প্রশ্ন থাকে। তাহলে আয়েল্টস টেস্টের লিসেনিং পার্টে সর্বমোট প্রশ্ন থাকছে ৪০ টি। আর প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকে ১ নাম্বার।

পরীক্ষার প্রথমেই অডিও প্লে করার ঠিক আগ মুহুর্তে আপনাকে প্রশ্ন দেয়া হবে। যেখানে আপনি পেন্সিল দিয়ে টুকিটাকি নোট করে রাখতে পারবেন কিংবা উত্তরের জন্য নোটস নিয়ে রাখতে পারবেন। (লিসেনিং সেকশনের টিপস্ জানতে চোখ রাখুন আর্টিকেলটির নিচের অংশে।)

লিসেনিং সেকশনের প্রতিটি পার্টেই কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে-

পার্ট  ১  :

এই পার্টে ২ জন স্পিকার থাকেন। যেখানে যেকোন একটি নমুনা ফর্ম দেয়া হবে অথবা ব্যাংকের একটি ফর্ম দেয়া হয়। এসময় দুইজন স্পিকারের ফোনালাপ কিংবা সামনাসামনি কথা বলার মুহুর্তের রেকর্ডিং বাজানো হয়। আর পরীক্ষার্থীকে তাদের কথোপকথন থেকে তথ্য নিয়ে সেই ফর্মের তথ্য পূরণ করতে হয়।

পার্ট  ২  :

এই পার্টে একটি সাধারণ টপিকের উপর একজন স্পিকার কথা বলে থাকেন। এখানে একটি ডায়াগ্রাম দেয়া হতে পারে যে, কোন একটি ম্যাপ। এবং সেই স্পিকার ওই ম্যাপের টুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করবেন। এই বক্তব্য থেকে তথ্য শুনে প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর করতে হবে।

পার্ট  ৩  :

এখানে ২-৪ জন স্পিকার কথা বলে থাকেন। তাদের মধ্যকার কথোপকথনটি কোন ইউনিভার্সিটির লেকচার ক্লাশ হতে পারে। এবং ক্লাশে প্রফেসর তার স্টুডেন্টদের সাথে কথা বলছে এমন পরিস্থিতি থাকে। তাদের মধ্যে কথা থেকে আপনাকে আপনার উত্তরগুলো কালেক্ট করতে হবে।

পার্ট  ৪  :

এই অংশে আবারও একজন স্পিকার থাকবেন। তিনি যে কথাগুলো বলবেন তা একটি একাডেমিক কনভার্সেন হতে পারে। আর এই কনভার্সেশন থেকে যে তথ্যগুলো পাওয়া যাবে তা শেষ ১০টি প্রশ্নের উত্তরে লিখতে হবে।

আয়েল্টস লিসেনিং সেকশনে সাধারণত ব্রিটিশ একসেন্টই পাওয়া যায়। আর পার্ট ১ এবং পার্ট ২ এ জেনারেল ইংলিশ ফলো করা হয় এবং পার্ট ৩ এবং পার্ট ৪ এ একাডেমিক ইংলিশ ফলো করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এখানে যে রেকর্ডেড অডিওটি প্লে করা হবে তা শুধুমাত্র ১ বারই বাজিয়ে শোনানো হয়। অর্থাৎ কোন কারনে মনোযোগ সরে গেলে তা আর দ্বিতীয়বার শোনার সুযোগ নেই। তাই রেকর্ডিং শুরুর পূর্বে বারবার বলা হয়ে থাকে- ‘The record will play once only.’ এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তাই পরীক্ষা শুরুর সময় যখন নোট নিতে শুরু করবেন তখন খুব দ্রুত নোট নিতে হবে। কোন অংশ যাতে ছুটে না যায় এবং প্রথমবার শুনেই যেন আপনি আপনার উত্তরপত্রে নোটস থেকে উত্তর লিখে ফেলতে পারেন।

লিসেনিং সেকশনে কয় ধরনের এবং কেমন প্রশ্ন হয়ে থাকে সেসম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। আয়েল্টস লিসেনিং টেস্টের টিপস্ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে

আয়েল্টস লিসেনিং সেকশনের স্কোরিং

আয়েল্টস পরীক্ষার লিসেনিং সেকশনে রেকর্ডকৃত অডিও প্লে করা হয়। যা দিয়ে একজন পরীক্ষার্থীর ইংরেজি ভাষা বুঝতে পারার ক্ষমতাকে যাচাই করা হয়। পরীক্ষার উত্তরপত্রটি ক্যামব্রিজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাসেসম্যান্ট সরাসরি পারদর্শিতা যাচাইয়ের এই কাজটি করে থাকে। আর ৪০ টি প্রশ্নকে ১-৯ স্কেলে নিয়ে মূল ব্যান্ড স্কোর প্রদান করা হয়ে থাকে।