একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে অনেক জায়গায় অনলাইলে, স্কাইপে বা ভয়েস কলে ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। এমন বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউ দিয়েছি ২০১৫ সালে। সব গুলো ইন্টারভিউতে প্রায় একই ধরণের কিছু প্রশ্ন থাকে-
যেমন :
১. আপনি কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান?
২. আপনি কেন গ্রাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হতে চান?
৩. আপনি এই বিষয়ে কেন গবেষনা করতে চান?
৪. আপনি কি কি বিষয়ে অতীতে কাজ করেছেন সহজ কথায় একটু বর্ননা করুন?

এই ৪-৫টি বিষয়ই মূলত SOP এর গুরত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার এসওপিতে যদি ১০-১২ টা প্যারা থাকে, তবে প্রতিটি প্যারা পরের প্যারার সাথে বিশেষ ক্রমধারা রক্ষা করতে হবে। বাংলায় লিখে একটা উদারহন দেই।

প্রথম প্যারা:
ছোট বেলা থেকেই বাবা চেয়েছেন আমি বাবার মতো ইন্জিনিয়ার হই। কিন্তু আমি রসায়ন বা রসায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খুবই আগ্রহী ছিলাম। আমি এখনো আমার উচ্চমাধ্যমিক লেভেলের ধাতব মৌল সমূহের রঙিন শিখা চোখের সামনে ভাসছে। ঠিক তখনই আমি আমার জীবনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি রসায়ন বিষয় নিয়ে পড়বো। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমি ভর্তি হয়েছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ণ বিভাগে।

দ্বিতীয় প্যারা:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে কি কি বিষয় নিয়ে পড়েছেন তার মূল বিষয়গুলা উল্লেখ করবেন, আর যদি কোন গবেষণা কাজ করে থাকেন সেই কাজ গুলো বিস্তারিত লিখতে পারেন এক প্যারায় বা দুই প্যারায়। দেখুন প্রথম প্যারা, দ্বিতীয় প্যারার সাথে সংযুক্ত, হুট করে আরেক টা টপিকে যাওয়া যাবে না।

তৃতীয় বা চতুর্থ প্যারা :
এই প্যারাতে লেখা যায় আপনার যে কনফিডেন্ট সে ব্যাপারে লিখবেন ২-১ টা লাইন। তারপর বলবেন, আপনি অরগানিক কেমিস্ট্রিতে আগ্রহী। আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায় বায়ো-অরগানিক কেমিস্ট্রিতে আগ্রহী। এই প্যারাতেই লিখতে পারেন, আপনার স্বপ্ন ছিল এমন একটি স্কুলে ভর্তি যেখানে আপনার স্বপ্নটা বাস্তবায়ণ হবে, আর অমুক বিশ্ববিদ্যালয়টি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়।

শেষ প্যারা:
এই অংশে হবে, আমি অমুক প্রফেসরের সাথে কাজ করতে চাই। অমুক প্রফেসরের কাজ ও আমার খুব পছন্দ। তবে অমুক, অমুক প্রফেসরের কাজ ও আমার খুব ভালো লাগে। আমি আরো অনেক কিছু শিখতে চাই। নিজের জানা সব কিছুকে কাজে লাগিয়ে মানবতার জন্য কাজ করতে চাই।
কোন ভাবেই, শুধু একজন প্রফসরের নাম দিলেই হতে পারে বিপত্তি।
এসওপি সম্পর্কিত আরও আর্টিকেল পড়তে ক্লিক করুন- এখানে