বিদেশ যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হলো পাসপোর্ট তৈরি। উচ্চশিক্ষার জন্য পাসপোর্ট বানানো জরুরী হয়ে পড়ে। জিআরই, আয়েল্টস কিংবা টোফেল পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার হলে অবশ্যই পাসপোর্ট সাথে থাকতে হয়।

বর্তমানে পাসপোর্ট তৈরির সবচেয়ে সহজ উপায় হলো অনলাইনে আবেদন করা। অনলাইন পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে শুরুতেই ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা+ ১৫% ভ্যাট। জরুরী পাসপোর্টের জন্য ৬,০০০ টাকা+ ১৫% ভ্যাট।

টাকা জমা দেওয়ার মানি রিসিট জমা রাখতে হবে। কেননা ব্যাংকের নাম, শাখা এবং রিসিট নাম্বার অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করার সময় এই তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।

অনলাইনে ফর্ম পূরণ

এ কাজের জন্য শুরুতেই বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে ভিজিট করতে হবে এবং সেখানে যে সব নিয়মকানুন দেওয়া আছে সেগুলো ভালোভাবে পড়ে এবং বুঝে নিয়ে পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

নির্দেশনা পাতার নিচের দিকে I have read the above information and the relevant guidance notes অপশনটি continue ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যাওয়া যাবে।

এই পেজে নিচের মতো একটি ফর্ম আসবে । যেখানে আপনার সব দরকারি তথ্য ইনপুট দিতে হবে।

Untitled-1

উপরের ফর্মে দরকারি তথ্য ইনপুট দিয়ে Save and Next এ ক্লিক করলে দ্বিতীয় ধাপের পেইজ চলে আসবে।

Screenshot_1

উপরের ফর্মে দরকারি তথ্য ইনপুট দিয়ে Save and Next এ ক্লিক করলে এবার তৃতীয় ধাপের পেইজ চলে আসবে।

stage 3

এই ধাপে উপরের ফর্মে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Save and Next এ ক্লিক করলে PASSPORT APPLICATION – REVIEW ENROLMENT SUMMARY পেজ ওপেন হবে।

এই ধাপে সকল তথ্য শেষবারের চেক করে নিয়ে Save বাটনে চাপলেই একটি পেজ আসবে যা পিডিএফ ফর্মেটে পিসিতে Save করতে হবে। এসময় ইমেইল এ Online application ID: OA0************ আইডি এবং পাসওয়ার্ড চলে যাবে। যা দিয়ে পরবর্তীতে পাসপোর্ট ট্রাকিং করা যাবে।

ফর্ম পূরণ পরবর্তী ডকুমেন্ট সংগ্রহ

অনলাইনে ফর্ম পূরণের শেষ ধাপে পাওয়া পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট (২ কপি) করতে হবে। প্রিন্ট হয়ে যাওয়ার পর কালো কালির কলম দিয়ে প্রথম পাতায় আবেদনকারীর নাম বাংলায় লিখতে হবে এবং তৃতীয় পেজের নিচে ‘অঙ্গীকার নামা’ অংশে স্বাক্ষর করতে হবে।

প্রিন্ট কপি কালার বা সাদাকালো যেকোনটি করলেই হবে। তবে একটি প্রিন্ট করে তা ফটোকপি করিয়ে দুটি আলাদা ফর্ম তৈরি করতে হবে। এসময় ব্যাংক এ টাকা জমার রশিদের ২ কপি ফটোকপি করাতে হবে।

একটি আলাদা ফাইল বানিয়ে ফেলতে পারেন। যার মধ্যে পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টগুলো রাখতে পারেন। এই ডকুমেন্টগুলোর মূল কপির সাথে ২ কপি করে ফটোকপি নিচের ক্রম অনুসারে পাসপোর্ট ফর্মের সাথে সাজিয়ে রাখুন।

পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

১. জন্ম নিবন্ধন

২. জাতীয় পরিচয়পত্র (অবশ্যই দেয়া উচিত যদি থাকে)

৩. কমিশনার সার্টিফিকেট

৪. বর্তমান ঠিকানার বিদ্যুৎ বিলের কপি

৫. স্টুডেন্ট আইডি কার্ড

ফর্ম প্রসেসিং এবং সত্যায়িত করণ

ফর্ম প্রসেসিং এর প্রথম পর্যায়ে নিচের ছবিতে লাল চিহ্নিত অংশে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

passport form

এবার ফর্মের উপরে ডান পাশে বারকোডের নিচে ছবিতে চিহ্নিত অংশে আঠা দিয়ে ব্যাংক রশিদের মূল কপিটি লাগাতে হবে।

passport form (1)

ব্যাংকের মূল রশিদটি একটি ফর্মে লাগাতে হবে এবং অপর ফর্মে রশিদের ফটোকটি ওই সাইজের করে কেটে লাগাতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, ব্যাংক রশিদ আঠা দিয়ে লাগানোর সময় তা যেন বারকোডের উপর চলে না যায়। বরং ছবিতে দেখানো অংশে আঠা লাগাতে হবে।

সত্যায়িত করানোর পূর্বে ফর্ম এবং সাথে আনুসাঙ্গিক ডকুমেন্টগুলো স্টাপলার করে ২ কপি পৃথক ফর্ম বানাতে হবে। কোন ব্যক্তিকে দিয়ে সত্যায়িত করানো যাবে তা ফর্মেই উল্লেখ করা থাকে। এই পর্যায়ে ছবির উপর এবং ফর্মের নির্দিষ্ট সত্যায়িত করণের ঘরে সত্যায়িত করাতে হবে।

দুটি ফর্মেই একই ভাবে পৃথক সত্যায়িত করতে হবে। সাধারণত যারা সত্যায়িত করে থাকেন তাদের বিষয়টি জানা থাকে। তবুও সতর্কতার জন্য নিজের জেনে রাখা ভাল।

লক্ষ্যনীয় দিক

টাকা জমা দিয়ে আসার পর যেকোন দিন ফর্ম পূরণ করা যায়। তবে অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের মেয়াদ থাকে ১৫ দিন। তাই টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে তা ১৫ দিনের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়।

এই ফর্মে লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার নামের বানান এবং নামের কোন অংশ কোথায় হওয়া উচিত সেইদিকে। এই বিশদ ধারণা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় এই ওয়েব সাইটের নাম বিষয়ক আর্টিকেল পাসপোর্ট,সার্টিফিকেট ও জিআরই অ্যাকাউন্টে নামের ভিন্নতা পড়ে নিলে।

পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা

ফর্ম পূরণ, আনুসাঙ্গিক ডকুমেন্ট যুক্ত, ফর্ম প্রসেসিং সত্যায়িত করণের পর এবার ফর্মটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার পালা। তবে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পূর্বে কিছু জিনিস সাথে অবশ্যই নিয়ে যাওয়া উচিত। নয়তো ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।

প্রথমেই আনুসাঙ্গিক ডকুমেন্টের মূল কপির সাথে আরও ১ কপি ফটোকপি, কালো কালির কলম, আঠা এবং স্টাপলার নিতে ভুলবেন না। ওই দিনই আপনার ছবি তোলা হবে তাই ফরমাল পোশাক এবং সাথে পানির বোতল, রুমাল নিয়ে যাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি শুকনো খাবার, ছাতা, চিরুনী এবং মেকাপের প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় প্রসাধনীও নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

ভোর সাড়ে ৭টার মধ্যেই পাসপোর্ট অফিসের বাইরে মূল ফটকের সামনে চলে যাওয়া উচিত। সেসময় গিয়েও হয়তো ৫০ জনের পেছনে লাইনে দাঁড়াতে হতে পারে। তবে লাইনে দাড়ানোর পূর্বে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করে নেয়া উচিত কিসের লাইন।

অনলাইন এবং হাতে লেখা সকলেই একই লাইনে দাড়িয়ে ফর্ম জমা দিতে হয়। তবে মহিলা এবং পুরুষের লাইন ভিন্ন হয়। এসময় দালাল এবং অপ্রাপ্তবয়ষ্ক হকাররা বেশ ডিস্টার্ব করে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। সম্ভব হলে কলম, আঠা এবং স্টাপলার দিয়ে অন্যকে সাহায্য করা উচিত।

সকাল ৯টার পর শুরু হয় পাসপোর্ট অফিসে ভেতরে প্রবেশ করানো। ভেতরে লাইন ধরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করিয়ে থাকেন। শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে প্রবেশের পর পাসপোর্ট কার্যালয়ে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্য ৫-৬ জন করে ধীরে ধীরে প্রবেশ করান।

পাসপোর্ট কার্যালয়ে প্রবেশের সময় দরজার পাশেই টেবিলের সামনে দুটি ফর্মই অফিসারের কাছে জমা দিয়ে ওখানেই অবস্থান করে স্বাক্ষর করিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেখান থেকে বলে দিবে কোথায় যেতে হবে। সাধারণত ২ তলায় যেতে হয়।

দরজা দিয়ে প্রবেশের পর সোজা সিড়ি দিয়ে দোতলায় গিয়ে আরেকটি লাইনে দাড়াতে হয়। সেখানে পুনরায় একজন অফিসারের কাছে ফর্ম দুটি জমা দিতে হবে। এসময় তিনি হয়তো ২-১টা প্রশ্ন করতে পারেন। ঠিক ভাবে কনফিডেন্সের সাথে উত্তর করতে হবে। তিনি স্বাক্ষর করে পুনরায় ফর্ম ফিরিয়ে দিয়ে বলে দেবেন এরপর কোথায় যেতে হবে।

সাধারণত এরপর ৫ তলায় যেতে হয়। সেখানে গিয়ে পুনরায় লাইনে দাড়াতে হয়। এটিই হচ্ছে পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমার শেষ ধাপ। এখানে আপনার বায়োমেট্রিক এবং ছবি তোলা হবে।

এসময় লাইনে দাড়ানো অবস্থায় হাতের ডানেই আয়না আছে দেখে নিয়ে নিজেকে ছবি তোলার জন্য পরিপাটি করে নিতে পারেন। এরপর রুমের ভেতরে প্রবেশের পর যেকোন একটি কম্পিউটারের সামনে বসতে হবে। অপর প্রান্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে শেষবারের মতো ফর্ম জমা দিতে হবে। এরপর প্রথমে ছবি তোলা হবে এরপর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে।

সবশেষে, তিনি একটি প্রিন্ট কমাণ্ড দেবেন। প্রিন্ট হওয়া কপিটি নিয়ে রুম ত্যাগের পূর্বে সব তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। তাহলেই সকল কাজ শেষ! বাইরে লাইনে দাড়িয়ে থাকার সময় বাদ দিলে ফর্ম জমা দেয়ার এই পুরো কাজটা করতে সময় লাগবে ১-২ ঘন্টা।

আমার টিপস – অনলাইনে একাউন্ট খোলার পরপরই আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেবে । সেটা সংরক্ষণ করুন। আর ছবি তোলার জন্য যেদিন সময় দেবেন সেদিনটা ফ্রি রাখবেন। সময় লাগতেও পারে এই দিনে যদি মানুষ বেশী হয় ।

প্রথম ধাপ : ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া

সোনালী ব্যাংকের কলেজ গেইট শাখায় পাসপোর্ট আবেদনের ফি হিসাবে টাকা জমা দিতে পারেন। যাদের বাসা দূরে তারা পাসপোর্টের টাকা জমা নেয় এমন নিকটবর্তী সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকা জমা দিতে পারেন। রেগুলার ফি ৩০০০/- টাকা ( ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) আর ইমারজেন্সি ফি ৬০০০/- টাকা ( ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে)। সাথে ব্যাংকের ফি বাবদ হয়তো কয়েকটা টাকা অতিরিক্ত দিতে হতে পারে।

প্রথমেই টাকা জমা দেয়া প্রয়োজন এই কারণে , অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় তৃতীয় ধাপে টাকা জমা দেয়ার তথ্য উল্লেখ করার প্রয়োজন হবে। টাকা জমা দিয়ে আসার পর এবার অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে বসতে পারেন। এক্ষেত্রে আর্টিকেলের প্রথমেই যে ধাপগুলো রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করুন।

দ্বিতীয় ধাপ : ফর্ম পূরণ

তৃতীয় ধাপে পাসপোর্টের টাকা জমা দেয়া সংক্রান্ত অর্থাৎ মানি রিসিপ্ট এর তথ্য দিতে হবে। যদি আপনি টাকা জমা দিয়ে থাকেন তবে এখানে ব্যাংকের নাম, লোকেশন এবং শাখা নির্বাচন করুন। এছাড়াও সাথে টাকার পরিমান, তারিখ এবং মানি রিসিপ্ট নাম্বার দিয়ে তথ্য পূরণ করুন। ব্যাংকের রিসিপ্ট নাম্বার বলতে রিসিপ্টের উপর কালো কালি দিয়ে লেখা ৬ সংখ্যার ডিজিট। এখানে অনেকেই ভুল করে টাকা জমা নেয়ার সময় হাতে লিখে দেয়া নাম্বারকে রিসিপ্ট মনে করেন।

যদি টাকা এখনও জমা না দিয়ে থাকেন তবে Skip Payment অপশন সিলেক্ট করতে পারেন। তবে টাকা জমা দিয়েই অনলাইনে ফর্ম পূরণ করা উচিত। কারন সার্ভারে এভাবে স্কিপ করে গেলে তথ্য জমা নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে টাকা জমা দিয়ে এই সকল ধাপ পূনরায় পূরণ করতে হয়।

তৃতীয় ধাপ: অন্যান্য আলোচনা

ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দেয়া উচিত। নাহলে পরবর্তীতে ভেরিফিকেশনের সময় নানান অপ্রত্যাশিত বিব্রতকর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। লাইনে দাড়িয়ে সঠিকভাবে ফর্ম জমা দেয়া উচিত। আর সময় তাড়াহুড়ো না করে বরং ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করা।

ভেরিফিকেশন পর্যায়

পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন পর্যায় হচ্ছে সব থেকে ভোগান্তির এবং বিব্রতকর পর্যায়। সাধারণত পাসপোর্ট ফর্ম জমা দেয়ার ৩-৪ কার্য দিবসের মধ্যে একটি ফোন আসবে। সেই ফোনে জানানো হবে কবে ভেরিফিকেশনের জন্য অফিসার আসছেন।

যে সময়ের উল্লেখ করবেন সে সময়ে তিনি আসবেন। তবে অধিকাংশ সময়ই বাসায় না এসে বরং নিকটবর্তী কোন জায়গায় ভেরিফিকেশনের জন্য ফোন গিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া যায়। এসময় যে ডকুমেন্টসগুলো ফর্মের সাথে জমা দিয়েছেন তার মূল কপি দেখাতে হতে পারে।

কিছু অপ্রাসঙ্গিক এবং বিব্রতকর প্রশ্নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা উচিত। তিনি যাতে প্রশ্ন করে না আটকাতে পারে সে অনুযায়ী কনফিডেন্সের সাথে সৎ ভাবে উত্তর করতে হবে।

পাসপোর্ট হাতে পাওয়া

সকল ধাপ শেষ হয়ে গেলে প্রায় ২০-২৫ কার্যদিবসের মধ্যেই মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে পাসপোর্ট হয়ে গেছে এবং সংগ্রহের তথ্যটি জানানো হয়। এর আগে এই লিংক থেকে পাসপোর্ট এখন কোন পর্যায়ে আছে তা জেনে নিতে পারেন। ইমেইলে পাঠানো আইডি, জন্মতারিখ এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে লগইন করতে হবে।

পাসপোর্ট ফর্ম জমা দেয়ার দিন একটি প্রিন্ট কপি দেয়া হয়েছিল সে কপিতে একটি সম্ভাব্য তারিখের (Tentative Date) উল্লেখ থাকে। সে ডেট এর হয়তো ২-৩ দিন আগে/ পরেই মোবাইলে এসএমএস চলে আসে। তবে মোবাইলে এসএমএস না আসার আগে পাসপোর্ট আনতে যাওয়াটা বোকামি।

মোবাইলে এসএমএস চলে আসলে এবার সেই প্রিন্টেড কপিটি নিয়ে যথারীতি ভোর ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে পাসপোর্ট অফিসের সামনে যেয়ে লাইনে দাড়াতে হয়। তবে এবার লাইনটি হয় ভিন্ন। কর্তব্যরত সেনাবাহিনীর অফিসার এরপর গাইড করবেন। তিনি লাইন থেকে ৫ জন করে দোতলায় পাঠাবেন (এবার অন্য পাশের সিঁড়ি দিয়ে)।

সেখানে গিয়ে কাউন্টারের সামনে লাইনে দাড়াতে হবে। কাউন্টারে প্রিন্টেড সেই কপিটি জমা দিলে তিনি কিছুক্ষণ পাশের বেঞ্চে বসতে বলবেন। পরে মাইকে নাম ধরে ডাকা হলে কাউন্টারে গিয়ে আপনার জমা দেয়া সেই ফর্মের শেষ পাতায় গ্রহণের স্বাক্ষর এবং তারিখ দিয়ে জমা দিলেই অফিসার পাসপোর্ট হাতে দেবেন।