সাধারণত GRE/TOEFL/IELTS পরীক্ষার পর পরই শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন পর্ব। অনলাইনে আবেদনে বেশ কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। দরকার হয় অনেক রকম তথ্য। নতুন অবস্থায় একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে হয়তো এসব তথ্য অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর মতো দুর্বোধ্য মনে হতে পারে।  তবে আবেদনের আগে কি কি তথ্য লাগতে পারে ? কোন তথ্য এবং কতটুকু তথ্য লাগতে পারে? এসব জানা থাকলে অনেক সহজে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। প্রয়োজনে আবেদন করার আগেই দরকারি সব তথ্য সাজিয়ে সিভি বানিয়ে রাখা যায়।

যেসব তথ্য লাগবে: অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন পত্র সাধারণত একই রকম তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হয়। তবে সামান্য কিছু তথ্য বাড়তি  চাইতে পারে অথবা কম চাইতে পারে। সে কারনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদনে দরকারি সাধারণ তথ্যগুলো নিচে দেখানো হলো:

১) আপনার পরিচিতি: আবেদনে সবার আগে দরকার হবে আপনার নিজের পরিচিতি। যেমন-

  • নাম (Full Name)- Passport এবং Certificate এ যেভাবে আছে ঠিক সেভাবে
  • বর্তমান ঠিকানা (Present Address)
  • স্থায়ী ঠিকানা (Permanent Address)
  • মোবাইল নাম্বার (Contact Number)
  • ই-মেইল আইডি (Email ID)- ইয়াহু ই-মেইল আইডি থেকে পাঠানো ই-মেইল অনেক সময় স্প্যাস হিসাবে দেখায়। সে কারনে জিমেইল আইডি সবচেয়ে নিরাপদ। কেননা এই ই-মেইল আইডি ধরেই পরবর্তীতে আপনার সাথে যোগযোগ করা হবে।

Screenshot_1

২) শিক্ষাগত যোগ্যতা: আপনার পরিচয় পর্ব শেষ। এবার পালা আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বলার। এই অংশে থাকা উচিত-

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম (Name of Graduation University)
  • একাডেমিক বছর (Academic Year)-  কবে থেকে শুরু করেছেন এবং কবে শেষ করেছেন
  • পাশের বছর (Passing Year)
  • রেজাল্ট/সিজিপিত্র (Result/CGPA)
  • আলাদাভাবে শেষ দুই বছরের সিজিপিত্র (খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ই এভাবে দেখাতে বলবে)

Screenshot_1

৩) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র: অনেক বিশ্ববিদ্যায় আছে যারা আবেদনের সময়ই আপনার ট্রান্সক্রিপ্ট/Mark Sheet দেখতে চাইতে পারে। তবে Mark Sheet না ট্রান্সক্রিপ্ট কোনটা লাগবে সে সম্পর্কে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের CREDENTIALS (ক্রিডেন্টশিয়াল আপলোড করার আলাদা ঘর থাকবে) অপশনে যাওয়া মাত্রই বুঝা যাবে। এখানে আপনার ক্রিডেন্টশিয়ালের স্ক্যান কপি পিডিএফ ফাইল আকারে আপলোড করতে হবে।  তাই আপনি চাইলে নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে পারেন যাতে সময় মতো হাতের নাগালে পাওয়া যায়-

  • ট্রান্সক্রিপ্ট এর পিডিএফ কপি
  • Mark Sheet এর পিডিএফ কপি

Screenshot_1

৪) আপনার আগ্রহ:

  • পড়াশুনার বিষয়- কোন বিষয়ের উপর আপনি পড়াশুনা করতে আগ্রহী
  • সেমিস্টার- কবে থেকে শুরু করতে চাচ্ছেন (Semester Selection)
  • ইতিমধ্যে কোন Department এর প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ হয়েছে কিনা

৫) স্ট্যান্ডার্ডের মাপকাঠিতে আপনি কতটা এগিয়ে: বিভিন্ন মানদন্ড নির্ধারণকারী পরীক্ষা আপনি কতটা সফল সে সম্পর্কে জানতে চাইবে। যদিও এসব পরীক্ষার স্কোরের তালিকা সরাসরি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থেকেই প্রিন্ট কপি আকারে আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে যাবে। এরপর আপনাকে আবেদনের সময় তথ্যগুলো দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে-

  • GRE: জিআরই স্কোর (প্রতিটি সেকশনের স্কোর আলাদা করে দেখানো উত্তম)
  • TOEFL: টোফেল স্কোর (প্রতিটি সেকশন আলাদা করে)
  • IELTS: আইয়েল্টস স্কোর (প্রতিটি সেকশন আলাদা করে)

Screenshot_1

৬) আপলোড: আবেদনের সবশেষ ধাপ হিসেবে আপনার  দরকারি কিছু ডকুমেন্ট আপলোড করতে বলা হবে। যেমন-

  • আপনার পূর্ণাঙ্গ সিভি (পিডিএফ কপি)
  • এসওপি (SOP) -পিডিএফ কপি
  • লেখনীর নমুনা- এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন পাবলিকেশন থাকে তবে তার পিডিএফ কপি আপলোড করতে হবে

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.