ম্পিউটারে আয়েল্টস পরীক্ষা

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা আয়েল্টস টেস্ট এখন চাইলে কম্পিউটারেও দেয়া যাবে। কম্পিউটারে দেয়া যায় বলে এই আয়েল্টস পরীক্ষাকে বলা হয় Computer-delivered IELTS বা Computer-based IELTS. সংক্ষেপে আবার এই পরীক্ষাকে বলা হয় CD IELTS.

২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে যথাক্রমে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপির অধীনে কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষা চালু হয়েছে। ফলে এখন থেকে পেপার-বেজড এবং কম্পিউটার-ডেলিভার্ড উভয় ধরনের আয়েল্টস পরীক্ষাতেই অংশ নেওয়া যায়।

সিডি আয়েল্টস এর টেস্ট ফরমেট কেমন?

পেপার-বেজড এবং কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষার প্রশ্ন ফরমেটে কোন পরিবর্তন নেই। কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষায়ও লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং সেকশনের উপর পরীক্ষা হয়।

এছাড়াও কম্পিউটারে লিসেনিং, রিডিং ও রাইটিং পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু স্পিকিং টেস্ট যথারীতি পূর্বের মতো একজন ইন্টারভিউয়ার নিয়ে থাকেন।

পূর্বে যেমন আয়েল্টস পরীক্ষার দিনে শুধুমাত্র লিসেনিং, রিডিং ও রাইটিং সেকশনের পরীক্ষা হতো এবং স্পিকিং টেস্ট নেওয়া হতো অন্য একটি দিনে। তবে কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষায় স্পিকিং সহ বাকি সেকশনগুলো হয়ে যায় একই দিনে।

সিডি আয়েল্টস পরীক্ষার তারিখ পাওয়া সহজ না কঠিন?

কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষার ডেট পাওয়া খুবই সহজ। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৩-৬ দিনে পরীক্ষা দেওয়া যায়।

এছাড়াও একই দিনে মূলত ২ টি পৃথক সেশনে পরীক্ষা দেওয়া যায়। সাধারণত প্রথম সেশনের পরীক্ষা থাকে সকাল ৯ টায়। দিনের অন্য সেশনটি হতে পারে দুপুর দেড়টায় বা সন্ধ্যা ৬ টায়।

* প্রতি সপ্তাহে বা মাসে কতগুলো দিনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে বা কতগুলো সেশনে পরীক্ষা হবে- তা মূলত ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে।

সিডি আয়েল্টস পরীক্ষার ফি কত এবং রেজিস্ট্রেশন করবো কিভাবে?

কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষা এবং পেপার-বেজড রেগুলার আয়েল্টস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি একই। অর্থাৎ, রেজিস্ট্রেশন ফি ১৭,০০০ টাকা। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতিও রেগুলার আয়েল্টস এর মতোই।

সিডি আয়েল্টস পরীক্ষার স্কোর কত দিনের মধ্যে পাওয়া যায়?

কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষার স্কোর জানা যায় মাত্র ৫-৭ দিনের মধ্যেই। আর পেপার-বেজড রেগুলার আয়েল্টস পরীক্ষার স্কোর পাওয়া যায় ১০-১৩ দিনের মধ্যেই।

সিডি আয়েল্টস এ কারা অংশ নিবেন?

কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান রয়েছে এমন যেকোন পরীক্ষার্থীই কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে কম্পিউটার ব্যবহারে দুর্বলতা থাকলে পেপার-বেজড আয়েল্টস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া উচিত।

পেপার-বেজড আয়েল্টস পরীক্ষার তুলনায় সময় কম প্রয়োজন হয় কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস পরীক্ষায়। সেই সাথে পরীক্ষার ডেট অনেক বেশি এবং সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে স্কোর পাওয়া যায় বলে সময় হাতে কম থাকলে কম্পিউটার-ডেলিভার্ড আয়েল্টস টেস্টে অংশ নেওয়া যেতে পারে।