আমেরিকায় উচ্চশিক্ষাপ্রত্যাশী বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের সেবায় গ্রেকের বিভিন্ন হিতৈষী কর্মকাণ্ডের সাথে আপনারা পরিচিত আছেন। জিআরই, হায়ারস্টাডির ম্যাটেরিয়াল ডাউনলোডের জন্য পৃথিবীর সমৃদ্ধতম ডাউনলোড সাইট আমরা বানিয়েছি, যা প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রয়োজন মিটিয়ে আসছে। ঘরে বসেই সবাই দরকারী ম্যাটেরিয়ালগুলো পেয়ে যাচ্ছেন এটা যেমন সত্যি, সেই সাথে অনেকের ইন্টারনেট স্পিড কম থাকার কারণে এগুলো ডাউনলোড করতে লম্বা সময় বসে থাকতে হচ্ছে, সেটাও সত্যি। সেই সাথে ইন্টারনেটের ডেটা খরচ হবার বিষয় তো আছেই। এসব ভাবনা থেকে আমাদের মাথায় একটা আইডিয়া আসলোঃ আমরা এগুলো পেন ড্রাইভ বা ডিভিডি’র মাধ্যমে সরাসরি স্টুডেন্টদের ল্যাপটপে ট্রান্সফার করে দেই না কেন? কেবল গ্রেকের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট সংজ্ঞাধারীদের জন্য এই সেবা সীমিত রাখার বদলে আমরা চাই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে। সেই পরিকল্পনা থেকেই আমরা সেপ্টেম্বর 2015 সাল থেকে শুরু করলাম এই নতুন পাগলামি।
অসংখ্যা ফিডব্যাক এবং অনুরোধের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে এই পুরনো ২৪ জিবিকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়। ডুপ্লিকেট ফাইল বাতিল করে নতুন ম্যাটেরিয়াল সংযোজন করা হয়। আপডেটেড সংকলন এবং আরো বেশি প্রাকটিস ম্যাটেরিয়াল নিয়ে আসা হয়। পরিমার্জনের জন্য আকারেও বেড়ে যায় ৫জিবি। ম্যাটেরিয়ালের সাথে মিল রেখে এই হিতৈষী কাজকে তাই নতুনভাবে ‘২৯ জিবি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল’ হিসেবে নামকরণ করা হয়।
এক কথায়ঃ
ল্যাপটপ নিয়ে আমাদের শাখায় এসে 29 গিগস ম্যাটেরিয়াল (সাবেক ২৪জিবি) একবারে ট্রান্সফার করে নিন; তারপর অপেক্ষায় থাকা পরেরজনকে সেটা পেনড্রাইভে কপি করে নিতে দিন। যাবার আগে বলে যান আমাদের কোন জিনিসটা আপনার ভালো লাগেনি এবং কোথায় ইম্প্রুভ করা দরকার।
যা করতে হবেঃ
(১) ম্যাটেরিয়াল বিতরণের আগে গ্রেকের ফেসবুক পেইজ এবং ফেসবুক গ্রুপ সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হবে।
(২) ঘোষণা অনুযায়ী আপনাকে ফ্রি’তে আগাম রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে রাখতে হবে। সম্ভাব্য তারিখের আগের দিন রেজিস্ট্রেশনকারীদের মধ্যে থেকেনির্বাচিতদের ফোন Confirmation দেওয়া হবে এবং পেইজে ও গ্রুপে তালিকা প্রকাশ করা হবে।
(৩) নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট শাখায় আপনার ল্যাপটপ নিয়ে চলে আসুন। চাইলে পেনড্রাইভ (অবশ্যই ৩২ জিবি-ভিতরে ২৯ জিবি জায়গা ফাঁকা থাকতে হবে) নিয়েও আসতে পারেন, তবে আপনাকে অন্য কোন অ্যালট্রুইস্টের ল্যাপটপ থেকে তা কপি করে নিতে হবে।
(৪) ২৯ গিগাবাইটের ম্যাটেরিয়াল আমরা ৫ বা ততোধিক আলাদা পেনড্রাইভের মাধ্যমে আপনাকে দেবো, আপনাকে কপি করে নিয়ে আবার পেনড্রাইভ ফেরত দিতে হবে। ধার নেওয়া যাবে না বা কেনাও যাবে না। এই মুহূর্তে আমাদের ৫টি পেন-ড্রাইভ প্রস্তুত আছে, যা দিয়ে এক সঙ্গে আমরা পাঁচ জনকে সার্ভ করতে পারবো।
(৫) যাদের ল্যাপটপ নেই তারা বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের কাছে থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সর্বশেষ পদ্ধতি হিসেবে পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বা পেন্ড্রাইভ নিয়ে আসতে পারেন। তবে ম্যাটেরিয়াল ট্র্যান্সফারের ব্যবস্থা আপনাকেই করে নিতে হবে। মানে যেই ব্যাক্তি ল্যাপটপ সাথে এসেছে, তার সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে কপি শেষ হলে আপনি তার কাছে থেকে ট্র্যান্সফার করে নিবেন।
(৬) যদি হাতে সময় থাকে তাহলে আরো এক বা দুইজনকে কপি করে নিতে হেল্প করুন। এটাই হলো পরোপকারিতার আনন্দ।
(৭) আমাদের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখুন, লাইব্রেরিতে বই পাবেন, নেড়েচেড়ে দেখুন। ম্যানেজার বা ফ্যাকাল্টিদের সাথে গল্প করুন। তবে চলমান কোন ক্লাসের মধ্যে অনুমতি ছাড়া ঢুকে পড়া যাবে না। ভিজিটর হিসাবে ক্লাসে অংশ নিতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান, অফিস, ক্লাসরুম, যেকোন সেবা বা সেবাপণ্য, ওয়েবসাইট ইত্যাদি সমালোচকসুলভ দৃষ্টিতে বিচার করুন।
(৮) আপনাকে একটি কাগজ দেওয়া হবে, সেখানে লিখুন আমাদের কি কি আপনার ভালো লাগেনি এবং কোথায় কোথায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে। ওয়েবসাইটের অসম্পূর্ণ আর্টিকেল থেকে শুরু করে এসি’র ঘড়ঘড় আওয়াজ – কিচ্ছু বাদ দেবেন না প্লিজ। ফ্রি সেবা নিচ্ছেন, বিনিময়ে লিখিত বদনাম করে যাবেন, হা হা হা।
(৯) রাতে ফেসবুকে বসে লিখে ফেলুন গ্রেকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন হলো। পোস্ট করুন আমাদের গ্রুপে। ব্যাস, এটুকুই!
বিশেষ নোটঃ
এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যের একটি সেবা। গ্রেকের কোন ব্যক্তি কোন ধরণের অর্থ বা উপহার গ্রহণ করবেন না। আপনি কাউকে কোন টিপসও অফার করতে পারেন না।