দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীরই। তবে নিজের/ পরিবারের টাকায় দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া ও এই খরচ বহন করা প্রায় সকলের জন্য কঠিন। তাই হায়ারস্টাডি অ্যাসপিরান্টদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেরই লক্ষ্য থাকে ফান্ডিং বা স্কলারশীপ ম্যানেজ করা।
Full Funded Admission/ MS with Full Funding:
ধরা যাক, একজন ‘X’ University তে MSc in ‘Y’ সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু Tuition Fee অনেক বেশি যা তার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি ফান্ডিং ম্যানেজ করতে GRE দিলেন, এরপর IELTS/ TOEFL দিয়ে সবশেষে Apply করলেন।
পরবর্তীতে এমএস প্রোগ্রামে অ্যাডমিশন পেয়ে গেলেন। এরপর ওভারঅল প্রোফাইল বুঝে আবেদন করলেন Tuition Fee মওকুফ করার জন্য এবং হয়ত তা মওকুফ করে দেয়া হলো ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে। তবে Tuition Fee না দিতে হলেও থাকা এবং খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। আর এই খরচের অংকটাও কম নয়।
একজন স্টুডেন্টকে টিউশন ফি না দিতে হলেও নিজের খরচ বহন করাটাও বেশ কঠিন। আর এজন্য ধরনা দিতে হয় প্রফেসরের কাছে, তার ল্যাবে কাজের জন্য। আর ল্যাবে কাজের বিনিময় পাওয়া যায় টাকা, যা দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই হয়ে চলাফেরার খরচ। এজন্য প্রয়োজন হয় ভালো একটি Profile, GRE- IELTS/TOEFL Score, Paper- Publication ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে Professor’কে পটিয়ে পাওয়া যায় Teaching Assistantship (TA) অথবা Research Assistantship (RA) অথবা Graduate Assistantship (GA)। আর প্রফেসরের অধীনে এই কাজের বিনিময়ে যে অর্থ মিলবে তা দিয়ে ম্যানেজ হয় যায় একজনের খরচ। যাকে সোজা বাংলায় বলা যায়, ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্প’।
পড়ালেখার পরে অথবা পড়ালেখার পাশাপাশি প্রফেসরের ল্যাবে প্রোজেক্টে কাজ করবেন, ক্লাস ও পরীক্ষায় নেয়ায় সাহায্য করবেন, BSc লেভেলের ছাত্রদের গাইড করবেন- এসবের বিপরীতেই দেয়া হয় অর্থ। অনেক সময় Department সরাসরি Graduate Assistantship (GA) দিতে পারে। যা সম্পূর্ণ Dept. এর সিদ্ধান্ত।
Professor এর কাছে গবেষণার জন্য যে সরকার থেকে অথবা Industry থেকে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যে Fund আসে, সেখান থেকে যখন প্রফেসর একজনকে কাজের বিনিময়ে অর্থ দিবেন এবং তাতে যদি আপনের সকল খরচাপাতি cover হয়ে যায়, তবে তাকেই বলে Fully Funded Admission.
Admission with Full Scholarship (MS):
অনেক দেশে সরকার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি Organization এবং প্রতিষ্ঠান আছে যারা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য Scholarship বা বৃত্তি প্রদান করে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি এর সাথে এমন সংস্থাদের সরাসরি সংযোগ থাকে।
এমন ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিতে Admission পেলে তারাই আপনাকে Scholarship এর জন্য বিবেচনা করবে। আলাদা ভাবে আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না। এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির দেখানো নির্দেশনা অনুসরণ করেই পাওয়া যায় এই স্কলারশীপ।
আবার কখনো Admission লেটার হাতে পাওয়ার পরে আলাদা ভাবে University/ সরকার/ সংস্থার কাছে স্কলারশীপের জন্য আবেদন করতে হয়। তাদের সিলেকশন কমিটি যোগ্য বিবেচনা করলে আপনাকে Scholarship দিতে পারে।
সাধারণত Full Scholarship পেলে আপনের Tuition Fee ওরাই দিবে। তারপর আপনার থাকা, খাওয়া, ঘুরাঘুরি,পকেট খরচ, হেলথ্ ইনস্যুরেন্স সহ সব কিছুর খরচও তারাই বহন করবে। কিছুক্ষেত্রে স্টুডেন্টের প্লেনের ভাড়াও দিয়ে দিতে পারে। মূলত, গরীব দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করাই এদের কাজ।
অর্থাৎ, আপনি শুধু ক্লাস করবেন, পড়াশোনায় মনোযোগী থাকবেন- এই দিকে মাস শেষে আপনের একাউন্টে টাকা চলে আসবে। এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোন কাজ করতে হবে না। যদি এমনটা হয় তবে তাকেই বলে Admission with Full Scholarship.
পৃথিবীর নামকরা কিছু Scholarship : Fulbright Scholarships (USA) , Erasmus Mundus Scholarship (Europe) , DAAD Scholarship (Germany) , Chevening Scholarships (UK) , SI Scholarship (Sweden) , Endeavour Postgraduate Awards (Australia), Monbukagakusho: MEXT Scholarship (Japan)
– Rajon Bhuiyan, BSc in Mechanical Engineering (RUET)
DAAD Scholar