এই আর্টিকেলটি পড়ার পরিবর্তে ভিডিও থেকেও জেনে নিতে পারেন।


Topic-Summary

আমেরিকার অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তির অন্যতম শর্ত হলো জিআরই বা জিম্যাটের মত স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট এর স্কোর থাকতে হবে। জিআরই বা জিম্যাট পরীক্ষার স্কোরের পাশাপাশি আরও প্রয়োজন হয় ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট স্কোর আয়েল্টস বা টোফেল। মনে রাখবেন, জিআরই স্কোর একটি অন্যতম ফ্যাক্টর, যার উপর ফান্ডিং ও অ্যাডমিশন নির্ভর করে। তবে তাই বলে এটাই যে একমাত্র ফ্যাক্টর, তা ভাবা ঠিক হবে না।

অ্যাডমিশন কমিটি আপনার জিআরই স্কোরের সাথে আরো যে বিষয়গুলো দেখবে সেগুলো হচ্ছে:

  • আপনার আন্ডারগ্র্যাডের সিজিপিএ
  • আপনার ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট (আয়েল্টস বা টোফেল) স্কোর কেমন
  • আপনার ওই সাবজেক্টের গবেষণা বা থিসিসের কাজের গুরুত্ব কতখানি। সোজা কথায়, গবেষণায় আপনার দখল কতখানি
  • কারা আপনার জন্য রেকমেন্ডেশন লিখেছে, সুপারিশের যোগ্য হিসাবে তারা আপনাকে কতখানি ভালো বলেছে
  • আপনার ব্যক্তিগত স্টেটমেন্ট (SOP, Statement of Purpose) কতখানি

যদি জিপিএ কম থাকে তাহলে তা ভালো জিআরই দিয়ে মেক আপ করা যেতে পারে। ‘যেতে পারে’ মানে আপনার একটা সুযোগ আছে এটাকে হাইলাইট করে অ্যাডমিশন কমিটির সুনজরে আসার। কিন্তু ভালো জিআরই মানেই যে ফান্ডিং সহ অ্যাডমিশনের গ্যারান্টি তা ভাবার সুযোগ নেই।

আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, অনেক ইউনিভার্সিটি রয়েছে যাদের অ্যাডমিশন রেকয়্যারমেন্টের মধ্যে জিআরই বা জিম্যাটের দরকারই হয় না। তবে এমন ইউনিভার্সিটি দেখে থাকে আপনার ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট স্কোর। বিশেষ করে আমেরিকার বাইরের দেশগুলো যেমন, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো বিশেষ ভাবে আয়েল্টস স্কোরের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

তাই বিশ্বের যেকোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডেড অ্যাডমিশন পেতে হলে অবশ্যই ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টে বিশেষ করে আয়েল্টস-এ ভালো স্কোর থাকা আবশ্যক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.