জিআরই পরীক্ষার ৩টি সেকশনের মধ্যে সবথেকে কঠিনতম এবং নিজেকে প্রস্তুত করতে বেশি সময় নেয় ভার্বাল রিজনিং সেকশন। জিআরই পরীক্ষায় ভালো স্কোর তুলতে হলে ভার্বাল সেকশনের সাথে যুদ্ধ করতে হয় না এমন পরীক্ষার্থী সম্ভবত খুব কমই থাকেন।
অধিকাংশের কাছেই জিআরই ভার্বাল সেকশনটি যেন ভীতির অপর এক নাম। কিন্তু তবে কৌশলী হলে ভার্বাল সেকশনের স্কোরটাও ভালো করা কঠিন নয়!
ভার্বাল সেকশানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রশ্ন পড়ে তার অর্থ বুঝতে পারা। যেহেতু আমাদের দেশের স্কুলগুলোতে ব্রিটিশ ইংলিশ ফলো করা হয়, সেহেতু ছোটবেলা থেকে আমরা এতেই অভ্যস্ত। জিআরই পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ করে নিজেকে আমেরিকান ইংলিশের সাথে খাপ খাওয়ানো তাই চ্যালেঞ্জিং। এক্ষেত্রে অনেকেই ভার্বাল সেকশনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন এবং প্রশ্ন বুঝতে না পেড়ে হতাশ হয়ে পড়েন।
১.
জিআরই পরীক্ষায় ভালো স্কোর করতে প্রয়োজন আমেরিকান ইংলিশ শব্দের অর্থ জানা ও বাক্যের গঠন বোঝা। এজন্য ধীরে ধীরে নিজের ভোকাবুলারীতে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে জিআরই পরীক্ষার জন্য যে ওয়ার্ড লিস্ট রয়েছে সেগুলো ফলো করা যেতে পারে। এছাড়াও বেশি বেশি পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও গল্পের বই পড়তে হবে। পড়ার সময় অজানা শব্দগুলোকে আলাদা করে লিখে ফেলা যেতে পারে এবং তার অর্থ জেনে নিতে হবে।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতি বোঝাতে আমেরিকানদের বাক্যের এক্সপ্রেশন কেমন হয় তার ধারনা করতে হবে। আর এই ধারনা করার অভিজ্ঞতা হয় পড়তে পড়তে।
২.
রিডিং হ্যাবিট তৈরি করতে বা আমেরিকান ইংলিশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ কিছু পত্রিকা রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত পড়লে রিডিং হ্যাবিট বাড়ে। যেমন:
- The New York Times
- The Economist
- The Atlantic
- The New Yorker
- The Wall Street Journal
- Arts & Letters Daily
এই পত্রিকাগুলোর প্রত্যেকটিরই অনলাইন ভার্সন থেকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে আর্টিকেল পড়তে হবে। তবে এখানে অনেক পত্রিকাই সাবক্রিপশন করতে বলবে। সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকলে কিনে পড়া যেতে পারে কিংবা আগের মাসের বা দিনের পত্রিকা অনলাইনে সার্চ করে ডাউনলোড করে পড়ে নেয়া যায়।
৩.
একটি নিউজ বা আর্টিকেল পড়ার সময় যে বিষয়টি ভালো লাগে সে টপিকের উপর আর্টিকেলগুলো পড়া যেতে পারে। সাধারণত একজন স্টুডেন্ট শুরুতেই আর্টিকেল নির্বাচনে যে ভুলটি করেন তাহলো, যে টপিক পছন্দ নয় বা ঢালাও ভাবে পড়া শুরু করে। এতে করে পড়তে আনন্দ না পেয়ে ধীরে ধীরে আর্টিকেল পড়াই বাদ দিয়ে দেন।
তাই যে টপিকটি পছন্দের প্রথমে সেগুলো দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে অন্যান্য টপিকের গুলোও পড়তে শুরু করা।
৪.
একটি আর্টিকেল বা গল্প পড়ার পর তা নিজেই মনে স্বারসংক্ষেপ করা বা কি বুঝতে পারলাম না যাচাই করা। এক্ষেত্রে অন্য বন্ধুর সাথে আলোচনা বা ওই টপিকের উপর গল্প করা যেতে পারে। এতে করে নিজের ভাবনার বিকাশ ঘটে।
এভাবে ধীরে ধীরে প্রতিদিন পড়ার মাধ্যমে আমেরিকান ইংলিশে আইডিয়া যেমন হবে, ঠিক তেমনি অনেক নতুন শব্দও শেখা হবে যা ভোকাবুলারি এনরিচ করতে সাহায্য করবে। এমনকি রিডিং স্পীডও বাড়বে।