বর্তমান সময়ে প্রচলিত মিথের মধ্যে অন্যতম। জিআরই পরীক্ষার জন্য টাইপ শিখবেন কি শিখবেন না-তা নিয়ে চিন্তা করার আগে নিচের বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
জিআরই পরীক্ষায় সাধারণত দুই ধরণের রাইটিং থাকে। ইস্যু এবং আর্গুমেন্ট। এই ইস্যু টাস্কের স্ট্যান্ডার্ড লেন্থ হচ্ছে আনুমানিক ৬০০ শব্দ। অন্যদিকে আর্গুমেন্টের আনুমানিক ৫০০ শব্দ। হিসেবের সুবিধার জন্য যে অংশটির লেন্থ বেশি বড় অর্থাৎ ইস্যু টাস্ক নিয়ে একটু হিসেব কষা যাক। ধরা যাক, কি লিখবেন, কিভাবে লিখবেন, কোন বিষয়ে জোর দিবেন এই বিষয়গুলো ভাবার জন্য পরীক্ষার শুরুতে আপনি ৫ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখলেন। এখন আপনার হাতে সময় অবশিষ্ট থাকবে ২৫ মিনিট। অর্থাৎ, ২৫ মিনিটের মধ্যে আপনাকে আনুমানিক ৬০০ শব্দ লিখতে হবে। হিসেব কষলে দেখা যাবে ৬০০/২৫=২৪, মানে দাঁড়াচ্ছে প্রতি মিনিটে আপনাকে আনুমানিক ২০ শব্দের উপরে লিখতে হবে।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। আপনি কি মিনিটে ২০ এর অধিক শব্দ লিখতে পারেন? যদি উত্তর হয়-হ্যাঁ তাহলে আপনাকে অভিনন্দন! আপনি অনেক এগিয়ে আছেন। আপনাকে নতুন করে টাইপ প্রাকটিস করার দরকার নেই। আর যদি আপনার স্পিড ২০ এর খুব বেশি নিচে থাকে তাহলে অবশ্যই টাইপিং প্রাকটিস করা জরুরি।
অনলাইনে অনেক ফ্রি ওয়েব সাইট আছে। এগুলো সহজেই টাইপিং স্পিড চেক করা সম্ভব। আর অফলাইনে যদি কেউ চেক করতে চান তাহলে একটি স্টপ ওয়াচ নিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে টাইপ করতে শুরু করুন। এক মিনিট পরে স্টপওয়াচ বন্ধ করে রিডিং নিন, আপনার স্পিড পেয়ে যাবেন।
চিন্তা করার মতো কোন কারন নেই। পরীক্ষার আগে একটু একটু করে নিয়মিত টাইপ করার চেষ্টা করুন। হাতের কাছে যা পাবেন (অবশ্যই ইংরেজিতে) তাই প্রাকটিস করা শুরু করবেন। এতেও কাজ না হলে বর্তমানে টাইপিং স্পিডে দক্ষ হওয়ার জন্য অনেক রকম ফ্রি সফটওয়্যার পাওয়া যায় সেগুলো ডাউনলোড করে চর্চা করতে পারেন।
- জিআরই পরীক্ষায় মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতো বানান চেকিং/অটো কারেকশনের কোন সুযোগ নেই। তাই রিডিং অংশ প্রাকটিস করার সময় নিয়মিত বানানগুলো মিলিয়ে নিবেন। অন্যথায় টাইপিং স্পিড এবং অ্যানালাইসিস করার ভালো দক্ষতা থাকার পরেও রাইটিং স্কোর কমে যেতে পারে।
- যারা নিয়মিত ল্যাপটপে অভ্যস্থ বিশেষভাবে তাদের জন্য পরীক্ষার আগে ডেস্কটপ কম্পিউটারের/ বাজারে যে কিবোর্ড পাওয়া যায় তাতে একটু হাত চালানোর মতো অভ্যাস থাকা উচিত।
সচরাচর যারা টুকটাক কম্পিউটারের সাথে অভ্যস্থ তাদের অধিকাংশেরই টাইপিং স্পিড মিনিটে ২৫+ থাকে। তাই অধিকাংশেরই নতুন করে টাইপ শেখার প্রয়োজন পড়ে না।