আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পর নির্বাচন প্রক্রিয়ার সবকিছু শেষ হয়ে যখন আপনাকে নেবার ব্যাপারে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে, কেবল তখনই আই-২০ ফরম (The Form I-20) নামের একটি বিশেষ ফরম ইস্যু করা হবে। আই-২০ হলো অ্যাডমিশনের প্রমাণপত্র।
আই-২০ মানে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটেগরির ২০ নাম্বার ফরম। বিদেশীদের ডকুমেন্টেশনের জন্য আমেরিকার সরকারী কাগজপত্রগুলো আই-অক্ষর দিয়ে শুরু হয়। যেমন, বিমান থেকে নেমে আমেরিকায় পা রাখার পর ইমিগ্রেশন পর্বে আপনাকে যে ফরমটি দিতে হবে তা হলো I-94, আবার আপনি গ্রীন কার্ডের আবেদনের আগে যে ফরমটির অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে তার নম্বর হলো I-140 ইত্যাদি। সাধারণত গ্রাজুয়েট অ্যাডমিশন স্কুল অথবা ভর্তি কমিটি নতুন আসতে চাওয়া শিক্ষার্থীর নামে এই I-20 ফরম ইস্যু করে থাকে। এ কাজে তাদের যাবতীয় সহযোগিতা দিয়ে থাকে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভিসা আবেদনের জন্য আই-২০ থাকা জরুরী।
আপনাকে বছরে কি পরিমাণ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে, আপনার নিজেকে থাকা খাওয়া এবং পড়াশুনার কাজ চালানোর জন্য নিজের পকেট থেকে কি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে সেই বিষয়গুলো আই-২০ ফরমে উল্লেখ থাকে।
সাদা কালো রঙের এই আই-২০ ফরম দুই পেইজ ব্যাপী হতে পারে। যার ডান-পাশে সেভিস নাম্বার এবং কোড লেখা থাকবে। এর ঠিক বাম পাশেই খালি ঘর থাকে, যেখানে ইমিগ্রেশনের সিল প্রদানের কাজে ব্যাবহারের জন্য বরাদ্দ থাকে।
নমুনা আই-২০ ফরম
বুঝার সুবিধার জন্য আই-২০ ফরমে একটি নমুনা কপি উপস্থাপন করা হলো:
আই-২০ ফরম হাতে পাবার পর করণীয়
- সবার আগে ভালো করে পড়ুন, নিজের নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদির কোথাও ভুল প্রিন্ট হয়েছে কি না।
- ১০ নং পয়েন্টের নীচে স্কুলের পক্ষের স্বাক্ষর ও তারিখ আছে কি না দেখে নিন।
- স্ক্যান করে একটি কপি সেইভ করে রাখুন।
- ১১ নং পয়েন্টের নীচে নিজে স্বাক্ষর করুন, তারিখ দিন।
- সেভিস নম্বর ব্যবহার করে সেভিস ফি দিন এবং এম্বাসীতে ইন্টারভিউয়ের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।
- কোন কারণে আই-২০ ফরমের মধ্যে তথ্যগত ভুল পাওয়া গেলে ভড়কে যাবেন না। মনে রাখবেন, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব ইন্টারন্যাশন্যাল অ্যাফেয়ারস চাইলেই যে কোন মুহূর্তে আপনার জন্য আরেকটি আই-২০ পাঠাতে পারে। মূলত: তারাই ব্ল্যাংক আই-২০ পূরণ করে থাকে, যা ইউসিস (USCIS) এর কাছ থেকে সেভিস নম্বর নিয়ে পূরণ করে বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয়।