টিপস্ ১ :
আয়েল্টস লিসেনিং টেস্টে সাধারণত বিট্রিশ অ্যাকসেন্ট (স্বরভঙ্গি) ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ লিসেনিং সেকশনের টেস্টে যে অডিওটি প্লে করা হবে সেটিতে যে কথোপকথন থাকবে তা ব্রিটিশদের মতো করে উচ্চারণ স্টাইলের হয়। সেক্ষেত্রে কোন শব্দের সঠিক উচ্চারণ বুঝতে সমস্যা মনে হতে পারে।
এই ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট ধরতে পারার জন্য সব থেকে ভাল উপায় হচ্ছে নিয়মিত বিবিসি রেডিও শোনার অভ্যাস করা।
টিপস্ ২ :
আয়েল্টস লিসেনিং টেস্টে এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয় যেগুলো আমরা সাধারণত শুনে থাকি না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- Truck. এই Truck শব্দটি হচ্ছে একটি আমেরিকান শব্দ। যার ব্রিটিশ শব্দ হচ্ছে Lorry.
সেক্ষেত্রে আয়েল্টস্ট টেস্টের এই সেকশনটির পরীক্ষায় হয়তো Truck এর পরিবর্তে Lorry শব্দটি পাওয়া যাবে।
টিপস্ ৩ :
আয়েল্টস এর লিসেনিং সেকশনে আপনি কোন কিছু দেখে লিখতে পারছেন না। তাই উত্তরগুলো নির্ভর করবে সম্পূর্ণ নিজের উপর।
তাই আপনি যখন উত্তরগুলো লিখবেন তখন আপনাকে অবশ্যই স্পেলিং বা বানানগুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে।
টিপস্ ৪ :
Singular বা Plural ফর্ম গ্রামারের খুবই সহজ একটি জিনিস। তবে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরই এই অংশে ভুল হয়ে যায়। আয়েল্টস টেস্টে অডিওটি যখন প্লে করা হয় তখন তার উত্তরে ভার্বের Singular অথবা Plural ফর্মটি ব্যবহার করতে বলা হয়।
কিন্তু ভুলটা এখানেই হয়ে থাকে। যেটি প্রশ্নে চাওয়া হয় সেটি না দিয়ে বরং খেয়াল না করে উল্টোটা দেয়া হয়। আর এমনটা হলে উত্তরটি সাধারণত ভুল ধরা হয়।
টিপস্ ৫ :
লিসেনিং পার্টে অনেক প্রশ্নেই উল্লেখ থাকে, ‘Write no more than three words’.
অবশ্যই মনে রাখতে হবেম, যে প্রশ্নে এমনটি বলা আছে তার উত্তর আপনাকে অবশ্যই ৩ শব্দ বা এর কমের মধ্যেই রাখতে হবে। আর আপনি যদি ৩ শব্দের বেশি লিখেন তবে উত্তরটি ভুল ধরা হবে।
টিপস্ ৬ :
লিসেনিং টেস্টে শুরুতেই প্রশ্ন দেয়া হয়। তার মানে অডিওটি যখন শুনছেন তখন প্রশ্ন আপনার সামনেই আছে। তাই একটি পার্টের অডিও শেষ হয়ে নতুন পার্টের অডিও শুরু হবার মাঝের সময়টা কাজে লাগাতে হবে।
যেমন- লিসেনিং সেকশনের সাধারণত ৪টি পার্টের মধ্যে শেষ ২টি পার্ট সব থেকে কঠিন হয়ে থাকে। তাই সময় পেলে সেই পার্টের প্রশ্নটি দেখে উত্তরটি ধারনা করে রাখতে পারেন। আর আগাম ধারনার সাথে উত্তরটি মিলে গেলে উত্তরটি সঠিক কিনা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আর চিন্তা করতে হয় না।
টিপস্ ৭ :
অডিও যখন প্লে হচ্ছে তখনই উত্তরটি প্রশ্নে লিখে ফেলবেন।
কারন অডিওটি শোনার পর খুব বেশি একটা সময় পাওয়া যায় না। এর কারন হচ্ছে অডিওটি সাথে সাথে অন্য একটি ট্র্যাকে চলে যায়।
টিপস্ ৮ :
আয়েল্টস টেস্টের এই সেকশনে অনেক সময়ই কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। পরিবর্তনটি কেমন হয় জানা আছে কি? যখন কোন সংখ্যার একটি সিরিজ বা ফোন নাম্বার বলা হয়ে থাকে তখন নাম্বার বা সংখ্যাগুলো পরপর বলে যাওয়ার পর তা পুনরায় পরিবর্তন করে কয়েকটি সংখ্যা বদলে দেয়া হয়। এমন ক্ষেত্রে প্রথমটি নয় বরং উত্তর হবে সংশোধিত অংশ বা দ্বিতীয়টি।
এছাড়াও লিসেনিং সেকশনে অনেক বড় সংখ্যা বলা হয়। তাই এগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কারন এগুলো সাধারণত রিপিট করা হয় না।
টিপস্ ৯ :
লিসেনিং সেকশনে কিছু কনফিউজিং নাম্বার বলা হয়ে থাকে। কনফিউজিং বা শুনতে একই রকম এমন সংখ্যাগুলোর প্রতি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এগুলো হচ্ছে- Thirteen (13)- Thirty (30), Fourteen (14)- Forty (40) ইত্যাদি। এমন নাম্বারগুলো সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।
টিপস্ ১০ :
লিসেনিং টেস্টে অনেক সময় কোন ব্যক্তির নাম এবং বানান ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলে দেয়া হয়। এসময় খেয়াল রাখতে হবে, যে নামটি বলা হয়েছে তার মধ্যে কোন অক্ষর দুইবার ব্যবহৃত হতে পারে কিনা। এবং যখন নামের বানানটি বলা হচ্ছে তখন বানানে কোন অক্ষর দুইবার বলা হয়েছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।
যেমন- একটি নামের উচ্চারণ স্কট। এই স্কটের বানান হতে পারে- Scot বা Scott. এক্ষেত্রে বানান কোনটি বলা হচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রাখলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
টিপস্ ১১ :
পরীক্ষার সময় কারও সাথে কথা না বলা এবং কোন প্রশ্নের উত্তর যদি ছুটে যায় তা নিয়ে চিন্তা না করা। বরং ঘাবড়ে না গিয়ে যেটা আছে সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে উত্তর করতে হবে। কারন যেটি মিস হয়ে গেছে সেটি নিয়ে ভাবতে গেলে যেটি আছে সেটিও হারাবেন।
কেউ ডাকলে কোন ধরনের সাড়া প্রদাণ না করা। এতে করে আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এক্সামিনার চাইলে আপনাকে বহি:স্কার করতে পারেন।
টিপস্ ১২ :
লিসেনিং সেকশনে ভাল করার জন্য প্রাকটিস টেস্টের বিকল্প নেই। আপনি যতো বেশি প্রাকটিস টেস্ট দিবেন ততো বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।