বেসিক লেভেল খুব বেশি স্ট্রং না হলে অল্প সময়ে আয়েল্টস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর আসার সম্ভাবনা কমে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো ব্যস্ততা, আবার কখনো অসুস্থতা জনিত কারনে স্কোর কম আসা স্বাভাবিক ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন কিংবা অফিসের কোন ট্রেনিং সেশনে অথবা মাইগ্রেশনে আয়েল্টস এক্সামের কাঙ্ক্ষিত স্কোর পাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

[fruitful_sep]অনেক পরীক্ষার্থীর মধ্যেই যে বিষয়টি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় তা হচ্ছে প্রথমবার আয়েল্টস পরীক্ষায় বসবো শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। প্রয়োজনীয় স্কোর না আসলে আবার পরীক্ষা দিবেন বলে আগে থেকেই মন:স্থির করে রাখেন। কাজেই স্কোর কম আসলে আপনি যে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নিবেন এমনটা ভাবার কোন কারন নেই। কেননা আপনি হয়তো নিজেকে একা মনে করে গুটিয়ে নিচ্ছেন, তবে আপনি একা নন- আপনার অজান্তেই কম স্কোর আসার পরও আরো অনেকে পুন:পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন। কাজেই আপনার গুটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

[fruitful_ibox_row]
[fruitful_ibox column=”ffs-two-one” title=”আর পরীক্ষা দিবো না”]সময় করে একটু ভেবে দেখুন[/fruitful_ibox]
[fruitful_ibox column=”ffs-two-one” title=”অবশ্যই আবার দিবো” last=”true”]ভাববার অবকাশ রয়েছে[/fruitful_ibox][/fruitful_ibox_row]স্কোর কম আসলে আপনি অবশ্যই আবার পরীক্ষা দিবেন, লক্ষ্যে না পৌছানো পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেওয়া আপনার জন্যই একটি ব্যাড ডিসিশন হবে।[fruitful_sep]

মুদ্রার বিপরীত পিঠ:

আয়েল্টস এক্সামে একবার নয় কয়েকবার বসেও ভালো স্কোর করতে পারেন না অনেকেই, কারন শুধুমাত্র বলা যায় তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। নিচে কিছু কারন দেখে নেয়া যেতে পারে-

১. অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী

এই সমস্যাটি মূলত দেশের অনেক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টদের মধ্যে দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন, আয়েল্টস এক্সামতো ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট। এতো বছর ধরে ইংরেজি পড়ছি আর এখানে ৯ এর মধ্যে ৭ তুলতে পারবো না! এমনটা কি হওয়া সম্ভব নাকি! এই ভেবে কোন মতে প্রস্তুতি নিয়েই চলে যায় এক্সাম ভেন্যুতে।

হ্যাঁ, সম্ভব। আয়েল্টস এক্সাম ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা ঠিকই এবং আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ইংরেজি ভাষার সাথে পরিচিত হলেও একটু ভেবে নিয়ে পূর্ণ প্ল্যান নিয়ে আগানো উচিত। যে কোন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নূন্যতম সেই পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে এবং প্রস্তুতি পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে পরখ করে রাখতে হবে। এই স্ট্যাজিকাল অ্যাপ্রোচ না নিলে আপনি যতো ভালো স্টুডেন্ট হোন না কেন আপনার স্কোর আশানুরূপ আসবে না এটা আগে থেকেই ধারণা করা।

২. আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে ইংরেজি সাবজেক্টে পড়ার পরও আয়েল্টস এক্সামে ভাল স্কোর করতে পারে না শুধুমাত্র দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করেন না বলে। আর যখন তিনি পূর্ণ বয়স্ক একজন যুবক তখন অন্যে ভুল ধরবে ভেবে ইংরেজি আর প্রয়োগ করাই হয় না। মনে দাঁনা বাধে আত্মবিশ্বাসের অভাব।

আত্মবিশ্বাসী মানুষের জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোন একটি কাজে আপনি সফল হতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করে আত্মবিশ্বাসের উপর। আয়েল্টস এক্সাম এমন কোন পরীক্ষা নয়, যার কাছে আপনি খুব সহজেই ধরাশাই হয়ে যাবেন।

নারী-পুরুষ এবং বয়স নির্বিশেষে আয়েল্টস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রস্তুতি শুরুর আগে থেকেই যেন পরীক্ষায় কয়বার বসবেন তার মন:স্থির করা শুরু হয়ে যায়।

মনে প্রশ্ন আসা উচিত, আমি কেন একটি পরীক্ষার কতোবার দিবো তা প্রস্তুতির শুরু থেকেই ভাবছি?

একবার আয়েল্টস পরীক্ষা দিতে বসা মানেই, আনুমানিক ১৬,০০০ হাজার টাকার মামলা। আপনি যতোবারই পরীক্ষায় অংশ নিন না কেন এই খরচ ১ পয়সাও কম হবে না। বরং সময়ের সাথে সাথে এক্সাম ফি বাড়ছেই। কাজেই স্কোর খারাপ আসলে নিজেকে যেমন গুটিয়ে নেওয়া যাবে না এটা সত্য, আবার বারবার দিতে পারবো বলে মনে ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষার ভেন্যুতে যাওয়া মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।