Topic-Summaryকেবল আমেরিকায় হায়ারস্টাডির প্রস্তুতির অংশ হিসাবে নয়, বরং আমেরিকায় লেখাপড়া থেকে শুরু করে চাকুরি ও পেশাদারী প্রোফাইল সমৃদ্ধ করার সব ধাপে আপনার নাম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন একাডেমিক ডকুমেন্টে এবং পাসপোর্টে একই ব্যক্তির নামের প্রথম অংশ হিসাবে কোথাও Md or MD এবং কোথাও Mohammad থাকার কারণে আমেরিকান ভার্সিটিতে আবেদনের আগে অনেককেই দুশ্চিন্তায় পড়তে দেখা যায়। এই আর্টিকেলে আমি চেষ্টা করেছি সামগ্রিক বিষয়কে একসাথে করে পরিবেশন করার।

১. ডট (.) থাকা বা না থাকা একই কথা

ফার্স্ট নেম হিসাবে এমডি (Md or MD) ব্যবহারের পরে আপনি ডট দিতে পারেন। আপনার অনেক ডকুমেন্টের মধ্যে ডট থাকতে পারে, বিশেষত: বাংলাদেশের বিভিন্ন একাডেমিক ডকুমেন্টের মধ্যে। যদি কোথাও দেখেন আপনার নামের শেষের ডট(.) খানি উধাও হয়ে গেছে, তাহলে চিন্তায় পড়বেন না। এটা হতে পারে আমেরিকান বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের সময় বা প্লেনের টিকেট রিজার্ভ করার সময়।

২. ছোট হাতের আর বড় হাতের অক্ষর একই কথা

যেহেতু আপনার নামের Md অংশ আমেরিকার সুপরিচিত MD = Medical Doctor কে বোঝায় না, তাই এটা Md or MD যেভাবেই লেখেন না কেন, কোন পার্থক্য হবে না। কোন সিস্টেমের ডিফল্ট আউটপুটের স্টাইল যদি All Caps থাকে, তাহলে আপনার বড়-ছোট মিলিয়ে লেখা নামটি পুরোটাই বড় হাতের অক্ষরে হয়ে যাবে। এতে অবাক হওয়া বা টেনশনে পড়ার কিছু নেই।

৩. অনার্সের আগের কোন সার্টিফিকেট কোথাও লাগবে না; নামের বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ নয়

আপনি যদি গ্র্যাজুয়েট স্টাডির জন্য আমেরিকায় আসতে চান তাহলে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর ও তার পরবর্তী ডিগ্রি (মাস্টার্স/এমফিল) বিবেচ্য হবে। সুতরাং এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার কোন ডকুমেন্ট কোথাও দরকার হবে না বা সেখানে নামের ভিন্ন বানান থাকলে দুশ্চিন্তায়ও পড়ার দরকার নেই। প্রসঙ্গতঃ, এম্ব্যাসি ফেইস করার সময় ব্যাগের মধ্যে এক কোণায় এসএসসি/ এইচএসসি’র সব ডকুমেন্ট রেখে দেবেন। যদিও দেখতে চাওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কাছে, তারপরও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য সাথে রাখবেন।

৪. কোনো সার্টিফিকেটই কোথাও পাঠাতে হবে না, সার্টিফিকেটের নাম নিয়েও টেনশন করবেন না

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতে আপনাকে পাঠাতে হবে কেবল ট্রান্সক্রিপ্ট; কখনোই সার্টিফিকেট নয়। অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা হয়ত “কপি অব ডিগ্রি” চাইতে পারে, সেক্ষেত্রে তাদের কাছে সার্টিফিকেটের ফটোকপি পাঠালেই হবে। আপনি রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে ১০-১৫ যত খুশি কপি ট্রান্সক্রিপ্ট তুলতে পারলেও, সার্টিফিকেট মাত্র ১ কপিই পাবেন, যা কোথাও পাঠিয়ে দেবার প্রশ্নই ওঠেনা।

৫. ট্রান্সক্রিপ্টের নামই অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে যাবে, তবে কথা আছে

আপনার ট্রান্সক্রিপ্টে যদি Md থাকে, তাহলে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময় অনলাইন ফরমের মধ্যে সেই Md-ই ব্যবহার করুন। অনেক অনলাইন ফরমের মধ্যে Other name or Maiden name ইনপুট দেবার সুযোগ থাকে। যদি পাসপোর্টে পুরো নাম Mohammad থাকে, এবং তার খেসারত হিসাবে জিআরই ও টোফেলের মধ্যেও পুরো নাম Mohammad যায়, তাহলে এক্ষেত্রে Other নাম হিসাবে Mohammad লিখে দিন। আমেরিকায় ঢোকার পরে বাদবাকী কাজ কর্মের জন্য পাসপোর্টের নামের সাথে মেলানোর স্বার্থে ইউনিভার্সিটিই আপনার সংক্ষিপ্তকৃত Md কে পুরো Mohammad করে দেবে। অর্থাৎ এটা নিয়েও কোন টেনশনের কিছু নেই।

৬. পাসপোর্টের নামই আমেরিকায় প্রবেশের পর সব ডকুমেন্টে যাবে

কিছুদিন আগেও নিয়ম ছিল যে আপনি পাসপোর্টের মধ্যে  সংক্ষিপ্ত Md রাখতে পারবেন না, পুরো Mohammad ই লিখতে হবে। নতুন নিয়ম অনুসারে (বা বিশেষ অনুরোধ করে) এখন পাসপোর্টে সংক্ষিপ্ত রূপ লেখা গেলেও, যারা অলরেডি Mohammad দিয়ে পাসপোর্ট করে ফেলেছেন কিন্তু জীবনভর বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ডকুমেন্টে Md লিখে এসেছেন, তাদের কিছুটা দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। এই আর্টিকেলের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য যাবতীয় সমস্যা সম্পর্কে  আগে থেকে জেনে রাখা ও সমাধানের জন্য প্রস্তুত থাকা।

এক নজরে কোথায় কোথায় আপনার পাসপোর্ট দেখাতে হবে এবং নাম অন্য ডকুমেন্টের নামের সাথে মেলাতে হবেঃ

দেশের মধ্যে

জিআরই পরীক্ষাকেন্দ্র (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)
 আয়েল্টস বা টোফেল পরীক্ষাকেন্দ্র
 এম্ব্যাসিতে ইন্টারভিউয়ের সময়
এয়ার টিকেট রিজার্ভ করার সময়
বিমান বন্দর থেকে ফ্লাই করা এবং সবগুলো ট্রানজিট শেষে আমেরিকায় ইমিগ্রেশন শেষ করা।

আমেরিকার মধ্যে

সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড প্রাপ্তি
ড্রাইভার্স লাইসেন্স প্রাপ্তি
ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তৈরী করা
পড়ালেখা চলাকালীন সিপিটি’র আবেদন ও কার্ড প্রাপ্তি (সংজ্ঞা পাদটীকায়)
ডিগ্রি পাওয়ার পর ওপিটি’র আবেদ করা ও কার্ড প্রাপ্তি (সংজ্ঞা পাদটীকায়)
ভিসা পরিবর্তন করে H1B তে যাওয়া
পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা গ্রীন কার্ড প্রাপ্তি
আমেরিকান নাগরিকত্ব প্রাপ্তি (এ পর্যায়ে আপনার ঈগলমার্কা পাসপোর্ট হবে এবং চাইলে নাম বদল করে বেলাল শেখ থেকে Bill Chuck করে ফেলতে পারেন)

বুঝতেই পারছেন, পাসপোর্ট হচ্ছে আপনার বাদবাকী জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলোর একটা। পাসপোর্ট নামের সাথে বাংলাদেশের একাডেমিক নামের অমিল (Md/Mohammad জনিত) থাকলে আপনি কেবল ইউএসএ’র বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট কোঅর্ডিনেটরকে আগে থেকে জানিয়ে রাখলেই হবে। তারা এ ধরণের ঘটনার সাথে পরিচিত।

জিআরই অ্যাকাউন্টে মিডল নেম পুরোটা লেখা যায়না বলে আপনার নামের যদি তিন বা তার বেশি অংশ থাকে তাহলে লাস্ট নেম আলাদা রেখে আগের সবগুলো একসাথে জুড়ে দিয়ে ফার্স্ট নেম হিসাবে দিবেন। উদাহরণ স্বরূপ, Shekh Ahsanul Islam হয়ে যাবে ShekhAhsanul Islam. এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আলাদা একটি আর্টিকেলই পাবেনঃ জিআরই অ্যাকাউন্টে নিজের নাম কিভাবে দেবেন

বিশেষ নোটঃ আপনার পাসপোর্টের নাম এবং জিআরই অ্যাকাউন্টের নাম আলাদা হলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঝামেলা হতে পারে। আপনাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে।

৭. পাসপোর্টের ফার্স্ট নেমই আপনার আমেরিকান “ডিফল্ট” নাম হবে

এটা একটা আজব কাহিনী। মুসলমান হিসাবে জন্ম হবার কারণে আমাদের প্রত্যেকের নামের আগে Md or Mohammad বসেছে ঠিকই, অথচ এটা আমাদের ডাকার জন্য কখনো ব্যবহার করা হয়না। আমেরিকান রীতি অনুসারে প্রথম নাম অনুসারেই আপনাকে ডাকা হবে। এজন্য বাসর রাতে বিড়াল মারার মতো প্রথম এক বছরের মধ্যে সবখানে ঝেড়ে কেশে “ডাকার” নাম জানিয়ে না রাখলে চির জীবন মোহাম্মদ হিসাবেই নিজেকে পরিচয় দিতে হবে। কিছুদিন আগে একটি আমেরিকান-বাংলাদেশী সংগঠনের সংবিধান রচয়িতাদের নামের ক্ষেত্রে দেখলাম, মোট পাঁচজন ব্যক্তির প্রত্যেকের নামই মোহাম্মদ। আরেকজন ভাইয়ের নাম ছিল এ কে এম খায়রুল ইসলাম (AKM Khairul Islam), উনাকে দেখতাম আমেরিকানরা ডাকতো “হাউ আর ইউ ডুইং, আকাম?”। খায়রুল ভাই যদি বাসর রাতেই নামের বিড়ালটা মেরে ফেলতে পারতেন, তাহলে বাকি জীবন সঠিক নামেই নিজেকে ডাকাতে পারতেন। বারবার বিড়াল মারার প্রসঙ্গ চলে আসছে, ওকে ১০ নম্বর পয়েন্টে তার বিস্তারিত বলছি।

৮. গ্র্যাজুয়েট কোঅর্ডিনেটরকে আগে থেকেই জানিয়ে রাখা

যেহেতু আপনার ট্রান্সক্রিপ্টের মধ্যে সংক্ষিপ্ত রূপ আর জিআরই, টোফেল, অনলাইন ফরম ইত্যাদির মধ্যে পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়েছে, আপনাকে অবশ্যই এই দুই ভিন্নতার বিষয়টি গ্র্যাজুয়েট কোঅর্ডিনেটরকে আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে। আমি একজন গ্র্যাজুয়েট কোঅর্ডিনেটরকে ইমেইল দিয়ে বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম, আপনাদের সুবিধার জন্য তার ইমেইলটি ছবি হিসাবে দেওয়া হলোঃ

Email

অর্থাৎ আপনি অনলাইন অ্যপ্লিকেশন করার সময় ফরমের মধ্যে ফার্স্ট নেম যেভাবে দেবেন, তারা পরবর্তী প্রসেসিং ঠিক সেভাবেই করবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্টের নাম দিতে হবে, কারণ তারা যে আই-২০ ফরম পাঠাবে তা ওই নাম অনুসারেই হবে, আপনার বাংলাদেশের ট্রান্সক্রিপ্টের নাম অনুসারে নয়। অ্যাডমিশনের সিদ্ধান্ত হবার পরে আপনার পাসপোর্টের কপি চাইতে পারে; কারণ পাসপোর্ট অনুসারেই তারা আই-২০ বানাবে। শুধু মনে রাখবেন, অ্যাডমিশনের সিদ্ধান্ত হয়ে যাবার পরে ট্রান্সক্রিপ্টের সংক্ষিপ্ত নাম আর কোন কাজে আসবে না। এখন সবকিছু কেবল পাসপোর্ট অনুসারে করতে হবে।

৯. লেটার অব রেকমেন্ডেশন এবং এসওপি’র মধ্যে ব্রাকেটের ব্যবহার

ধরা যাক আপনার নাম সার্টিফিকেটে Md আর পাসপোর্টসহ সব জায়গায় পুরো Mohammad ছিল। এমতাবস্থায় আপনার লেটার অব রেকমেন্ডেশন এবং স্টেটমেন্ট অব পারপাসের মধ্যে দুই প্রথম নামই উল্লেখ করুন, একটাকে ব্রাকেটের মধ্যে বন্দী করে। অর্থাৎ আপনার রেকমেন্ডেশনে লেখা থাকবেঃ I am pleased to write this blah blah for my student Md (Mohammad) Anwarul Karim, আর এসওপি’র মধ্যে একদম উপরে নিজের নাম একই ভাবে ব্রাকেটের সাহায্যে লিখুন।

১০. ব্রাকেটের ব্যবহার আমেরিকায় বেশ কমন

বাংলাদেশে আমাদের মাঝের নাম দিয়েই সাধারণতঃ ডাকা হয়। যেমন, আপনার নাম যদি Md Nurul Islam Chowdhury হয় তবে আমরা জাস্ট নুরু বা নূর নামে আপনাকে ডেকে থাকবো। আমেরিbracketকায় আপনি হয়ত বাই ডিফল্ট Mohammad Chowdhury হিসাবে পরিচিত হয়ে যাবেন। যদি নিজের আসল নাম পরিচিত করতে চান তাহলে শুরু থেকেই Mohammad (Noor) Chowdhury এভাবে লেখা শুরু করুন। কেউ কিচ্ছুটি বলবে না, বরং আপনাকে ডাকার জন্য নূর নামেই সবাই ডাকবে। আর এই কাজটা আপনাকে করতে হবে আমেরিকায় আসার পর প্রথম থেকেই। যখন কারো সাথে পরিচিত হবেন, নিজের ডাকনামটা বলে দিন; লেখার সময় সেটাকে ব্রাকেটের মধ্যে দিয়ে দিন। জুনজুয়ান লু নামে আমাদের এক প্রফেসর ছিলেন, তাকে সবাই জনি লু নামেই ডাকতো। তার ওয়েবসাইট থেকেই ছবি বসিয়ে দিলাম, দেখুন।

সেই সাথে একটি খুবই কমন অ্যামেরিকান বাক্যাংশ মনে রাখুনঃ go by, মানে যে নামে সবাই আমাকে ডাকে। যেমন, উপরের উদাহরণে বলা যেতে পারে, My name is Mohammad Chowdhury and I go by Noor. একবার গো-বাই নাম জনপ্রিয় করে ফেললে আপনার আর অসুবিধা হবে না। কেবল অফিস আদালতের নামগুলোতে পাসপোর্ট নাম ব্যবহৃত হবে, কিন্তু ডাকার জন্য সবখানে আপনার ডাকনামই ব্যবহৃত হবে।

moonএবার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিচ্ছি, উদাহরণ হিসাবে বুঝতে সুবিধা হবে। বাংলাদেশে সারা জীবন আমার দাপ্তরিক নাম ছিল Md Mamunur Rashid এবং আমাকে ডাক নাম মুন (Moon) নামেই সবাই চিনত। আমেরিকায় আসার পর দেখলাম Md বলতে মেডিক্যাল ডক্টর বোঝে, আর আমার মিডল নেমটাকে ম্যা-মানার এরকম অদ্ভূত ভাবে উচ্চারণ করছে। প্রথমেই সবাইকে বলে দিয়েছিলাম যে আমার নাম মুন; পরে দেখলাম আমাদের গ্র্যাজুয়েট কোঅর্ডিনেটর ব্রাকেটের মধ্যে আমার ডাকনাম পুরে দিয়ে সবগুলো দাপ্তরিক কাজকর্ম চালাচ্ছে (পাশে ছবি দেওয়া হলো)। নিজের এই চতুর্পদী নামকে দ্বিপদী করার জন্য ঠিক করলাম একটা সমন্বিত ফার্স্ট নেম Mamoon ব্যবহার করি। এই নামেই পাবলিশ করলাম, পিএইচডি’র ডিসার্টেশনেও এই নাম, সার্টিফিকেটেও। পরে চাকুরি জীবনেও সবখানে দাপ্তরিক নাম হিসাবে আমি এভাবেই লিখছি। সরকারী কাগজপত্রে এখনো পাসপোর্টের নামই ব্যবহৃত হচ্ছে, এবং এই নাম আমাদের এইচআর ছাড়া আর কেউ জানেও না। ডক্টর জনি লু এবং আমার নিজের উদাহরণ দিয়ে আমি বোঝাতে চেয়েছি আপনার সুযোগ রয়েছে নিজের নাম ঠিক সঠিকভাবে পরিবেশন করার। এই ছোট্ট উদ্যোগটা না নেবার কারণে আমার পরিচিত অনেক মানুষ সবখানে মোহাম্মদ নামেই পরিচিত হচ্ছেন, অথচ এটা আদৌ তাদের ডাকার নাম নয়। বাসর রাতে বিড়াল মারা মানে প্রথমেই সবাইকে সাফ সাফ আসল নামটা জানিয়ে দেওয়া বুঝিয়েছি।

সহজ ভাষায় পুরো বিষয়টা দেখা যাক

 পাদটীকাঃ

সিপিটি (CPT) এর পুরো নাম Curricular Practical Training. আপনি ১ বছর লেখাপড়ার পরে একটা ব্রেক নিয়ে সিপিটির অধীনে কোথাও ইন্টার্ন বা জব করতে যেতে পারেন এবং পেমেন্ট পেতে পারেন। ওপিটি (OPT) হলো Optional Practical Training যা আপনার ডিগ্রি অর্জন করার পরে সাবজেক্ট ভেদে ১ বছর বা ২৯ মাস কোন নতুন ভিসা ছাড়াই জব করার অনুমতি দেয়।

আরো প্রশ্ন, আরো আলোচনা?

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করুন!