দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের প্রতিযোগতীয় দেশের অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো বাড়ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ ও ফান্ডিং নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যাচ্ছে।
উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী এমন শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও পাওয়া যায় না সঠিক গাইডলাইন। তাই স্বপ্ন দেখার শুরুতেই অনেকে ধরে নেন এই স্বপ্ন তার জন্য নয়।
দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনে যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় তা নির্দিষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ডকুমেন্টসের পার্থক্য হয়- এমনটা নয়।
- সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র, Marksheet এবং Transcript এর কপি
- LOR (Letter of Recomandation)
- SOP (Statement of Purpose)
- Guardian’s Job Certificate এবং Financial Statement
- CV/ Resume
- GRE Test Score (Online এ প্রেরণ করা যায় তে এতে টাকা লাগে না)
- Language Test Score (IELTS/ TOEFL)
১.
মূল সনদপত্র, সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট সহ যাবতীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিস থেকে। তবে এই প্রক্রিয়াটি কিছুটা ভিন্ন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য-
মূল সনদপত্র নম্বরপত্র এবং Transcript (Mark Sheet- এ শুধু এবং নম্বর থাকে। কিন্তু Transcript Subject Code সহ Subject এর নাম নম্বর দেওয়া থাকে। তাই দু’টি বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন) এই সকল কাগজ আপনাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
মার্ক শীটটি স্টুডেন্টরা তাদের সাময়িক সনদপত্রের সাথেই পেয়ে যায়। তবে Transcript সংগ্রহ করার জন্য গাজীপুরে অবস্থিত NU এর মূল অফিসে যেতে হয়।
এর পূর্বে নিম্নলিখিত স্টেপগুলো অনুসরণ করতে হয়:
– Transcript উঠানোর জন্য ফর্ম পাওয়া যায় তা পূরণ করতে হবে।
– পূরণ করে ফর্ম-এর সাথে Certificate এবং Marksheet সাথে Admit Card এর ফটোকপি সংযুক্ত করে নিজ বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিতে হয়।
– তারপর সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষের অফিস থেকে অনুমোদন নিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিতে হয়।
– এরপর কলেজের কাজ শেষ হলে গাজীপুর গিয়ে প্রথমে নিচে Mobile Bank Booth এ টাকা জমা দিয়ে কাগজ এবং ফর্ম জমা দিতে হবে। ৬০০* টাকা জমা দিতে হয়। (*পরিবর্তনশীল)
– যদি অনেক ভীড় হয় তবে তারা একদিন পরে দিবে জানাতে পারে।
– যদি তাড়াহুড়ো থাকে তবে চার তলায় উঠে করিয়ে নিতে হবে। এজন্য ৪০৮ নাম্বার রুমে যেতে হয়।
– এসবের মধ্যে ধৈর্য্য ধরতে হবে। অতি তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে কাজ করলে কাজ সঠিক ও সুন্দর ভাবে হয়ে যাবে।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ৭টি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিসে গিয়ে তাদের যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
২.
Letter of Recommendation থাকতে হবে। এটি আপনাকে চেনে এমন বিভাগীয় শিক্ষকের কিংবা বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে সংগ্রহ করা যেতে পারে। যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে, সেখান থেকেও এলওআর নেয়া যেতে পারে।
যেখান থেকেই নেয়া হোক না কেন, সাধারণত কমপক্ষে ৩ জনের LOR সংগ্রহ করতে হয়। বিস্তারিত জানতে ‘এলওআর কি?’ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
৩.
SOP (Statement of Purpose) মূলত সম্পূর্ণ নিজেকে নিয়ে লিখতে হয়। নিজ সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা, কেন পড়তে যাচ্ছেন, এই সাবজেক্টে পড়তে যাওয়ার জন্য কতটা ইচ্ছুক এবং ভবিষ্যতে এই সাবজেক্ট নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি তা নিয়ে সুস্পষ্ট করে লিখতে হয়। ‘এসওপি এর আদ্যোপান্ত’ আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন।
৪.
একজন শিক্ষার্থীর বাবা/ মায়ের বা Legal Guardian এর Job Statement এবং Financial Certificate দেখাতে হয়। এটি মূলত প্রয়োজন হয় ভিসা অফিসারকে এই বিষয়ে জানানোর জন্য যে, যদি আপনার স্কলারশিপ বা ফান্ডিং Cancel হয়ে যায় তবে যেন আপনি পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন।
৫.
আপনার যত ধরনের সনদপত্র রয়েছে সবকিছুর একটি করে কপি। এছাড়াও CV একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে আপনার Obejective থাকতে হবে এবং সকল বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।
– আর্টিকেল কৃতজ্ঞতায়: তাহমিনা আক্তার মিলি, গ্রেক অ্যালামনাস (জিআরই স্কোর: ৩২৮)