গ্রাজুয়েট লেভেলের মতো আন্ডারগ্রাজুয়েট বা ব্যাচেলর পর্যায়েও নর্থ আমেরিকান কান্ট্রি- বিশেষভাবে আমেরিকা এবং কানাডাতে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে।
যোগ্যতা প্রমাণের জন্য বাংলাদেশি স্টুডেন্টকে কিছু স্ট্যার্ন্ডাডাইজড টেস্টে অবতীর্ণ হতে হয়। এসব টেস্টের স্কোরের উপর অ্যাডমিশন পাওয়া এবং না পাওয়া নির্ভর করে।
আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে অ্যাডমিশনের জন্য নিচের যোগ্যতা/ডকুমেন্ট থাকা আবশ্যক:
১.
সেকেন্ডারী এডুকেশন: ব্যাচেলর পর্যায়ে আবেদনের জন্য আমেরিকানদের হিসেবে সেকেন্ডারী লেভেল উত্তীর্ণ হওয়া থাকতে হবে। বাংলাদেশের সাপেক্ষে যা এইচএসসি (HSC) এবং A লেভেল হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। ভালো ইউনিভার্সিটি/কলেজে অ্যাডমিশন পাবার জন্য এই পর্যায়ে গ্রেড ভালো থাকা আবশ্যক।
২.
এসএটি (SAT): স্টুডেন্ট হিসেবে গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা এবং ইংরেজিতে রিডিং স্কিল যাচাই করার জন্য এসএটি নামক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। যা আমাদের দেশের ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্ববহন করে, তবে গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী। এসএটি পরীক্ষায় ভালো স্কোর অ্যাডমিশন এবং ফান্ডিং/স্কলারশীপ জোগাড় করা সহজ হয়ে যায়।
.
টপ র্যাংকড ইউনিভার্সিটি ভেদে জেনারেল এসএটি/এসএটি-১ এর পাশাপাশি সাবজেক্ট এসএটি পরীক্ষায় অবতীর্ণ করার প্রয়োজন হতে পারে।
৩.
IELTS/TOEFL: যেহেতু পড়াশুনার পুরোটাই ইংরেজিতে, কাজেই ইংরেজি বুঝার ক্ষমতা এবং কমিউনিকেশন স্কিলের প্রমাণসরূপ আয়েল্টস বা টোফেল যে কোন একটি ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টে অবতীর্ণ হতে হবে। অ্যাডমিশন পাবার জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট একটি আবশ্যকীয় বিষয়।
৪.
Essay/Personal Statement: অনেকটা নিজের মার্কেটিং। কেন নিজেকে ঐ ইউনিভার্সিটির সাপেক্ষে যোগ্য মনে করা হচ্ছে এবং নিজের মধ্যে কোন কোন যোগ্যতা আছে তা একটি রচনা আকারে লিখতে হবে। যা পারসোনাল স্টেটমেন্ট নামে পরিচিত।
৫.
Letter of Recommendation (LOR): সহজ বাংলায় সুপারিশপত্র। নিজের মার্কেটিং নিজে করার পাশাপাশি স্টুডেন্ট হিসেবে নিকটবর্তী শিক্ষক আপনাকে কোন দৃষ্টিকোন থেকে মূল্যায়ন করেন-এই বিষয়টি আমেরিকান অ্যাডমিশনের জন্য আবশ্যকীয় ডকুমেন্ট। সাধারণত এই সুপারিশপত্র কলেজ লেভেলের প্রভাষক বা প্রিন্সিপালের কাছ থেকে নেওয়া যেতে পারে। কলেজ/ইউনিভার্সিটি ভেদে ১-৩টি সুপারিশপত্র প্রয়োজন হতে পারে।