এমন একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে তারপর আমেরিকায় পড়তে যাবার কথা ভাবা হতো। এখন সময় অনেক বদলে গেছে। যে যার মতো করে আগে থেকেই দরকারী সব তথ্য নিয়ে নিজের পরিকল্পনাকে পাকাপোক্ত করে রাখছেন। অতি উৎসাহী অনেকে আবার অনার্স প্রথম বর্ষ থেকেই জিআরই’র বই পড়া শুরু করছেন। বিভিন্ন লেভেলের স্টুডেন্টদের কথা মাথায় রেখে এই আর্টিকেলটি লেখা হলো।
ইন্টারমিডিয়েটে পড়ছেন যারা
আপনি যদি একাদশ-দ্বাদশ বা সমমানের কোন লেভেলে পড়েন তাহলে আপনি পরীক্ষার পর SAT দিয়ে আমেরিকায় আন্ডারগ্র্র্যাডে ভর্তি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে দরকার হবে ল্যাংগুয়েজ টেস্ট আয়েল্টস বা টোফেল। তবে মনে রাখবেন, আমেরিকায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে স্কলারশিপ পাওয়া যায়না বললেই চলে। মোটামুটি চার মাসের প্রস্তুতি নিয়ে এসএটি দিয়ে ভালো স্কোর তুলে আমেরিকায় আবেদন করতে পারেন।
এ বিষয়ে গ্রেকের কিছু দরকারী আর্টিকেল:
অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছেন যারা
অনার্স প্রথম বর্ষে থাকাকালীন অনেকেই এক বছর লস দিয়ে ভালো করে এসএটি পড়ে আমেরিকায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে আগেই বলা হয়েছে, টোফেল/আয়েলন্টস এগুলো পড়তে পারেন এবং খুব ভালো করে আমেরিকার আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের জন্য আপনার উপযোগী কিছু বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে হবে।
এ বিষয়ে গ্রেকের কিছু দরকারী আর্টিকেল:
- ভোকাবুলারি (ওয়ার্ড স্মার্ট)
- ভোকাবুলারি (ভোকাবিল্ডার)
- ফান্ডিং
আর যদি আপনি মনে করেন অনার্স পুরো শেষ করে গ্র্যাজুয়েট লেভেলে আমেরিকায় যাবেন, তাহলে এই লেভেল থেকে ভোকাবুলারি ছাড়া আর কিছুই পড়ার দরকার নেই। বরং, আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন অনার্সের জিপিএ যতটা সম্ভব ভালো রাখা যায়। এই একই পরামর্শ চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত সবার। মনে রাখবেন, জিআরই একাধিকবার দেওয়া যায়; খারাপ স্কোরগুলো গোপন রেখে সবচেয়ে ভালোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো যায়। কিন্তু অনার্সের জিপিএ একবার খারাপ হয়ে গেলে সেটা টেনে তুলতে বহু ঝক্কি পোহাতে হয়।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন যারা
দ্বিতীয় বর্ষের জন্যও একই পরমার্শ প্রযোজ্য। কোর্সের প্রধান পড়া পড়ুন, ভালো করে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ উঁচু রাখার চেষ্টা করুন। হায়ার স্টাডির অংশ হিসাবে যা করতে পারেন তা হলো ভোকাবুলারির দুই একটা বই কিনে পড়া শুরু করা এবং প্র্যাকটিস করা। ভালো ইংরেজী লেখার অভ্যেস এখন থেকেই গড়ে তুলুন।
অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন যারা
অল্প অল্প করে জিআরই’র ধারণা নিতে শুরু করুন। একটু একটু করে ইংরেজী আর্টিকেল, উপন্যাস এগুলো পড়ার অভ্যাস বাড়ান। জিআরই’র অফিসিয়াল গাইডটা সংগ্রহ করুন, কারণ এটাই ইটিএস থেকে প্রকাশিত প্রস্তুতি গাইড। সেই সাথে চেনাশোনা মানুষের নেটওয়ার্ক বাড়ান, আমেরিকায় আপনার ফিল্ডের কে কোথায় আছে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। আপনার সাবজেক্টের বড় ভাই, যারা আমেরিকায় আসার জন্য চেষ্টা করছেন তাদের সংষ্পর্শে থাকুন। পরোক্ষভাবে মনের মধ্যে জিআরিই’র জন্য mindset তৈরী করা শুরু করুন।
অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন যারা
ক্লাসের পরীক্ষা-অ্যাসাইনমেন্ট এগুলোর চাপ একটু কমা মাত্রই জিআরই পড়া শুরু করে দিন। বাজার থেকে বেশ কিছু ভালো বই কিনুন, গ্রেকের গ্রুপের পোস্টগুলো দেখুন, সেখানে প্রশ্ন দিয়ে প্র্যাকটিস করুন। ভোকাবুলারি যতটা পারেন রপ্ত করে ফেলুন। বাসায় একা একা পড়া না এগুলো গ্রেকের সাহায্য নিতে পারেন, এটা যার যার ব্যক্তিগত ফ্রি উইল। মাই জিআরই অ্যাকাউন্টে জিআরই অ্যাকাউন্ট করে রাখুন, টোফেলের অ্যাকাউন্টও করে ফেলুন (যদি টোফেল দিতে চান)। সেই সাথে কোন গবেষণা প্রকল্পের সাথে যুক্ত থাকুন। এমন ভাবে সবকিছু প্ল্যান করে অগ্রসর হোন যাতে অনার্স শেষ হবার পরপরই অথবা আগের কোন ব্রেকের মধ্যে জিআরই পরীক্ষা দেওয়া হয়ে যায়।
এ বিষয়ে গ্রেকের কিছু দরকারী আর্টিকেল: