আরসি বা রিডিং কম্প্রিহিনশন। এই অংশে বারবার প্যাসেজ পড়ে উত্তর করাটা তুলনামূলক সময় খরচে বলে মনে হয। তবে শুরু থেকেই আগাম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করলে বারবার প্যাসেজ পড়ার পরিবর্তে একবার ভালোভাবে বুঝে প্যাসেজ পড়েই সঠিকভাবে উত্তর করা সম্ভব। এজন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করা উত্তম। যেমন-
প্যাসেজের বাইরে না যাওয়া:
আরসি বা রিডিং কম্প্রিহিনশন অংশ উত্তর করার আগে প্যাসেজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত। এতে প্যাসেজের সীমান কতোখানি সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। উত্তর বের করা তুলনামূলক সহজ হবে। তবে মনে রাখা ভালো, উত্তর করার জন্য কখনোই প্যাসেজের সীমানার বাইরে যাওয়া যাবে না। অনেক সময় উত্তরের পয়েন্ট লোভনীয় হতে পারে। মনে হতে পারে একটি অপশন থেকে আরেকটি অপশন থেকে বেশি তথ্য বহুল। যদি আপনি তথ্যবহুল লোভনীয় অপশন বাছাই করে নিজের জ্ঞান জাহির করার চেষ্টা করেন তবে তা নিতান্তই বোকামি হবে। যেমন- আপনার প্যাসেজে লেখা আছে, করিম মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। একটি অপশনে বলা আছে,করিম মিয়া দরিদ্র চাষি, দিন আনে দিন খায়। অন্য আরেকটি অপশনে, করিম মিয়া একজন দরিদ্র চাষী। এরকম অপশনে ভুল অপশন বাছাই করার প্রবণতাই বেশি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে দরিদ্র চাষীর সাথে দিন আনে দিন খায় অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত। তবে প্যাসেজে যেহেতু দিন আনে দিন খায় উল্লেখ নেই, সে কারনে করিম মিয়া একজন দরিদ্র চাষী অপশনটি সঠিক উত্তর হিসেবে বিবেচিত হবে।
ধাঁধায় না পড়া:
অনেক সময় প্রশ্নের শুরুতে অথবা প্যাসেজের মাঝখানে লেখকের উদ্বৃত্তি বা লেখক বলেছেন যে-এরকম থাকতে পারে। আপাত পক্ষে এ ধরণের প্রশ্ন পড়ে উত্তর না-বোধক হবে বলে মনে হতে পারে। তবে মনে রাখা ভালো প্যাসেজের মাঝে লেখকের কোন না-বোধক উদ্বিৃত্তি থাকবে না। সে ক্ষেত্রে কৌশলের সাথে হ্যাঁ-সূচক উত্তর বেছে নিতে হবে।
মূলভাবকে গুরুত্ব দেওয়া:
যে সব প্রশ্নে মূলভাব সম্পর্কিত কিছু থাকবে সেখানে চাইলে কিছু কিছু অপশন আগে থেকেই বাদ দেওয়া যায়। কেননা আরসি অংশে বেশিরভাগ সময় প্যাসেজ কোন একটি ঘটনা অথবা সেই ঘটনার উপর অন্য সবার মতামত আলোচনা করা থাকে।