জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষা এবং জিআরই এক্সাম নিয়ে প্রায় সময়ে নানা কনফিউশন ও সম্ভব নয় এমন হতাশার কথা শোনা যায়। তবে একজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও পারেন জিআরই এক্সাম দিয়ে দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ড নিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে।
জিআরই পরীক্ষা হলো একটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে এই এক্সামের স্কোর প্রয়োজন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জিআরই স্কোর। সহজ ভাবে বললে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির জন্য যেমন ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়, তেমনই জিআরই দেশের বাইরের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষা। যেহেতু বিদেশী ইউনিভার্সিটি গুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে শিক্ষাথীরা ভর্তির আবেদন করে তাই ইটিএস (ETS) নামক একটি প্রতিষ্ঠান জিআরই পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে।
বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন GRE-র একদম প্রাথমিক ধারণা
আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তা কখনোই মূখ্য বিষয় নয়। আপনি যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী হলেই জিআরই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে কোন পার্থক্য নেই।
জিআরই একটি ইন্টারন্যাশনাল এক্সাম। যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য অনার্স- মাস্টার্স কিংবা অন্য কোন একাডেমিক স্কোরের প্রয়োজন হয় না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করেন। তাদের মধ্যে প্রতি বছর অনেকেই বিসিএস ক্যাডার হোন। সেখানে তারা প্রতিযোগিতা করেন দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে। সেই পরীক্ষায় যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে সফল হওয়া যায় তবে জিআরই এক্সামেও সম্ভব।
আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি কখনোই বড় বিষয় নয়। আপনার ভালো প্রস্তুতি এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে জিআরই পরীক্ষায়ও ভালো স্কোর করা সম্ভব।
এক্ষেত্রে একজনের কথা না বললেই নয়- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার মিলি। ইডেন কলেজ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করে জিআরই এক্সামে অংশ নেন এবং ৪ মাসের প্রস্তুতিতে তিনি ৩২৮ স্কোর করেন মোট ৩৪০ এর মধ্যে।
জিআরই পরীক্ষা মূলত আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সৌদি আরবসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ইউনিভার্সিটি’তে ভর্তির জন্য বা অ্যাডমিশন পেতে দেওয়া হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে পড়তে যেতে চাইলে IELTS দিয়েও যাওয়া যায়।
অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশনের পূর্বশর্ত হিসেবে জিআরই স্কোর চেয়ে থাকে তাই আপনি যদি ফান্ড/ স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তবে জিআরই স্কোর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এতে আপনি যে সাবজেক্টের স্টুডেন্টই হোন না কেন।
দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফান্ডেড অ্যাডমিশন পেতে যা যা প্রয়োজন এই সম্পর্কে জানতে পড়ুন আর্টিকেলটি
১.
আপনি যদি দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে M.A/ MS/ Ph.D করতে চান তবে আপনার জিআরই পরীক্ষার স্কোর প্রয়োজন হবে। (USA, Canada, Saudi, Australia, Europe and also some Asian University)
২.
Graduate Record Examination (GRE) হলো সম্মান (Hons) শেষ করা Student জন্য প্রয়োজন। তবে এই পরীক্ষাটি অনার্স শেষ করার পূর্বেই দেয়া যায়। কিংবা চাইলে অনার্স করেও দেয়া যায়। জিআরই পরীক্ষার স্কোরের মেয়াদ থাকে ৫ বছর।
৩.
জিআরই পরীক্ষা অধিকাংশ টপ র্যাঙ্কড ইউনিভার্সিটি গুলোর সর্ব প্রথম Requirements থাকে। এছাড়াও এই স্কোরের সাথে আপনার স্কলারশিপ বা ফান্ড পাওয়া না পাওয়াও অনেকাংশে নির্ভর করে। আর Scholarship or Funding পেতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (যেহেতু বাংলাদেশের Most Student হল থেকে Middle class Family আসা। তাই Higher Study এর ক্ষেত্রে Scholarship or Funding প্রয়োজন)
৪.
সাধারণত দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফান্ডিং দেয়া হয় কিছু কাজের বিনিময়ে। আর কাজগুলো হয় রিসার্চ বা গবেষণা ভিত্তিক। তাই যে ইউনিভার্সিটিতে আপনি পড়তে আগ্রহী সেই ইউনিভার্সিটির প্রফেসরকে GA/ TA/ RA এর জন্য Convince করতে হলে GRE অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আর্টিকেল কৃতজ্ঞতায়: তাহমিনা আক্তার মিলি, গ্রেক অ্যালামনাস (জিআরই স্কোর: ৩২৮)