আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন এবং ফান্ডের নাগাল পাওয়ার জন্য সঠিক সময়ে আবেদন করা জরুরি। আমাদের দেশের মতো আমেরিকানদের অ্যাডমিশনের সময়কাল বা মৌসুম থাকে। যেহেতু আবেদনের সাথে টাকা পয়সার বিষয়গুলো সম্পর্কিত সে কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে জরুরি দিকগুলো জেনে নেওয়া উত্তম। এতে সময় এবং টাকা পয়সা উভয়ই সাশ্রয় করা সম্ভব।

সিজিপএ এবং জিআরই:

অ্যাডমিশনের জন্য সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ আপনার সিজিপিএ এবং জিআরই স্কোর। আপনার ভালো সিজিপিত্র এবং জিআরই স্কোর থাকে তাহলে আপনি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। কোন কারনে যদি আপনার সিজিপিএ কিছুটা কমও থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জিআরইতে বেশি স্কোর করার চেষ্টা থাকতে হবে। উদাহরন হিসেবে ধরা যাক, ‘হাসান’ নামে কোন একজন স্টুডেন্ট ‘ক’ নামক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চাচ্ছে। যার আবেদনের মিনিমান রিকোয়ারমেন্ট সিজিপিএ ৩.০ এবং জিআরই ৩০৫। অন্যদিকে ‘হাসান’ এর সিজিপিএ ২.৭৫+ এবং জিআরই স্কোর ৩২০। আবেদন করার পর প্রফেসরের গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে ফান্ডিং নিয়ে হায়ার স্টাডির জন্য ‘হাসান’ পাড়ি জমালো। অর্থাৎ, সিজিপিএ কিছুটা কম থাকলেও প্রফেসরকে ম্যানেজ করার জন্য আপনাকে জিআরই স্কোর দিয়ে ব্যাকআপ দিতে হবে।

এসওপি এবং এলওআর:

অ্যাডমিশনের জন্য এসওপি এবং এলওআর গুরুত্বপূর্ন। যার মধ্যে এসওপি হচ্ছে ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ বা আপনার নিজের সম্পর্কে ব্রান্ডিং করা। যতটা সম্ভব  শুদ্ধ ও সাবলীলভাবে লিখা উচিত। অন্যদিকে এলওআর  হচ্ছে ‘লেটার অব রিকমেন্ডেশন’ বা আপনাকে অন্যরা কিভাবে মূল্যায়ন করে তার প্রমাণপত্র। সেক্ষেত্রে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিত কোন প্রফেসর, বিভাগীয় প্রধান অথবা পরিচিত কোন গবেষক থেকে লেটার অব রিকমেন্ডেশন সংগ্রহ করার।

Screenshot_2

পাবলিকেশন:

পাবলিকেশন মানে আপনার গবেষণার প্রমাণপত্র। অর্থাৎ, আপনি কি কি বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন তা স্বীকৃত জার্নালে আর্টিকেল আকারে প্রকাশ করাই পাবলিকেশন নামে পরিচিত।অ্যাডমিশনের জন্য আপনার পাবলিকশেন থাকলে সেটা আপনার প্রোফাইলকে আরো বেশি ওজনদার করবে। যদিও পাবলিকেশন ছাড়া ফান্ডিং পাবার ঘটনা অসংখ্যাক। বর্তমানে বিএসসি এবং মাস্টার্স পর্যায়ে থিসিস বা প্রজেক্ট বেইজড কাজ করানো হয়। অল্প কিছু ঘষামাঝা করে এই কাজগুলোকে জার্নালে পাবলিশ করা সম্ভব।