প্রত্যেকটা সফলতার পেছনেই হাজারটা ব্যার্থতা থাকে, থাকে লজ্জা, সংকচ আর ভয়। সুতরাং, আজ ব্যার্থ বলেই আগামীতে সফলতা আসবেনা এমনটা ভুল করেও ভাববেননা। অথবা ‘আমাকে দিয়ে হবে না’, একথা ভেবে নিজের সৌভাগ্যকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, ব্যার্থতাই সফলতার জন্ম দেয়! যদি কিনা আপনি চান?

আপনি নিশ্চয়ই চান। ভেবে দেখুন, যখন ছোট ছিলেন প্লেন দেখতে, দেখতে কত দিন কত দূর ছুটেছেন? আর ভেবেছেন, বড় হয়ে আমিও প্লেন চালাবো অথবা প্লেনে চড়বো!

যে শিশুটি একদিন অর্ধাহারে ছেঁড়া কাপড়ে জীবন কাটিয়েছে, একদিন সেই শিশুটিই নামকরা কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক বনে যান।

এই অদম্য সাহসী গল্পটা বাংলাদেশের খুব কমন গল্প, হরহামেশাই ঘটছে। আপনাকে শুধু বিশ্বাস করা শিখতে হবে যে, স্বপ্নই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, অন্যরা পারলে আমিও পারবো, পারতে আমাকে হবেই।

‘হবেই’ কথাটার স্তম্ভ অনেক মজবুত হওয়া দরকার। পাছে লোকে কিছু বলে/ সমালোচোকের মন্দ কথায় কান না দিয়ে; কানে তুলো গুঁজে রাখুন। একদিন ওরাই আপনার সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল হবে। অথবা যে বন্ধু আপনার উদ্যম/ স্বপ্নটাকে উৎসাহ না দিয়ে ব্যাঙ্গ করছে, তাকে প্রথমেই পরিহার করতে হবে।

নিজেরা কিছু করতে পারে না, উপরন্ত অন্যের আশায় পানি ঢেলে দেয়; আমাদের চারপাশে এমন লোকের সংখ্যাই বেশি। আপনি কিন্তু অনেকের দলে পড়েন না। আপনি অনেকের থেকে আলাদা, অনন্যা।

খুব ভালো লাগে, যখন ঐ স্টুডেন্টকে নতুন মডেলের গাড়ির সাথে ছবি আপলোড করতে দেখি। তখন মনেই হয় না, এই স্টুডেন্টই একদিন মায়ের ছাগল বিক্রির টাকায় জিআরই রেজি; করতে এসেছিল! আবেগে চোখে পানি চলে আসে! ধন্যবাদ সাহসী সেই যোদ্ধাকে যাকে মনে করে আমি নিজে সাহস সঞ্চয় করি।

সবসময় এমন কেউকে অনুসরন করুন যে আপনার জন্য অনুপ্রেরনা, আপনার স্বপ্নের বলবর্ধক!

 

– বিলকিস জাহান, উপ- ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্রেক