বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময়কালে এবং ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়ে আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে যথাপোযুক্ত ধারণা প্রদান করার লক্ষ্যে যে সব ডকুমেন্ট জমা দিতে বলা হয় তার মধ্যে ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অন্যতম।

সাধারণত, এই ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টে আপনার কি পরিমাণ সম্পদ ও দায়বদ্ধতা আছে মূলত তার একটি বিবরণ উল্লেখ থাকবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরণের স্টেটমেন্ট এক পাতার হয়ে থাকে, যাকে সাধারণ ভাষায় ব্যাংক সার্টিফিকেটও বলে। যেখানে স্টুডেন্ট/আবেদনকারির  নাম, স্পন্সর এর নাম, বর্তমানে মজুদকৃত টাকার পরিমাণ এবং আমেরিকান ডলারে এর মূল্যমাণ কতো তা উল্লেখ করা থাকবে।

Screenshot_1

অন্যদিকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ট্র্যানজ্যাকশন রেকর্ড সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। এসব স্টেটমেন্টে মুলত বিগত ছয় মাস বা এক বছরের কবে কোন তারিখে কত টাকা লেনদেন হয়েছে তার বিবরণ থাকে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর কেনো প্রয়োজন নেই। ইউরোপের অনেক দেশে ভর্তির সময় আর্থিক সামর্থ প্রমাণের জন্য অবশ্য গত ছয় মাসের ট্র্যানজ্যাকশন দেখাতে হয়। তবে আমেরিকার জন্য সাধারণত: এটা লাগে না।

Screenshot_1

আপনি কি চিন্তিত!! কিভাবে যোগাড় করবেন ভাবছেন? আপনার স্পন্সর যিনি (বাবা,চাচা, মামা-ইত্যাদি) হবেন তাকে অথবা তার পক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করে জানান যে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমনে ব্যাংকের লেটারহেড প্যাডে একটি ফিন্যান্সিয়াল সার্টিফিকেট লাগবে। ব্যস, আপনার কাজ শেষ।.

নমুনা ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট: বুঝার সুবিদ্বার্থে নিচে একটি নমুনা ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্ট ফরমেট দেখানো হলো। তবে মনে রাখা ভালো  ব্যাংক স্বাপেক্ষে এর ভাষাগত দিক দিয়ে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

Screenshot_1

মনে রাখা ভালো, যত বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন আপনার ততো সংখ্যাক ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্ট দরকার হবে। সে কারনে যদি সম্ভব হয় ম্যানেজারকে অনুরোধ করে আগে-ভাগেই ১০ থেকে ১২ কপি উঠিয়ে রাখতে পারেন।.