একবার ‘ক’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩/৪ জন প্রফেসরের সাথেই আমার কাজ বেশ ভালোই মিলে গেল। যার সাথে সবচেয়ে বেশি মিল ছিল, তাকেই প্রথমে মেইল পাঠালাম।
৩/৪ মিনিটের মাথায়ই সে রিপ্লাই দিল। ‘তোমার সাথে আমার কাজের বেশ ভাল মিলই আছে, তুমি এপ্লাই করো আর এপ্লিকেশনে আমার নামও দিতে পারো। আমি তোমার ব্যাপারে আগ্রহী’। সে মেইলটাতে ডিপার্টমেন্ট কোঅরডিনেটরকেও(উনিও একজন প্রফেসর) যুক্ত করে দিলেন, যাতে আমি তার সাথে এপ্লিকেশনের বিষয়ে কথা বলতে পারি।
আমি এত তাড়াতাড়ি পজিটিভ রিপ্লাই পেয়ে বেশ খুশি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিপার্টমেন্ট কোঅরডিনেটর আমাকে একটা মেইল দিলেন। এপ্লিকেশন এর দিকনির্দেশনা দিলেন এবং বললেন, ‘যদিও ‘ম’ প্রফেসর তোমার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবু তুমি আরও কয়েকজনকে নক করতে পারো। এতে কোন কারনে যদি ‘ম’ প্রফেসর তোমাকে নিতে না পারে, তুমি অন্যদের কাছে সুযোগ পাবে’।
আমি উনার কথায় আরও বেশি উৎসাহ পেলাম।আমি সাথে সাথেই আরও ৩/৪ জনকে (যাদের সাথে আমার কাজ মিলে কমবেশি) মেইল দিলাম। দুইজন রিপ্লাইও দিল, যদিও নেগেটিভ রিপ্লাই। আমি আর ঘাঁটালাম না।
৩/৪ দিন পর হঠাৎ রাত তিনটায় ‘ম’ প্রফেসর আমাকে মেইল দিলেন। ‘আমি শুনলাম যে, তুমি আমাকে ছাড়াও আরও কয়েকজনকে মেইল পাঠিয়ে তাদের সাথে কাজের আগ্রহের কথা জানিয়েছ। তুমি সত্যিকারভাবেই যদি আমার সাথে কাজ করতে চাও, তবেই কেবলমাত্র আমি তোমার কথা চিন্তা করবো, নাহলে আমি আর আগাবো না’।
আমার মাথায় তো আকাশ ভেঙ্গে পরল। পাঁচ মিনিটের জন্য মাথা পুরো ব্ল্যাংক হয়ে গেল। কী করবো বুঝতে পারছিলামনা। তারপর ভাবলাম, যেটা সত্যি সেটাই বলব। আমি তাকে বললাম, ডিপার্টমেন্ট কোঅরডিনেটরই আমাকে সাজেশন দিয়েছেন, যাতে আমি আরও কয়েকজনকে নক করি(পুরা ডিটেইলসটাই বললাম)। সাথে এও বললাম যে, ‘আমি প্রথম থেকেই আপনার সাথে কাজের ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী ছিলাম, এবং আপনি সুযোগ দিলে আমি আপনার আন্ডারেই কাজ করতে চাই’। উনি তখন বললেন, ‘ঠিক আছে, আমি তোমার এপ্লিকেশন পজিটিভলিই দেখব’।
পরে অবশ্য ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার এডমিশন অফারও এসেছিল, ওই ‘ম’ প্রফেসরের আন্ডারেই।
এই হল একইসাথে একাধিক প্রফেসরকে নক করার খারাপ অভিজ্ঞতা। যদিও আমি সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম, কিন্তু এই ধরনের রিস্ক থাকতেই পারে- এই বিষয়টাও মাথায় রাখা দরকার।
আপনি একজনকে মেইল করার পর রিপ্লাই না পেলেও ৩/৪ দিন অপেক্ষা করতে পারেন, তারপর অন্যদের মেইল দিতে পারেন। এটা সেইফ সাইডে থাকা।