আয়েল্টস (IELTS) পরীক্ষায় শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষাই নয়; আয়েল্টস একটি লাইফ স্কিল এক্সাম। তাই আয়েল্টস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করতে প্রয়োজন দৈনন্দিন লাইফে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার।

কখনোই মাত্র ৭ দিন বা ৫ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়েল্টস পরীক্ষায় টপ স্কোর করা সম্ভব নয়। পরীক্ষায় ভালো স্কোর করতে হলে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হয় আগে থেকেই। যদি গ্রামার বা ভোকাবুলারীতে দুর্বলতা থাকে তবে প্রস্তুতির সময় ৩-৪ মাস পর্যন্ত হয় অনেক ক্ষেত্রেই। তবে ভালো স্কোরের জন্য প্রয়োজন প্রতিদিনই কম-বেশি চর্চায় রাখা।

Green Business Strategy

আয়েল্টস (IELTS) পরীক্ষার প্রস্তুতিটা হতে হয় স্ট্রাটিজিক্যালি। তাই ভালো স্কোর করার জন্য শেষ ৭দিনে প্রস্তুতিটাও হতে হয় পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ট্রাটিজিক্যাল।

বাকি দিন ৭

এই সময়ে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট প্রাকটিস করতে হবে। আর এই প্রাকটিসগুলো হতে পারে ক্যামব্রিজ আয়েল্টস সিরিজের ৬-৭ বই দুটি থেকে। এ সময় অবশ্যই কোন সেকশনে সময় বেশি লাগছে এবং কেন বেশি লাগছে তা যাচাই করতে হবে। এর পাশাপাশি রাইটিংয়ের কিছু স্যাম্পল উত্তর এবং স্পিকিংয়ের উপর জোড় বাড়াতে হবে।

ইমেইল চেক করে নিশ্চিত হতে হবে যে স্পিকিং পরীক্ষার ডেট কবে পড়েছে। যদি ইমেইল না আসে তবে ভয় পাবার কিছু নেই। স্পিকিং পরীক্ষার ডেট কমপক্ষে ৩দিন আগে ইমেইল করে জানিয়ে দেয়া হয়।

কোন কারনে যদি পরীক্ষা আয়েল্টস পরীক্ষার আগে না হয়, সেক্ষেত্রে স্পিকিংয়ের ডেট আরও পড়ে আসবে। তাই বিভ্রান্ত হবার বা টেনশনের কোন কিছু নেই। স্বাভাবিক ভাবে নিজের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে।

বাকি দিন ৬

হাতে আছে আর ৬ দিন। এই সময়ে প্রস্তুতির গতি আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। এই সময়ে পূর্ণাঙ্গ আয়েল্টস মডেল টেস্ট একাধিক সলভ করতে হবে। রাইটিং ফরমেট এবং ফরমাল ওয়েতে স্পিকিংয়ের উপর টিউটোরিয়াল বা লেসনগুলো আবারও ঝালাই করে নিতে হবে।

যদি স্পিকিং এক্সামের ডেট জানা থাকে তবে সেভাবে স্পিকিং সেকশনের জন্য আলাদা ভাবে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে হবে। বেশি বেশি প্রাকটিস করতে হবে। এছাড়াও স্পিকিং সেকশনে ভাল করার জন্য কিছু কার্যকরী টিপস্ জেনে নিতে পড়তে পারেন এই আর্টিকেলটি- ‘IELTS স্পিকিং সেকশনের টপ 10 টিপস্’

বাকি দিন ৫

solve solution key path pathwayক্যামব্রিজ আয়েল্টস সিরিজের ৮ এবং ৯ খন্ড বই থেকে প্রাকটিস টেস্টগুলো বেশি বেশি প্রাকটিস করতে হবে। সময় পেলেই স্পিকিংয়ের প্রাটিস চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও লিসেনিং এবং রিডিং সেকশনের জন্য বিবিসি এবং অন্যান্য ইউকে বেইজড সংবাদ মাধ্যমের খবরগুলো পড়তে হবে এবং শুনতে হবে।

 

যেহেতু আগামী দিন স্পিকিং পরীক্ষা তাই স্পিকিং সেকশনে জোড় দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রাকটিস চালিয়ে যেতে হবে এবং ইন্টারভিউ’য়ে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবেন তার পূর্ণ পরিকল্পনার ছক নিজের মাথায় গেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘আয়েল্টস (স্পিকিং) ইন্টারভিউ: করণীয়-বর্জনীয়’ -এই আর্টিকেলটি সহায়ক হতে পারে।

বাকি দিন ৪: স্পিকিং পরীক্ষা

সকাল সকাল প্রস্তুত হয়ে স্পিকিং পরীক্ষার জন্য রওনা হয়ে যেতে হবে। স্পিকিং এক্সাম ভেন্যুর বাইরে গিয়ে অপেক্ষমান এক্সামিনিদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে থাকতে হবে।

পরীক্ষার হলের বাইরে যারা অপেক্ষা করেন তারা সবাই মূলত স্পিকিং টেস্টের জন্যই অপেক্ষা করেন। তাই সেখানে গিয়ে চুপচাপ এক কোণায় দাড়িয়া থাকা বা কারও সাথে কথা না বলাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং সেখানে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে আগ্রহীদের সাথে নিজে থেকেই কনভার্সেন শুরু করে দেয়া উচিত। এবং ইন্টারভিউ রুমের ভেতরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত স্পিকিং চালিয়ে যাওয়া উচিত। এতে করে নিজের মধ্যে কনফিডেন্স বাড়বে এবং জড়তা থাকলে তাও কেটে যাবে।

স্পিকিং টেস্ট শেষ করে আর আশায় বুক বাধা বা হতাশ হবার কোন কারন নেই। যা হয়ে গেছে তা আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই পরবর্তী পরীক্ষার দিকে ফোকাস বাড়াতে হবে।

বাকি দিন ৩

ইতিমধ্যে স্পিকিং টেস্ট হয়তো শেষ হয়ে গেছে। এবার অন্যান্য সেকশনের প্রস্তুতিতে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। ক্যামব্রিজ সিরিজ থেকে ১০ এবং ১১ তম বইয়ের প্রাকটিস টেস্ট গুলো সমাধান করতে হবে। যদি এই বইগুলো আগেই করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ক্যামব্রিজ অফিসিয়াল ম্যাটেরিয়াল ১ এবং ২ দুটি পৃথক বই প্রাকটিস করা উচিত।

কোন সেকশনে আপনার প্রস্তুতি বেশ ভালো এমন আত্মবিশ্বাস মনে রাখার প্রয়োজন নেই। সকল সেকশনে সমান ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। যে সেকশনে এখনও দুর্বলতা রয়েছে সেই সেকশনের প্রাকটিস আরও বেশি করে করতে হবে।

বাদি দিন ২

idea strategy solution

এই সময়ে ক্যামব্রিজ সিরিজের ১১ তম বই কিংবা ক্যামব্রিজ অফিসিয়াল ম্যাটেরিয়াল ১ এবং ২ বই থেকে সেকশন ভিত্তিক প্রাকটিস চালিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি সেকশন ভিত্তিক যে ট্রিকস্গুলো রয়েছে সেগুলো আরেকবার সানিয়ে নিতে হবে।

পরীক্ষার আগের দিন

যতোটা পারা যায় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে শেষ মুহুর্তে ১-২টি পূর্ণাঙ্গ টেস্ট দিয়ে প্রাকটিস করা যেতে পারে। বিবিসি এর খবর শুনতে হবে এবং পড়তে হবে।

পরীক্ষার দিনে আপনি কিভাবে কোন সেকশনে অ্যাপ্রোচ করবেন এবং আপনার স্ট্রাটিজি কি হবে তা ঠিক করে ফেলতে হবে। সেকশন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের স্ট্রাটিজিগুলো দেখে নিতে হবে।

সবশেষে, নিশ্চিন্ত মনে একটি নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম অনেক বেশি প্রয়োজন।

ফাইনালি, দ্য এক্সাম ডে!

আয়েল্টস পরীক্ষা মূলত সকালেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক্সাম ভেন্যুতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। পরীক্ষায় লেট করে পৌছানোর পরিবর্তে নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই এক্সাম ভেন্যুতে চলে যাওয়া উচিত।

মাথা ঠাণ্ডা রেখে যতো বেশি পরীক্ষা দিতে পারবেন ততোই ভালো স্কোর করার সম্ভাবনা থাকে। তাই মাথাটা ঠাণ্ডা রাখুন। কোন পরিস্থিতেই ঘাবড়ে যাবার কোন কিছু নেই।

আয়েল্টস পরীক্ষার অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘আয়েল্টস: আমার অভিজ্ঞতা- ১’ আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল। অল দ্য বেস্ট!!!