১। প্রোফেসর হয়তো আপনাকে বলল, “তোমার প্রোফাইল ভালই, তবে অফিশিয়ালি এপ্লাই করলে তবেই সেটা রিভিউ হবে। তুমি এপ্লাই কর, আমার কাছে এপ্লিকেশন আসলে আমি সেটা দেখব”।
এটা আসলে সাধারন একটা রিপ্লাই। ব্যাপারটা হল, আপনি চাইলে এপ্লাই করতে পারেন, উনার হাতে আসলে হয়ত উনি দেখবেন। আপনি অন্যদের সাথে তুলনামূলক প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে হয়ত আপনাকে নেয়াও হতে পারে। এখানে সম্ভাবনা ৫০-৫০। আপনার প্রোফাইল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত মনে করলে, আর নিজের প্রোফাইল নিয়ে কনফিডেণ্ট থাকলে আপনি এপ্লাই করতেই পারেন।
২। প্রোফেসর হয়ত প্রথম রিপ্লাইয়ে বলল, “তোমার কাজ অনেকটাই আমার সাথে মিলে। তুমি তোমার সিভি, স্কোর আমাক মেইল কর”। আপনি করলেন। দেখে উনি আবার রিপ্লাই দিলেন, “তোমার প্রোফাইল আমার ল্যাবের জন্য বেশ মানানসই, আমিও “A”(যেকোনো স্পেশাল বিষয়) লাইনটাতেই কাজ করছি। তুমি ফল টার্মের জন্য এপ্লাই কর, চাইলে SOP তে আমার নাম দিতেও পারো, যে তুমি আমার সাথে কাজের ব্যাপারে আগ্রহী। (এটাও হতে পারে, আপনি হয়ত নিজে থেকেই SOP তে তার নাম উল্লেখ করার কথা বললেন, উনি সানন্দে রাজি হলেন)।
এই রিপ্লাইটা অনেকটাই পজেটিভ। সেইখেত্রে ওই প্রোফেসরের সাথে আপনি যোগাযোগটা বজায় রাখতে পারেন। সময় হলে আর সব প্রয়োজনীয় জিনিস (স্কোর, রেজাল্ট, রিসার্চ) ঠিক থাকলে আপনি ওই বিশেষ ল্যাবের কথা মাথায় রেখে এপ্লাই করতে পারেন। যদিও শতভাগ গ্যারান্টি কেও আপনাকে দিবে না, কিন্তু এটা একটা ভাল সম্ভাবনা হতেই পারে।
৩। প্রোফেসর অনেক সময় বলেই দেয়, “সরি, আমার কাছে ফান্ড নেই, আমি এই বছর নুতন কোন স্টুডেন্ট নিবো না”।
বলাই বাহুল্য, রিপ্লাইটা নেগেটিভ।
এভাবে প্রোফেসরদের রিপ্লাইয়ের টোন টা ধরতে পারলে আপনি একসময় নিজেই বুঝবেন, কোন রিপ্লাইটা কেমন।