উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাত্রার বিকল্প নেই। দূর প্রবাসে বসে তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ও উপায় থাকে না আপনাকে সামনা-সামনি বসিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার। আপনাকে যাচাই করার। তবে ইন্টারনেটের এই দুনিয়ায় অসম্ভব বলে কিছু নেই। সামনে না বসাতে পারলেও আপনাকে ঠিকই প্রশ্নের ঝড়ে কুপোকাত করতে পারবে। বর্তমান সময়ে টেলিফোনে খুব একটা ইন্টারভিউ না করা হলেও অনেক সময় চূড়ান্ত অ্যাডমিশনের আগে আবেদনকারীকে শেষবারের মতো যাচাই করে নিতে টেলিফোন এবং স্কাইপিতে ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে অ্যাডমিশন কর্তৃপক্ষ। তাই উচ্চ শিক্ষার জন্য যারা বিদেশে পাড়ি জমাতে ইচ্ছুক তাদের টেলিফোন সাক্ষাৎকার সম্পর্কে আগাম ধারণা থাকা জরুরি।
শুরুর ধাপ: এই অংশ মানসিকভাবে আপনাকে প্রস্তুত করার জন্য কুশলাদি জিজ্ঞাসা করবে।
Q: সচরাচর ইন্টারভিউ এর মতো প্রফেসর আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে বসতে পারে Tell me about yourself? অনেক প্রফেসর আছে যারা আরেকটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আপনার নাম কি, কোন দেশ থেকে, পড়াশুনা কোন বিষয়ে করেছেন ইত্যাদি জানতে চাইবে। ধারণা নিবে। এবং বুঝতে চেষ্টা করবে মূল ইন্টারভিউ এর জন্য আপনি প্রস্তুত কিনা।
Q: আপনার উপস্থিত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা কতখানি তা আঁচ করার জন্য প্রফেসর অনেক সময় What are your strengths and weakness? জাতীয় প্রশ্ন করতে পারে। তাই ইন্টারভিউ এর আগে থেকে উত্তর প্রস্তুত করে রাখা ভালো।
Q: উপস্থিত বুদ্ধির সাথে আপনার মানসিক চাপ বহনের ক্ষমতা কতখানি সে সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার জন্য প্রশ্ন হতে পারে If you’re not accepted into graduate school, what are your plans? তাই কখনো নেতিবাচক প্রশ্নকে নেতিবাচক না ভেবে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকার প্রস্তুতি থাকা উচিত।
আসল পর্ব:
Q: What do you know about our program? আপনিক কোন উৎস থেকে সেই প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, এই প্রোগ্রামে কি নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে গবেষণা করতে হবে, কোন বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে-ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। মোটকথা সেই বিষয় সম্পর্কে আপনার জানাশুনা কতখানি তা আন্দাজ করার চেষ্টা করবে।
Q: Why did you choose to apply to our program? যে বিষয়ে আবেদন করেছেন সেই বিষয়ে আপনার আগ্রহ কতখানি তা প্রকাশ করতে হবে। সবচেয় ভালো হয় সুন্দর ভাষায় যদি সেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিষয় সম্পর্কে একটু তেলবাজি করতে পারেন।
Q: What other schools are you considering? এই প্রশ্ন দিয়ে বুঝার চেষ্টা করবে ঐ বিষয়ের বাইরে অন্য বিষয়ে আগ্রহ আছে কিনা। অনেক সময় যদি প্রফেসর একজনকে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী থাকার পরে সেটা তাকে বুঝতে দিতে চায় না। এরকম পরিস্থিতিতে যদি আবেদন না করার পরও বলা হয় আবেদন করা হয়েছে সেক্ষেত্রে প্রফেসর কিছুটা চাপে পড়ে যাবে। এবং হয়তো ঝুঁকি না নিয়ে নিশ্চিত করতে চাইবে।