আমাদের দেশে টেলিফোনে ইন্টারভিউ খুব একটা দেখা যায় না। তার উপর পুরো ইন্টারভিউ যদি হয় ইংরেজিতে তাহলে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়াই সাধারণ ব্যাপার। বিট্রিশ ইংরেজি উচ্চা কিছুটা আমাদের জন্য যতোটাই বোধগম্য আমেরিকান ইংরেজি উচ্চার ততোটাই কঠিন মনে হতে পারে। তবে আশার কথা হলো খুব কম সংখ্যাক আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা আবেদনকারিকে টেলিফোনে ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার অধিকাংশ প্রফেসরই দেখা যায় ইন্ডিয়ান। সে কারনে উচ্চারন বুঝা নিয়ে খুব একটা ভীত না হলেও চলবে।
টেলিফোনে ইন্টারভিউ পর্বের শুরতেই আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে তাদেরকে দেওয়ার মতো আপনার হাতে যথেষ্ট সময় আছে কিনা। যদি আপনি ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তারা আপনার কাছে সময় জিজ্ঞাসা করবে এবং সময় নোট করে রাখবে। তবে সময় বলার ক্ষেত্রে আমেরিকার অফিসিয়াল সময়ের সাথে মিল আছে এরকম একটি সময় নির্ধারণ করা উচিত। যদি আপনার মো্বাইল অথবা টেলিফোনে মাইক্রোফোন এবং স্পিকারে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেইক্ষেত্রে অন্য কোন নাম্বার শেয়ার করা ভালো। যদি কোন কারনে প্রফেসর দ্বিতীয়বার ফোন করতে অনিচ্ছুক থাকে তাহসে আপনি নিজেই ফোন নাম্বার চেয়ে নিতে পারেন এবং পরবর্তী সময়ে ফোন করার প্রস্তাব দিতে পারেন।
যতি আপনি নিজেই প্রফেসরকে ফোন ব্যাক করেন, তাহলে কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনার আগাম ধারণা থাকা উচিত। অনেক সময় ফোন করে আপনি প্রফেসরকে ওয়েটিং অথবা ব্যস্ত পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে কিছুক্ষণ পরে আবার চেষ্টা করা।
ফোনে কথা বলার সময় সবার আগে প্রফেসরের বক্তব্য মনোযোগ সহাকারে শুনতে হবে। তারপরও যদি কোন কারনে পুরো বাক্তব্য বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে প্রফেসরকে না বুঝতে পারা অংশ আবার বলার জন্য অনুরোধ জানাতে পারেন। বক্তব্যের প্রধান অংশ যদি কোন কারনে শুনতে না পান তাহলে অনুমানের উপর উত্তর না করাই ভালো। যতটা সম্ভব ধীর গতিতে কথা বলা চেষ্টা করতে হবে। কেননা আপনি যত ধীর গতিতে কথা বলবেন কোন বিষয় নিয়ে ততো বেশি ভাবা এবং উত্তর করার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে আপনি যদি দ্রুত গতিতে কথা বলা চেষ্টা করেন, তাহলে প্রশ্নকর্তাও কখন দ্রুত গতিতে প্রশ্ন করে ফেলতে পারে। আমেরিকান ন্যাটিভ স্টাইল যেমন- wanna, gonna ইত্যাদি ব্যবহার না করাই শ্রেয়। ভুলক্রমে হলেও বলা উচিত না। তাহলে প্রফেসর নিজেও হয়তো আপনার কাছে ন্যাটিভ আমেরিকান স্টাইসে প্রশ্ন করে বসতে পারেন। যা অনুধাবন করা হয়তো আপনার জন্য আরো কঠিন ব্যাপার হবে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ায় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যে, প্রফেসরের সাথে কথা বলেছে এক স্টুডেন্ট কিন্তু ভর্তির পরে দেখা গেছে তিনি সম্পূর্ণ অন্য কেউ ছিলেন। যে কারনে প্রফেসরের সাথে দ্রুত ইংরেজি বললে তিনি হয়তো সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন। তাই যতটা সম্ভব ধীর গতিতে নম্রভাবে প্রশ্ন উত্তর করা উচিত।