কথায় আছে “জ্ঞান আহরণের জন্যে সুদূর চীন দেশেও যাও” আর জিআরই পরীক্ষা দেওয়া জন্যে দরকার হলে ভারত/নেপালে যাও।

বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র একটি সেন্টার (AAA) থাকাতে সবাই তাড়াহুড়ো করে রেজিস্ট্রেশন করাতে ব্যাস্ত থাকায় আপনি হয়তো সময়মত রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন নি। তবে আপনি চাইলে ভারত/নেপালে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসতে পারেন।

যাতায়াত বাবদ খবচ:

প্রথমে জেনে নেই কিভাবে যাবো? যেহেতু বাইরে পরীক্ষা দেওয়ার সেন্টার দুইটা, আর তা হলো কলকাতা আর কাঠমুন্ডু তাই ভারত এবং নেপালে যাওয়া নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। সাথে বাস এবং ট্রেনে যাতায়াত খরচ সহ।

প্লেনে যাতায়াত খরচ (ঢাকা- কলকাতা): ১১- ১২ হাজার টাকা

প্লেনে যাতায়াত খরচ (ঢাকা- নেপাল): ১৬- ১৭ হাজার টাকা

বাসে যাতায়াত খরচ (ঢাকা- কলকাতা): ৩ হাজার ৮০০ টাকা (প্রায়)

ট্রেনে যাতায়াত খরচ (ঢাকা- কলকাতা):

১. মৈত্রী এক্সপ্রেস- এসি ২ হাজার ২০০ টাকা (প্রায়)

২. এসি চেয়ার ১ হাজার ৫০০ টাকা (প্রায়)

৩. নন-এসি চেয়ার ৯০০ টাকা (প্রায়)

ট্রেনের সময়সূচী

train schedule

থাকা-খাওয়ার খরচ: 

যাতায়াত তো গেলো, এখন সেখানে থাকবেন কিভাবে? খাবেন কি? যেহেতু ঘুরাঘুরি কম, পরীক্ষার টেনশন বেশী তাই যত কমের মধ্যে সম্ভব থাকা-খাওয়ার পর্ব শেষ করে ফেরত আসতে হবে। খরচ এর হিসাব নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ভারতে প্রতিদিন থাকা ও খাওয়া মিলে প্রায় ৩-৫ হাজার টাকা পরবে। এটা পুরোটাই কোথায় খাওয়া হচ্ছে বা থাকা হচ্ছে সেটার উপর।
  • আর নেপালে প্রতিদিন খাওয়া বাবদ প্রায় খরচ হবে ১৫০০ টাকা। সাথে থাকার জন্য প্রায় আরও ১-২ হাজার টাকা।

পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন পর্ব: 

থাকা-খাওয়া শেষ। এবার আসি দেশে বসে আপনি কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন। ets.org থেকে আপনার মাইজিআরই এ গিয়ে টেস্ট সেন্টারের লোকেশন “kolkata” বা “kathmundu” পছন্দ করুন। মনে রাখবেন, যত আগে রেজিস্ট্রেশন করবেন তত সুবিধা, নাহলে বাংলাদেশের টেস্ট সেন্টার এর মত ঝামেলাতে পড়ে যাবেন। একই সাথে মাথায় রাখতে হবে, তাদের ক্যান্ডিডেটও কিন্তু পরীক্ষা দিচ্ছে। সুতরাং দেরী না করে ডেট নিয়ে ফেলুন।

ভার্চুয়াল কার্ড এ টাকা রিচার্জ করে রাতে সুবিধামত সময়ে বসে, ডেট দেখুন। কলকাতায় সেপ্টেম্বর-নভেম্বর এ অনেক সিট আছে। সুবিধামত ডেট নিয়ে পেমেন্ট করে ফেলুন।

test center

13281700_10208577113681916_211003938_n (1)

13293221_10208577135082451_253802207_n

 

13281721_10208577136962498_2133826254_n

13295261_10208577148762793_138795095_n

13275916_10208577152162878_8973408_n

ভিসা প্রসেসিং: 

ডেট নেওয়া হয়ে গেলে এবার ভিসা প্রসেসিং এর জন্যে কাজ শুরু করুন।

  • নেপালে অন অ্যারাইভাল ভিসা। এর জন্য মাথা পিছু ২ হাজার ৫০০ টাকা (প্রায়) পরবে ১৫ দিনের জন্য। বাংলাদেশের নেপাল অ্যাম্বাসীর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বছরে একবার ভিসা পেতে কোন টাকা লাগবে না। বরং ওই বছরে ২য় বার প্রবেশে ২ হাজার ২০০ টাকা মাথাপিছু ১৫ দিনের জন্য খরচ পরবে।
  • ভারতের ভিসার জন্য প্রথমে টোকেন নিতে হবে। এরপর সেই ই-টোকেন নিয়ে টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং ফি ৬০০-৭০০ টাকা। আর অ্যাজেন্টের মাধ্যমে ই-টোকেন নিতে প্রায় ২৫০০-৪০০০ টাকা (প্রায়) খরচ হবে।

এক্ষেত্রে প্রতারক এজেন্টদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এমন এজেন্ট পাওয়া যাবে নীলক্ষেত, গুলশান ২ এবং মতিঝিলে। সেই ই-টোকেনে একটা তারিখ লেখা থাকবে পাসপোট জমা দেয়ার জন্য। ওই তারিখে হাই কমিশনে গিয়ে পাসপোট জমা দিতে হবে। এর সাথে অন্যান্য ডকুমেন্টস দিতে হবে। কি কি তথ্য লাগবে তা ‘Indian visa requirements’ লিখে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। যদি টুরিস্ট ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করেন তবে কমপক্ষে এসময় ১০০ ডলার কিনে নিতে হবে।

আর্টিকেল কৃতজ্ঞতা: নাজমুস সাকিব (গ্রেক ফ্যাকাল্টি)