“ প্রবাসে” পর্ব ৩ঃ পুলিশ আসা, রেজিস্ট্রেশন বিড়ম্বনা  

ছেলেটি আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। বুঝতে পারছিনা, কি করব। আমাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সে একটানে আমার কাবার্ড খুলল। কাপড় চোপড় তছনছ করছে। মনে হল কি যেন খুঁজছে। সাজ্জাদ আমাকে একবার বলেছিল, আমেরিকানরা ড্রাঙ্ক হলে, অনেক সময় ভুলে অন্যের বাসায় ঢুকে পড়ে। ততক্ষণে আপু জেগে গেছে। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না সে। আমিই ছেলেটিকে বললাম, তুমি ভুল করে অন্যের বাসায় চলে এসেছ। তুমি কি খুঁজছ, আমাকে বল, কোন সাহায্য করতে পারি তোমাকে? হঠাৎ যেন তার হুঁশ ফিরল। ছেলেটি সরি বললো। যাবার আগে লাইট বন্ধ করবে কিনা জিজ্ঞেস করল। বললাম, থ্যাংক ইউ, কোন প্রয়োজন নেই।

ছেলেটি চলে গেল। আমি তার পেছন পেছন গেলাম। বাসার পাশে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। দেখলাম সে রেস্টুরেন্টের ওদিকে গেল। আমি দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসলাম। আমার দুই রুমমেট আমাকে ঘিরে ধরল, ব্যাপার কি। আমি কোন কথা বলছিনা, এতক্ষণ পর ভয়ে জমে গেছি। ঘটনা কি নাসরিন বোঝার চেষ্টা করল। আমাকে সে কয়েকদিন আগে বেজমেন্টে সারারাত লাইট জ্বালানোর জন্য খুব বকেছিল। যতই বলেছি, আমি জ্বালাইনি। ততই ও বললো, না, তুমিই জ্বালিয়েছ। তুমি অনেক অদ্ভুত কাজ কর্ম কর, তোমার দ্বারা সবই সম্ভব। আমি তর্ক এড়াতে ওর অভিযোগ মেনে নিয়েছিলাম। এখন সে সরি বললো। বললো, ব্যাপারটা বুঝেছি। ঐ ছেলেটির কাছে বাসার চাবি আছে, ঐ ছেলেটিই রোজ বেজমেন্টে লাইট জালায়। তুই কি গত পরশু উঠেছিলি? উঠিসনি, কিন্তু আমি হাঁটাহাঁটির শব্দ পেয়েছি। ঘটনা এখন পুরোপুরি পরিষ্কার আমার কাছে।

নাসরিন সাজ্জাদকে ফোন করল, পরিষ্কার ঘটনাটা বললো। সাজ্জাদের পরামর্শে ৯১১ এ ফোন করলাম আমরা। একটি মেয়ে পুলিশ ধরল। বাসার ঠিকানা নিল, কিভাবে কি হল, শুনছিল। বললো, দরজাটা খুলে দাও, সামওয়ান ইজ এট ইওর ডোর। এত তাড়াতাড়ি পুলিশ আসার ব্যাপারটায় খুব অবাক হলাম। সাজ্জাদই বুঝিয়ে বললো, পুলিশ সবসময় গাড়িতে করে পেট্রোল (পাহারা) করে। তাই নির্দেশ পেলেই খুব তাড়াতাড়ি আসতে পারে। পুলিশ এসেছে। সাজ্জাদ আর তার সাথে দুজন বাঙালিও এসেছে, কি হয়েছে পুরোটা জানতে। পুলিশ আমাদেরকে নিয়ে বেজমেন্টে গেলো। এর আগে আমরা কেউ বেসমেন্টে যাইনি। প্রচুর ভাঙ্গা চোরা জিনিসে ভরা। মুভিতে যেরকম হনটেড হাউস দেখেছি সেরকম। বেজমেন্ট দেখে নাসরিনকে বললাম, তুই কি এখনও মনে করিস, আমি প্রতি রাতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এখানকার লাইট জ্বালাতাম? কারণ লাইট জ্বালানোর ব্যবস্থা ভিতরে। কেউ লাইট জ্বালাতে চাইলে তাকে বেজমেন্টে নামতে হবে। আর আমি কোনকালেই এত সাহসী ছিলাম না।

নাসরিন বললো, আহারে শুধু শুধুই তোকে বকেছি। তবে এখন ঘটনা একদমই পরিষ্কার। তারপর পুলিশ অনেক কিছু জিজ্ঞেস করল। নাসরিন বললো, সে নিশ্চিত এ বাসায় রোজ কেউ আসে, এসে বেজমেন্টে লাইট জ্বালায় এবং তার কাছে চাবি আছে। কারণ আমরা লক করে ঘুমিয়েছি। পুলিশ সব নোট করল আর খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে আরেকটি প্রশ্ন করল আমরা ছয়জন ছেলে মেয়ে এক সাথে থাকি কিনা। এরকম ভয়ের মাঝেও এত অদ্ভুত প্রশ্নে খুব হাসি পেল আমার। আমি হেসে ফেললাম। নাসরিন আর শায়লা আপুও হাসল।

পরদিন বাড়িয়ালা একজনকে পাঠাল। ভদ্রলোক জিন্স টি শার্ট জুতো পরা, সাথে বিশাল পাজেরো। আমরা ধরে নিলাম বাড়িয়ালার ছেলে। লোকটি বললো, উনি কাঠমিস্ত্রি, ডেভিড ওনাকে পাঠিয়েছেন লক ঠিক করতে। সে সব লক পাল্টে দিল। আমি আস্তে আস্তে নাসরিনকে বললাম, আসলে সেদিন আমি লক করতে ভুলে গিয়েছিলাম। আর যে লাইট তুই হিটারের ফুটো ( ঘরের কোনায় কোনায়, মেঝেতে হিটিং এবং কুলিং এর বাতাস আসার জন্য ভেন্টিলেটর এর মত ফুটো ছিল) থেকে দেখিস আর ভাবিস বেজমেন্ট থেকে আসছে, ওটা বেজমেন্ট থেকে আসা কোন আলো না। ওটা হিটারের ফুটোর নিজস্ব আলো। খুব খেপে গেল নাসরিন, সে জানাল আমাকে বিশ্বাস করাই তার ভুল হয়েছে। সে পুরোটা আগেই আন্দাজ করেছিল। এখন ঘটনা একেবারে পরিষ্কার তার কাছে। বেশ বকুনি খেলাম আমি। তারপর ও আমাকে খেতে ডাকল। আজ একটা ইটালিয়ান ডিস রান্না করেছে নাসরিন।

এর মধ্যে বেশ কদিন পার হয়েছে আমার এ দেশে। ফোন নিয়ে ফেলেছি। ল্যাপটপ কেনা হয়নি। ইউ পি ডি তে গেলাম নেট ব্রাউজ করতে। ফেসবুকে সবাইকে জানালাম, ভাল আছি। ইমেইল চেক করলাম। স্ট্যানলি ইমেইল পাঠিয়েছে। ও আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী।

পরদিন বাঙালি কমিউনিটি থেকে আমাদেরকে বরণ করা হল। একটা পার্কে হল প্রোগ্রাম। অনেক বাঙালির সাথে পরিচয় হল। রুমা আপুর শাশুড়ি এসেছেন। তিনি আমাদেরকে অনেক আদর করলেন, গল্প করলেন। বেশ কটি বাচ্চা ছিল। তাদেরকে কোলে নেওয়ার খুব চেষ্টা করলাম। তারা কেউই পাত্তা দিল না। কাছে গেলেই নো নো বললো। তবুও আমার খুব ভাল লাগছিল। বিদেশে এই প্রথম আমি দেশ খুঁজে পেলাম।

আমি অনলাইনে ল্যাপটপ কিনেছি। আমার বাসার সামনে ওরা ল্যাপটপ রেখে গেছে। একদিন পরে খেয়াল করেছি। একটা পেনড্রাইভও কিনেছি। সব বুঝে পেয়েছি। কোন কিছু চুরি হয়নি। সাজ্জাদ বললো, আমেরিকাতে সাধারণত চুরি হয় না। চুরি না হওয়ার ব্যাপারটা আমাকে বেশ মুগ্ধ করল। নতুন ল্যাপটপ, সারাদিন সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। নেটের স্পিড খুব ভাল। টিভির মত সব দেখা যায়। মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। আমি মুগ্ধ হলাম। ক্রমাগত মুগ্ধ হচ্ছি আমি। ছোট ভাইকে, দুলাভাইকে ফোন করে মুগ্ধতার কথা বলছি। আমার আমেরিকা মুগ্ধতায় দুলাভাই এক সময় বিরক্ত হয়ে গেল।

একদিন দেখি ল্যাপটপে একটি ম্যাসেজ এসেছে, ওয়ালমার্ট সার্ভে অনুযায়ী আমি একটি আইফোন জিতেছি। আইফোনটি জিতে  ভয়াবহ আনন্দ হল আমার। তবে আইফোনটি পেতে হলে শুধু ১ ডলার দিয়ে একটা কিছু কিনতে হবে। আমি ৭০০ ডলার এর আইফোনের জন্য ১ ডলার দিয়ে কসমেটিক্স কিনলাম। আমি নাসরিনকে আইফোন পাওয়ার সুসংবাদটা দেই। নাসরিন খুব বকা দেয়। আমাকে একাউন্ট চেক করতে বলে। দেখি একাউন্ট থেকে দুইশ পঁচিশ ডলার কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি ওদের লেখাটা ভাল করে পড়ি। ওখানে লেখা,  ১ ডলার এর জিনিস কেনার সময় আমি ঐ কোম্পানির মেম্বার হয়েছি। মেম্বারশিপ ফি দুইশ পঁচিশ ডলার লেগেছে। প্রতি মাসে ওরা আমাকে ওদের প্রোডাক্ট পাঠাবে আর একাউন্ট থেকে ১২৫ ডলার কেটে নিবে।

খুব ঘাবড়ে যাই আমি। আমেরিকার প্রতি আমার সব মুগ্ধতা নিমিষেই নষ্ট হয়ে যায়। সাজ্জাদকে ফোন করি। সাজ্জাদ আমাকে খুব বকে। এরকম বুদ্ধি নিয়ে কি করে আমেরিকায় এসেছি, বিস্ময় প্রকাশ করে। খুব মন খারাপ হয় আমার। আমেরিকার প্রতি মুগ্ধ হবার কারণে ভীষণ অনুতপ্ত হই আমি। সাজ্জাদকে আমি আরও একটি সমস্যার কথা বলি। ও আমার ব্যাংক একাউন্ট চেক করে। ওখানে জরিমানা হিসেবে পঁচাত্তর ডলার কেটে নেওয়া হয়েছে। কারণ আমি সেভিংস এ টাকা রেখে চেকিং থেকে খরচ করেছি। সাজ্জাদ বলে এখানে সব সিস্টেমেটিক। সিস্টেম না মানলেই অসুবিধায় পড়তে হয়। আমেরিকার সিস্টেমের প্রতি খুব বিরক্ত হই আমি।

আমরা ভর্তি হলাম। অনেক বড় ভাইয়া ইমেজ প্রসেসিং সাজেস্ট করল। ইমেজ প্রসেসিং নিলাম আমি। আমার সাথে কোন বাঙালি নেই। তারা অন্য বিষয়ে ভর্তি হল। প্রথম দিন ক্লাসে গেলাম। লাইট অন করা ছাড়াই আলো জ্বলে উঠল। সবাই বের হলে আবার একাই নিভে গেল। প্রতিটা সিটের সাথে ইলেকট্রিক সকেট দেখলাম। সবাই ল্যাপটপ লাগিয়ে কাজ করছে। মাল্টি প্লাগ সহ তারের গিট্টু কোথাও দেখলাম না। সকেট ভর্তি ক্লাস রুম আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করল। আমি আবার আমেরিকার প্রতি মুগ্ধ হওয়া শুরু করলাম। লাঞ্চ টাইমে সবাই খাওয়া দাওয়া করছে। একটা মেশিনের ভেতর কয়েন ফেলছে আর সেখান থেকে পছন্দের কোল্ডড্রিঙ্কস, চিপস বেরিয়ে আসছে। মেশিনটাকে জাদুর বাক্স মনে হল। ভাইকে বলা গল্পের তালিকায়, এটি যোগ করলাম।

I-20 অনুযায়ী চুক্তি ছিল আমার সত্তরভাগ টিউশন ফি ওরা মাফ করে দিবে আর জীবনধারণের জন্য আমাকে টিচিং এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে হবে।আমাকে ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইনের টি এ দেওয়া হল। একাজগুলো আমরা বাংলাদেশে শিখিনি। তবে শুনেছি এখন শেখানো হয়। সেগুলো শিখতে ইউটিউব অনেক সাহায্য করল আর আমাকে, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে হল। মোটামুটি বেশ নাজেহাল অবস্থা আমার। আমি প্রথমে নিজে শিখি। কোড রেডি করি। কানেকশন চেক করি, তারপর ওদের শেখাই। ভেতরে ভেতরে ভীষণ নার্ভাস থাকি, যদি ট্রাবলসুট না করতে পারি এই ভয়ে। তবে বাইরে, ছাত্রদের সামনে সবজান্তা শমসের টাইপ ভাব নেই। ছাত্রদের কথা বোঝা খুব কষ্টকর ছিল। ওরা সবাই আমেরিকান ছিল। একসেন্ট বুঝতে ঝামেলা হতো। ওদের অনেকের আচরণ ও খুব রেসিস্ট মনে হয়ে ছিল। কোর্সওয়ার্ক নিয়েও বেশ বেকায়দায় ছিলাম। প্রথম এসাইনমেন্ট, কেউ করেছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম কিছু মেয়েকে। তারা সবাই না বললেও ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দিল। আমি প্রফেসরের সাহায্য নিলাম। এক আমেরিকান প্রফেসরের ক্লাসে উনি আমার নাম জিজ্ঞেস করলেন। আমি জান্নাতুন বললাম, তিনি আমাকে জানালেন, জান্নাতুন বেশ কঠিন, উনি আমাকে জান বলে ডাকতে চান। আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। এক চাইনিজ প্রফেসর বললেন, আমাকে জানা বলে ডাকলে আমি মাইন্ড করব কিনা? আমি বললাম, করব না।

আমি দিনের সবটা সময় ক্যাম্পাসে থাকতাম। ল্যাবের কাজ শেষে বেশ রাতে বাড়ি ফিরতাম। ওদের শেখাতে শেখাতে এক সময় দেখলাম আমার মাথায়ও শেখার ভূত চেপেছে। ল্যাব শেষে দেখি, যে ভেন্ডিং ম্যাশিন (কয়েন দিলে টুপ করে খাবার পড়ে) দিয়ে আমরা খাবার কিনি, আমরা সেটা বানিয়ে ফেলেছি। আমি সিগন্যাল প্রসেসিং এর কোর্স নিয়েছি, কিছুই মাথায় ঢোকে না। টি এ ল্যাবের প্রতিদিনের নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট এর প্রোগ্রাম। বেশ হিমসিম খাচ্ছি। আমার প্রফেসর ছিলেন খুব বদরাগী। আমেরিকানরা সাধারণত এরকম হয় না। তবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একটি কোর্স থেকে অনলাইন একাঊণ্টে অনেক ইমেইল পাচ্ছি। ইমেইল পাচ্ছি যে প্রফেসর এর কাছ থেকে, তার কোর্স আমি নেইনি। আর যার কোর্স (সেমিনার) নিয়েছি তার নাম এবং কোর্সের এর ব্যাপারে কোন ইনফরমেশন অনলাইনে পাচ্ছিনা।

আমি অনলাইনে যে প্রফেসরের নাম দেখলাম, তার কাছে গেলাম। উনি আমাকে কি বললেন, ভাল করে বুঝতে পারলাম না। শুধু ইয়েস ইয়েস বললাম। গ্রাড কো –অর্নিডেটরকে খুঁজলাম, তিনি আমেরিকার বাইরে গেছেন। সেমিনার কোর্স তাই ধরে নিলাম বাংলাদেশের মত, সেমিস্টার শেষে কোন একদিন সেমিনার দিতে হবে। গ্রাড কো–অর্নিডেটর ফিরেছেন। আমি তার রুমে দাঁড়িয়ে আছি। আমি ভুলে 790-s2 না করে 790-s1 রেজিস্ট্রেশন করেছি। এ কারণে ওয়েবে কোন ক্লাস ইন্সট্রাকসন পাইনি। উনি আমাকে বললেন, সেমিনার কোর্সে এই একমাস নিয়মিত ক্লাস হয়েছে আর তুমি সেটা মিস করেছো। তুমি কোর্স ড্রপ করতে পারো। তবে তাহলে তুমি তোমার F1 (Student Visa) স্ট্যাটাস লুজ করবে। আর ড্রপ না করলে তুমি এফ পাচ্ছ। এফ পেলে তুমি এসিস্ট্যান্টসিপ লুজ করছ। এসিস্ট্যান্টসিপ লুজ করলে নিজে থেকে এতো টাকা দিয়ে এখানে তুমি পড়তে পারবে না। তাহলে তুমি নিশ্চিতভাবে দেশে ফিরছ।

আমি টি এ ল্যাবের কোণায় বসে কাঁদছি, অসহায়ের মত কাঁদছি।

 


প্রবাসে সিরিজের গল্পসমূহঃ

 পর্ব ১ঃ যাত্রাপথের গল্প
 পর্ব ২ঃ নতুন বাসা, ওরিয়েন্টেশন, রাস্তা হারানো
 পর্ব ৩ঃ পুলিশ আসা, রেজিস্ট্রেশন বিড়ম্বনা
 পর্ব ৪ঃ ডরমেটরির গল্প, প্রথম তুষারপাত
 পর্ব ৫ঃ ইন্টারন্যাশনাল নাইট, বাসা নিয়ে ঝামেলা, শায়লা আপুর চলে যাওয়া
 পর্ব ৬ঃ কামরানকে হাসপাতালে নেওয়া, টেকো সুদীপ আর ব্রিটিশ প্রফেসরের গল্প
 পর্ব ৭ঃ ল্যাব ও ফরাসী যুবকের হৃদয় ভাঙার গল্প
 পর্ব ৮ঃ সামার এসেছে, বেতন পাইনি, প্রথম বাসা ছেড়ে দিলাম
 পর্ব ৯ঃ সঙ্গীহীন জীবন, সুরিয়া মথুর গল্প, সামারের দিনলিপি, একা পথ চলা
 পর্ব ১০ঃ বিদেশী ভাষা শেখা ও আমেরিকান চাষাবাদের গল্প
 পর্ব ১১ঃ আমার বাইবেল শেখা
 পর্ব ১২ঃ সাজ্জাদের চলে যাওয়া, লিবিয়ান পরিবারের গল্প
 পর্ব ১৩ঃ মুহিত ভাইয়ের গল্প, আমার আগুন ধরিয়ে ফেলা
 পর্ব ১৪ঃ মসজিদ, ঈদ, ইয়ামিনী আসা, নতুন বাসা, আমেরিকান বিয়ে ও অরিগন যাবার গল্প
 পর্ব ১৫ঃ
 পর্ব ১৬ঃ
 পর্ব ১৭ঃ
 পর্ব ১৮ঃ
 পর্ব ১৯ঃ

লেখক পরিচিতিঃ

 জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নর্থ ক্যারোলিনা এ এন্ড টি স্টেট’ ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ‘PhD’ করছেন এবং তার গবেষণার বিষয় হল ‘Real time Object detection with Higher Accuracy’। jannatunজান্নাতুন নাহার তন্দ্রার স্কুল জীবন কেটেছে চুয়াডাঙ্গা শহরে, কলেজ জীবন হলিক্রস কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে। এবং সেখান থেকেই ২০১০ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত কর্মজীবন শেষে ২০১২ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এবং ২০১৪ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা অবসরে লিখতে ভালবাসেন এবং সে অভ্যাস বশতই আমেরিকার গ্রাজুয়েট প্রোগামে একা একটি মেয়ে পড়তে আসার অভিজ্ঞতা (সাউথ ডাকোটা) একসময় তিনি লিখতে শুরু করেন। এবং তার এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘প্রবাসে’ নামে ২০১৫ সালের ‘একুশে বই মেলায়’ তার একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটি কোন তথ্যমূলক বই নয় বরং বলা যায় এটি লেখিকার রোজকার ডায়েরী।