সামার থেকে আমার ফুল ফান্ডিং হয়েছে। আগের থেকে আমি দ্বিগুন বেতন পেতাম। বাসা ভাড়া খেয়ে দেয়ে আমার বেশ টাকা বেঁচে যেত। সেটা দিয়ে শপিং করতাম। বাইরে খেতে যেতাম। আর বাকিটা জমিয়ে রাখতাম টিউসন ফি দেবার জন্য। গত দু’সেমিস্টারের জন্য বাসা থেকে পাঁচ হাজার ডলার এনেছিলাম, টিউসন ফির অনেকটা সেখান থেকেই দিয়েছি। সামনের সেমিস্টার গুলোতে টিউসন ফি এবার আমাকেই জোগাড় করতে হবে। তাই কিছুটা জমিয়ে রাখা।

প্রতি মাসের স্যাটারডেতে জ্যাসিপেনিতে কাপড়ে সেল দেয়। আমাদের বাসা থেকে সেটি বেশি দূরে ছিল না। আমরা বাসার পিছনের দিক দিয়ে বের হতাম। বাসার পিছনের দরজায় সবসময় সুমু কুস্তিগিরের মত একটা মেক্সিকান দাঁড়িয়ে থাকত। আমাদেরকে দেখলেই হাই দিত। আমরাও দিতাম। তবে লোকটাকে কেমন ভয় লাগত।

আমাদের এই বাসাটা আগের বাসার মত না। তিনতালা একটি বিল্ডিং। নিচতালার অর্ধেকটা মাটির নিচে। আমরা মাটির নিচে থাকি তবে জানালাটা মাটি বরাবর। এজন্য প্রচুর আলো বাতাস আসে। এখানকার সব বাসা, অফিস বিল্ডিং এর একতালা মাটির নিচে। ঘর গরম রাখার জন্য এরা মাটির নিচে এক তালা বানায়। এতে হিট বিল অনেকটা বেচে যায়। তবে ডাউনটাউন ছাড়া আমেরিকাতে উঁচু বিল্ডিং খুব দেখা যায় না। অধিকাংশই একতালা–দোতালা বা তিনতালা বাড়ি। প্রায় সব বাড়িই কাঠের তৈরি। আমাদের দেশে কাঠ দিয়ে বানালে সাধারণত সেটিকে কুঁড়েঘর বলা হয়। যেদিন প্রথম আমেরিকায় আসি। সেদিন মনে হল, এ কোন কুঁড়েঘরের দেশে আসলাম। তবে বাইরে থেকে কুঁড়েঘর মনে হলেও বাসার ভেতরটা সেরকম নয়। আধুনিক জীবন যাপনের সব কিছুই সেখানে আছে।

আমাদের বিল্ডিং এ অনেক মেক্সিকান থাকত। মাঝেই মাঝেই তাদের বাচ্চারা চিৎকার করে কাঁদত, ঝাপাঝাপি করে খেলত। আমরা নিচ থেকে শব্দ পেতাম আর বিরক্ত হতাম। মাঝে মাঝে ভালোও লাগত। বাচ্চাদের অনেক কান্নায় আমার মন ভাল হয়ে যেত। একা থাকার ব্যাপারটা কেটে যেত। সুরিয়ার বাসায় এক নতুন উপদ্রব যোগ হল এক ইন্ডিয়ান মহিলা। মহিলা খ্রিস্টান। উনি ওনার দুই মেয়ে, স্বামী নিয়ে এখানেই থাকেন। ওনারা সবাই খ্রিস্টান মিশনারির হয়ে কাজ করেন। সুরিয়ার সাথে ওনার বেশ ভাব ছিল। উনি রোজ রোববার সুরিয়াকে নিয়ে চার্চে যেতেন। সেখানে সুরিয়া আর সবার সাথে প্রার্থনা করত। প্রার্থনা শেষে উনি সুরিয়াকে বাসায় নামিয়ে দিতেন। মাঝে মাঝে সুরিয়ারকে মেথি দিয়ে যেতেন। ভদ্র মহিলার মেথি গাছ ছিল। সেই মেথি সুরিয়া মুখে মাখত আর আমাকে বলত, কাজ হচ্ছেনা বল? আমার মনে হচ্ছে বেশ কমে গিয়েছে, এবার মথু আসলে খুব অবাক হবে। ব্রনের জন্য আর বকা ঝকা করবে না । আমি ওকে হতাশ করতাম না, কাজ না হলেও বলতাম ভীষণ কাজ হচ্ছে। সুরিয়া শুধু মেথির জন্য গির্জায় যেত না। সে প্রার্থনাও করত। আমি একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি যে গির্জায় যাও, তুমি কি নিজের ধর্মে বিশ্বাস কর না? ও বলত, করি। কিন্তু জানি না তো কোনটি সত্যি। হাসতে হাসতে বলত মরার পর যদি ঠকে যায়, তাই সুযোগ যখন পেয়েছি দুটোই করি, যেইটা কাজে লাগে আর কি। তবে সে বললো, তার কেন জানি মনে হয় খ্রিস্টান ধর্ম সত্যি।

একদিন দেখি চার্চের ইন্ডিয়ান মহিলা জেসমিন, বাসায় বসা। আমার জন্যই নাকি সে অপেক্ষা করছে। সুরিয়া বললো, জেসমিন তোমাকে বাইবেল শেখাতে চায়। আমি ইশারায় বললাম, আমি আগ্রহী নই। তবু ওর পিড়াপিড়িতে আর ভদ্রতার খাতিরে মহিলার সাথে কথা বলতে হল। আর আমি লিভিং রুমটাই থাকতাম। মহিলা ওখানেই বসা। মহিলা আমার সাথে অনেক গল্প করলেন। ওনার সাথে কথা বলতে আমার ভালই লাগছিল। তাকে বেশ আন্তরিক মনে হল। এখানে কেমন আছি, নানা সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করছিলেন। আমি কিছু কিছু সমস্যার কথা বললাম। উনি বললেন,  তুমি কি জান বাইবেলে সকল বিষয়ের সমাধান দেওয়া আছে। আমি সাথে করে এক কপি বাইবেল এনেছি তোমার জন্য। এটা ফ্রি। তোমাকে কোন পে করতে হবে না এজন্য। আমি এতটা গোঁড়া কখনও ছিলাম না যে ভাবব বাইবেল ছুঁলে আমার পাপ হবে। তবু তাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছুঁতোয় বললাম, দেখ আমি ভাল ইংরেজি পড়তে পারি না। ক্লাসের পড়ায় অনেক টেকনিক্যাল টার্ম থাকে, তাই বোঝা যায়। কিন্তু বাইবেল অনেক কঠিন বিষয়, আমি কিছুই বুঝব না। আমি ভালো ইংরেজি না জানায় ভদ্র মহিলা আমাকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ পড়ে সহজ করে বোঝাতে লাগলেন।

আমার সাথে ব্রিটিশ প্রফেসর এর ক্লাসে বেথ নামে একটি ছেলে ছিল। বেথ কোঁকড়া লাল চুলের টিপিকান আমেরিকান। আমি জ্যাক আর বেথ একসাথে প্রজেক্টের কাজ করেছিলাম। প্রজেক্টটা বেশ মজার ছিল। তবে বেথের মুখে ভীষণ বাজে গন্ধ। মিটিঙের পুরো সময়টা আমার মনে হত কখন শেষ হবে। তবে বেথ খুব পরিশ্রমী ছেলে সে সহজে শেষ করতে চাইত না। সামারে একদিন তার সাথে দেখা হল। । বেথকে সেদিন খুব উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। সুখের কারণ, সে একটি স্কলারশিপ পেয়েছে। সামারেই গ্রাজুয়েশান করবে সে। তারপর জার্মানি যাচ্ছে পড়তে। এরকম একটি স্কলারশিপ এর জন্য নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে করছে। আমি বেথকে অভিবাদন জানালাম। তবে আমার ভীষণ অবাক লাগল। আমেরিকা আসার জন্য আমরা যেখানে হুটোপুটি করি, নাচা নাচা করি সেখানে সে নেচে নেচে আমেরিকা ছেড়ে জার্মানি যাচ্ছে!

রায়হান ভাইয়ের বউ পিয়া, যে মেয়েটি আমাদের ক্যাম্পাসের, এক বিকেলে ওর বাসায় আসতে বলল। বিকেল মানে দুপুর বারোটার পর। বারোটার পর থেকের সময়টাকে এখানে বিকেল বলা হয়। আর বিকেলটাকে সন্ধ্যে। প্রথম প্রথম আমার বুঝতে খুব অসুবিধা হত। একবার এক প্রফেসর আমাকে বললেন, তুমি আফটারনুন এ আসো। আমি ধরেই নিলাম তাহলে আমাকে বিকাল পাঁচটা–ছয়টার দিকে যেতে হবে। সেই ভেবে অপেক্ষা করছি। পরে একজন বললো, তুমি এখনও যাওনি? আফটারনুন মানে তো আফটার টুয়েলভ । পিয়ার সাথে দেখা করতে ফ্যামিলি হাউজিং এ গেলাম। ফ্যামিলি হাউজিং হল ফ্যামিলি স্টুডেন্টদের জন্য বাসা। বেশ অল্প খরচে থাকা যায়। ফ্যামিলি না থাকলে সিঙ্গেল স্টুডেন্টদেরকে এ বাসাগুলো দেওয়া হয় না। খুব ছোট বাসা। তারপর ও খারাপ না। একটা করে বেডরুম, সাথে এটাচড লিভিং-ডাইনিং- কিচেন। ফ্যামিলি হাউজিং এ গেলে আমার বেশ ভাল লাগে। মনে হয় দেশে চলে এসেছি। এখানে আসলে দেখা যায়, ব্যাক ইয়ার্ডের ফাঁকা জায়গায় অনেক খুঁটি পোতা। সেখানে এশিয়ানরা কাপড় শুকাচ্ছে। শাড়ি-সালোয়ার কামিজ পরা অনেক মহিলারা বাইরে দাঁড়িয়ে গল্প করছে। বাচ্চারা খেলছে।

আমেরিকার কোথাও সাধারণত বাইরে কাপড় মেলতে দেখা যায় না। এটা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা জানি না। তবে কাউকে মেলতে দেখিনি। এরা কাপড় জমিয়ে রাখে। তারপর সপ্তাহ শেষে নিজের লন্ড্রি থাকলে সেখানে কাঁচে। না থাকলে কাপড় কাঁচার জন্য আলাদা অফিস আছে। সেটাকে লন্ড্রি হাউজ বলে। সেখানে যেয়ে কেঁচে ড্রায়ারে শুকিয়ে নিয়ে আসে। তার জন্য কয়েন ফেলতে হয়। প্রতিবার কাপড় কাঁচতে আড়াই ডলার লাগে। আমাদের নতুন বাসার সামনেই একটি লন্ড্রি হাউজ আছে। আমি জানালা দিয়ে দেখি আমেরিকানরা সেখানে গাড়িতে করে কাপড় কাঁচতে আসে।

ফ্যামিলি হাউজিং এ যাওয়া মানে অবশ্যই মলি ভাবীর বাসায় একবার ঢুঁ মারা। উদ্দেশ্য; যখনই যাওয়া হোক না কেন উনি ভাত না খাইয়ে ছাড়েন না। বিকেলে গেলেও উনি ভাত খেতে বসিয়ে দেন। ফ্রিজ খুলে যা আছে সব বের করেন। ভাবীর রান্না খুব ভাল আর সেখানে চার –পাঁচ পদ থাকেই। প্রথম প্রথম বেশ লজ্জা পেতাম। তবে এখন আর পাই না। একটু ভদ্রতা করে না বলি তারপর নির্লজ্জের মত খেয়ে নিই। এই নির্লজ্জতা আমি নাসরিনের কাছে শিখেছি। নাসরিন যে ভাবীর বাসায়ই যায়, ভাবীরা কিছু বলার আগেই সে জানিয়ে দেয়, তার খিদে পেয়েছে। ভাত হলে ভাল হয়।

মলি ভাবীর একটি পাকনা মেয়ে আছে। নাম নুশেরা। নুশেরা দেখি নেপালি বাচ্চাদের সাথে রান্নাবাটি খেলছে। ভাবীকে জিজ্ঞেস করি, এখানে রান্নাবাটি ও কি করে শিখল? ভাবী বলেন, আমেরিকান মেয়ে বাচ্চারাও নাকি রান্নাবাটির মত খেলা খেলে কিন্তু ওরা অন্য একটি নামে ডাকে। গল্পে গল্পে জানি আমাদের দেশীয় অনেক খেলাই ওরা খেলে। সুরিয়া কে জিজ্ঞেস করি, ওরাও খেলে। মাছ কুত কুত, সাধারন কুত কুত সব সুরিয়া জানে। কুতকুত খেলা জানে জেনে আমার খুব অবাক লাগে। কুত কুত এর কথা হোসেনকে জিজ্ঞেস করি। সে বলে ইরানি মেয়েরাও এরকম একটি খেলা খেলে। আরও অনেক দেশের মেয়েরাই নাকি খেলে। পৃথিবীশুদ্ধ মেয়েরা একই রকম খেলে, জেনে খুব ভাল লাগে আমার। নুশেরার বয়স তিন। কিন্তু সে তিনশো বছরের বুড়ীর মত পাকা পাকা কথা বলে। আমাদের সাথে কথা বললে সে তার পাকা কথা বাংলায় বলে। কিন্তু নেপালি মেয়েটি যখন ওকে খেলতে ডাকে, তার পাকা কথা সে ইংরেজিতে বলে।

পরের সপ্তাহ। রবিবার সকাল। সুরিয়া বললো জেসমিন তোমাকে গির্জায় যাওয়ার জন্য ডাকছে। শরীর খারাপ বলে আমি এড়িয়ে গেলাম। সুরিয়া চলে গেল। ভাবলাম বেঁচে গেছি। বাসার কলিং বেল বাজল, গির্জা থেকে সুরিয়া ফিরেছে। সাথে জেসমিনকেও এনেছে। জেসমিনের সাথে গির্জার একজন আমেরিকান মহিলাও এসেছেন। জেসমিন আমাকে দেখে মিষ্টি হাসি দিল। আমেরিকান মহিলা বললেন, শুনলাম তোমার শরীর খারাপ। তুমি কি জান, শরীর খারাপ হলে, তুমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে তুমি সুস্থ হয়ে যেতে পার। ভদ্র মহিলা আমার হাতে একটি বই দিলেন। সেখানে বাংলায় গোটা গোটা অক্ষরে অক্ষরে লেখা বাইবেল। আমি কিছুতেই বুঝতে পারলাম না, বাংলায় লেখা বাইবেল উনি কোত্থেকে জোগাড় করলেন। উনি বললেন বাইবেলের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ বাংলায় পড়ে ওনাকে শোনাতে। আমার মনে হল যাতা একটি কিছু বলি, উনি নিশ্চয়ই বাংলা বুঝবেন না। কিন্তু সেটি আর হল না। আমি এতক্ষণ কি শিখলাম এবার উনি ইংরেজিতে অনুবাদ করে শোনাতে বললেন। পরবর্তী সপ্তাহে আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উনি চলে গেলেন। বাইবেল পড়তে যে আমার খুব খারাপ লেগেছিল তা নয়। অল্প যতটুকু পড়েছি, বাইবেলের অধিকাংশ কাহিনীর সাথে আমাদের ধর্মের মিল আছে।

তবে ওনাদের এই জোর করার ব্যাপারটা কিছুতে মানতে পারছিলাম না। সাজ্জাদ আমাকে একবার বলেছিল এ দেশে এখনও কৌশলে ধর্ম প্রচার করা হয়। কেউ ধর্মান্তরিত হলে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। এরপর জেসমিন কয়েকবার বাসায় এসে আমাকে না পেয়ে ফিরে গেল। আমাকে ফোন করলেও আমি নানা অজুহাত দিতে লাগলাম। সুরিয়াও নিশ্চয়ই কিছু বলেছিল। সে আর আমাকে কোনদিন বাইবেল শেখাতে আসেনি। তবে বাংলায় লেখা বাইবেলটি আমার কাছে রয়ে গেল। এরপর সুরিয়া একদিন এসে আমাকে বললো সে মিনেসোটা যাচ্ছে। গির্জা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধর্মীয় কোন কাজে নয়। মানসিক অবসাদ কাটাতে। থাকা খাওয়া হোটেল ভাড়া সব ফ্রি। তিনদিনের টুরে সুরিয়া মিনেসোটা চলে গেল। আমি আবার একা হয়ে গেলাম। একা বাসায় ভয় করতে লাগল। এর মাঝে ঐ মেক্সিকান সুমু কুস্তিগিরটাকে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেল।

 


প্রবাসে সিরিজের গল্পসমূহঃ

 পর্ব ১ঃ যাত্রাপথের গল্প
 পর্ব ২ঃ নতুন বাসা, ওরিয়েন্টেশন, রাস্তা হারানো
 পর্ব ৩ঃ পুলিশ আসা, রেজিস্ট্রেশন বিড়ম্বনা
 পর্ব ৪ঃ ডরমেটরির গল্প, প্রথম তুষারপাত
 পর্ব ৫ঃ ইন্টারন্যাশনাল নাইট, বাসা নিয়ে ঝামেলা, শায়লা আপুর চলে যাওয়া
 পর্ব ৬ঃ কামরানকে হাসপাতালে নেওয়া, টেকো সুদীপ আর ব্রিটিশ প্রফেসরের গল্প
 পর্ব ৭ঃ ল্যাব ও ফরাসী যুবকের হৃদয় ভাঙার গল্প।
 পর্ব ৮ঃ সামার এসেছে, বেতন পাইনি, প্রথম বাসা ছেড়ে দিলাম
 পর্ব ৯ঃ সঙ্গীহীন জীবন, সুরিয়া মথুর গল্প, সামারের দিনলিপি, একা পথ চলা
 পর্ব ১০ঃ  বিদেশী ভাষা শেখা ও আমেরিকান চাষাবাদের গল্প
 পর্ব ১১ঃ আমার বাইবেল শেখা
 পর্ব ১২ঃ সাজ্জাদের চলে যাওয়া, লিবিয়ান পরিবারের গল্প
 পর্ব ১৩ঃ মুহিত ভাইয়ের গল্প, আমার আগুন ধরিয়ে ফেলা
 পর্ব ১৪ঃ মসজিদ, ঈদ, ইয়ামিনী আসা, নতুন বাসা, আমেরিকান বিয়ে ও অরিগন যাবার গল্প
 পর্ব ১৫ঃ
 পর্ব ১৬ঃ
 পর্ব ১৭ঃ
 পর্ব ১৮ঃ
 পর্ব ১৯ঃ

লেখক পরিচিতিঃ

 জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নর্থ ক্যারোলিনা এ এন্ড টি স্টেট’ ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ‘PhD’ করছেন এবং তার গবেষণার বিষয় হল ‘Real time Object detection with Higher Accuracy’। jannatunজান্নাতুন নাহার তন্দ্রার স্কুল জীবন কেটেছে চুয়াডাঙ্গা শহরে, কলেজ জীবন হলিক্রস কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে। এবং সেখান থেকেই ২০১০ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত কর্মজীবন শেষে ২০১২ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এবং ২০১৪ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা অবসরে লিখতে ভালবাসেন এবং সে অভ্যাস বশতই আমেরিকার গ্রাজুয়েট প্রোগামে একা একটি মেয়ে পড়তে আসার অভিজ্ঞতা (সাউথ ডাকোটা) একসময় তিনি লিখতে শুরু করেন। এবং তার এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘প্রবাসে’ নামে ২০১৫ সালের ‘একুশে বই মেলায়’ তার একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটি কোন তথ্যমূলক বই নয় বরং বলা যায় এটি লেখিকার রোজকার ডায়েরী।