আমাদের গাড়ি চালানোর বেশ অগ্রগতি হচ্ছে। নাসরিন পার্কিং লট থেকে এখন রাস্তায় চালায়। আমি বললাম আমিও চালাবো। নাসরিন বললো, না তুই তো নিজের লেনেই থাকতে পারিস না। তোর দেরি আছে। আমার মনে হল, নাসরিন সবসময় বেশি বেশি বলে, অকারণেই আমাকে বকাবকি করে। আমি বললাম, আমি চালাতে চাই। হোসেন বললো, আচ্ছা চালাক না। ভিতরের রাস্তায় তো। এখানে তো গাড়ি তেমন আসে না।

আমি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। বেশ ভালই চালাচ্ছি। রেয়ার ভিউ মিররে আমার পিছনে একটি গাড়ি আসছে। বেশ জোরে সোরে আসছে। মনে হচ্ছে আমাকে এক্ষুনি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে। আমি কি করব বুঝতে পারছি না। আমি হোসেনকে বাংলায় জিজ্ঞেস করছি, আমি কি করব, কি করব। আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছি। বাংলা না জানায় হোসেন আমার কথার উত্তর দিতে পারছে না। পিছনের গাড়িটি আমার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। নাসরিন আমাকে কিছু একটা বললো।  আর তখনি প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়ে আমাদের গাড়ি কার্ভের উপর উঠে গেল ও একটি তৃণভূমির মত জায়গায় থেমে গেল। নাসরিনকে দেখে মনে হল, আমাকে সে এক্ষুনি মেরে ফেলবে। হোসেন থাকায় সে যাত্রা আমি রক্ষা পেলাম।

আমাদের আর একজন ইন্সট্রাক্টর সুদীপ। আমেরিকাতে চাইলেই যে কেউ গাড়ি চালানো শেখাতে পারবেনা। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স এক বছরের পুরনো হতে হবে। সুদীপের সেটি আছে। তবে সুদীপ কথা বলে বেশি। কোন কিছু সহজে বোঝাতে পারে না। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বোঝায়। এবং তার প্রতিটি বোঝানোয় একটি করে ম্যাসেজ থাকে সেটি হল তার থেকে ভাল ড্রাইভার আর ইনস্ট্রাক্টর পুরা দুনিয়াতে নেই। নাসরিন সুদীপের প্রতি বেশ বিরক্ত। কিন্তু বিরক্ত হলেও আমরা কিছু বলছি না। কারণ আমাদের গাড়ি চালানো শেখাতে এই ছেলেটিই সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে। একদিন ইয়ামিনী এসে বললো, তার ক্লাসের উপেন নামে ছেলেটি একাই একটি সাদা রঙের  গাড়ি কিনেছে। দেখো উপেন সেইদিন এসেছে আমার সাথে, এসেই গাড়ি। উপেন নিশ্চয়ই খুব বড়লোকের ছেলে। উপেন কিন্তু দেখতেও বেশ। বেশ ভাল কিন্তু ছেলেটি। মনে হল উপেনকে ইয়ামিনীর খুব মনে ধরেছে।

সুদীপ আমাদের গাড়ি চালানো শেখানোর জন্য আমাদের বাসায় আসে, কারণ আমাদের গাড়ি থাকে আমাদের বাসায়। তারপর  আমাদের গাড়িতে, গাড়ি চালানো শিখিয়ে, নিজের একটি সাদা গাড়িতে সে বাড়ি ফিরে যায়। সুদীপ সম্প্রতি এই সাদা গাড়িটি কিনেছে। গাড়িটি সে একাই কিনেছে।  আমাদেরকে সে খুব খুশীর সাথে খবরটি জানিয়েছে। সেই গাড়িতেই সে রোজ আসে। তবে মাঝে মাঝে অদৃশ্য কারণে সে ৩০ মিনিট হেঁটে এসে আবার ৩০ মিনিট হেঁটে ফিরে যায়।  সেদিন আর গাড়ি আনে না।

একদিন সে সুশান্ত নামে একজনকে নিয়ে এসেছে। নাসরিন আর সুদীপ একটু দূরে গল্প করছে। আমি আর সুশান্ত আলাদা গল্প করছি। সুশান্তকে বলছি, তুমিও গাড়ি কিনে ফেলতে পার, শেয়ারে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়াটা তো খুব জরুরী এখানে। সুশান্ত বললো, কিনেছিই তো। এই সাদা গাড়িটি আমি, সুদীপ আর উপেন মিলে কিনেছি। ও আচ্ছা বলে আমি আর সুশান্তকে কিছু বলিনি। পরে আমি নাসরিন আর ইয়ামিনী এই নিয়ে প্রচণ্ড হাসাহাসি করেছি। ইয়ামিনী বললো, দেখেছো, ছেলেরা সবসময় মেয়েদের কাছে বাড়িয়ে বলে। উপেনকে দেখে ব্যাপারটা আগেই আন্দাজ করেছিলাম।

নাসরিন এর মাঝে লাইসেন্স পেয়ে গেল। একবার পরীক্ষা দিয়েই পেল। আমার তখনও অত দখল আসেনি। সুদীপ ছেলেটা আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করল। আমার সিগন্যাল বুঝতে খুব অসুবিধা হত। আমি সবসময় গুলিয়ে ফেলতাম। ও একদিন আমাকে নিয়ে চৌরাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে দিল। বললো, তুমি শুধু দেখবে অন্য গাড়িগুলো কি করে। ৩০ মিনিট ধরে দেখবে। এরপরও যদি তোমার ভুল হয় আমি আর তোমাকে শেখাবোনা। এরপর সত্যি আমার আর কোনোদিন ভুল হয়নি। আমাকে আরও গাড়ি চালানো শেখাল ফ্রাঙ্ক, রায়ান আর অমেয়া। তবে অমেয়া আমাকে একদিনই সময় দিয়েছে। সে প্রতিদিন বলত বিকেলে শেখাবে আর  বিকেল হলেই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যেত। ফ্রাঙ্ক, রায়ান এর কাছে শিখে আমার খুব একটা লাভ হয়েছিল বলে মনে হয়নি। আমেরিকানরা আদব কায়দায় বেশ ভদ্র। খুব বাজে চালালেও এরা বলবে গুড। এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে গেলেও বলবে, ইট ওয়াজ নট দ্যাট ব্যাড। গাড়ি চালানো ব্যাপারটা আমার মনে হয়েছে বকা ঝকা ছাড়া হয় না। প্রেসারের মধ্যে রাখতে হয়। কারণ এর সাথে শুধু নিজের নয় রাস্তার অন্যদের জীবনও জড়িয়ে আছে। এটি আসলে আমার মতামত নয়। অন্যরাও এই একই কথা বলে।

আমি একবারেই লাইসেন্স পেয়ে গেছি। যেদিন পেয়েছি জীবনের সব অর্জনের আনন্দগুলোর মধ্যে এটিও ছিল। আমি জানি এটি খুব মামুলী ব্যাপার। তবে এই আনন্দের ব্যাপারে অন্যরাও এই একই কথা বলে। লাইসেন্স পাওয়ার পর বাসায় ফোন দিয়েছি। আব্বু বলেছে, জীবনের প্রতিটি অর্জনই আনন্দের। আরও এগিয়ে যাও, আরও অর্জন কর, আরও আনন্দ বাড়বে। আম্মুকে বলেছি। আম্মু বলেছে, শোন গাড়ি কিন্তু  ভীষণ আস্তে আস্তে টিম টিম করে  চালাবি।  ক্লাসের দেরী হচ্ছে বলে সা করে চালাবি না। আমি বললাম, টিম টিম করে কিভাবে চালাবো আম্মু। এখানে তো স্পিড লিমিট মেইনটেইন করতে হয়। আম্মু বললেন, ও। আপুকে ফোন দিয়েছি, আপু বললো, এই তুই গাড়ি চালাচ্ছিস? তোর নিজেকে এখন নিশ্চয়ই  সিনেমার নায়িকা মনে হচ্ছে।  নায়িকা মনে হচ্ছে না বল? আমি বললাম, না ভিলেন মনে হচ্ছে। উল্টা পাল্টা চালিয়ে কতজনকে মেরে ফেলব এই নিয়ে চিন্তায় আছি। দুলাভাইয়ের সাথেও কথা বললাম। খুব আনন্দের সাথে লাইসেন্সের কথাটি বললাম। আমার সকল আনন্দ মাটি করে উনি বললেন, কি আশ্চর্য তোমার এতদিন লাইসেন্সই ছিল না। আমেরিকাতে যেয়ে তো সবাই প্রথমেই লাইসেন্স নেয়। আর তোমার এতদিন ছিলই না। কি বল এসব। প্রচণ্ড মন খারাপ করে আমি ফোন রেখে দিলাম। আর একজন আমার মন খারাপ করে দিল সে হল আশিক। আশিক আমাকে সবসময় পঁচায় এবং পঁচিয়ে রাগিয়ে অদ্ভুত আনন্দ পায়। আমাকে দেখেই সে বলল,  লাইসেন্স পেয়েছো তুমি! তুমি তো হাঁটতে যেয়ে এক রাস্তা ভুলে আরেক রাস্তায় চলে যাও। তুমি চালাবে গাড়ি! দেখো  ভাই, মানুষ টানুষ আবার মেরোনা। এই নাসরিন, তন্দ্রা গাড়ি চালালে  ওজু করে সূরা পড়ে গাড়িতে উঠবা।

এর মাঝে বলা হয়নি, আমাদের বাসায় রুমা আপু এসেছেন একমাস। আপু কোর্স ওয়ার্ক শেষ হয়ে গেছে। তাই পাকাপাকিভাবে ভাইয়ার কাছে নর্থ ডাকোটা চলে গেছেন। ডিফেন্স দিতে আবার নর্থ ডাকোটা থেকে এখানে এসেছেন। আপুর জন্য নাসরিনের রুমটা ছেড়ে দেওয়া  হয়েছে। আমি আর নাসরিন এখন এক রুমে আছি। রুমা আপু আসাতে আমাদের খুব মজা হলো। রুমা আপু প্রতিদিন সুস্বাদু খাবার  রান্না বান্না করছেন আর আমরা গপগপ করে খাচ্ছি । রুমা আপু আসায় ইয়ামিনী কিছুটা অসন্তুষ্ট। রুমা আপু কথা বলতে খুব ভালবাসেন। ওনাকে আলাদা রুম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই রুমে থাকতে ওনার ভাল লাগে না। উনি শুধু ডাইনিং এ চলে আসেন। ডাইনিং এ নাসরিন পড়ে। আমি রুমে পড়ি। রুমা আপু ডাইনিং এ এসে গল্প করা শুরু করেন। এতে লিভিং রুমে ইয়ামিনীর অসুবিধা হয়। তবে অসন্তুষ্ট  হলেও সুস্বাদু রান্নার কারণে ইয়ামিনী কিছু বলছে না। ইয়ামিনী রান্নাবান্না খুব একটা করে না।  সারাদিন সসেজ, পাউরুটি খেয়ে থেকে, পড়াশোনা করে আর হাউ কাউ করে কিছুই পড়া হল না। ইয়ামিনী ল্যাব থেকে এসে প্রথমে যেটি করে তা হল ফ্রিজ খোলা ও নাসরিনের সব খাবার খেয়ে ফেলা। এখন রুমা আপুর সব খাবারও সে খেয়ে ফেলে। আর বলে গ্রেট, এরকম রান্না সে জীবনে খায়নি। তবে জানি না কি কারণে সে আমার রান্না খেতে চায় না। সাধাসাধি করলেও খায় না।

লাইসেন্স পাওয়ার দিন ভালই মজা হল। নাসির ভাই ডিফেন্স দিতে এসেছেন। চাকরি হয়ে যাওয়াতে ডিফেন্স না দিয়েই চলে গেছেন। আমেরিকাতে এরকম করা যায়। সাত বছর পর্যন্ত ডিফেন্স দেওয়ার সময় থাকে। আমাদের বাসায় বেশ আড্ডা হচ্ছে। নাসির ভাইয়ের জন্য নাস্তা  বানানো হয়েছে। ভিতরের ঘরে  জম্পেশ আড্ডা হচ্ছে।  আর বাইরের ঘরে ইয়ামিনী বিরক্ত হচ্ছে। নাসির ভাইয়ের প্রতিটি গল্প চাকরি সংক্রান্ত। সেই গল্পে আমরা কোন মজা পাচ্ছিনা। মজা পাওয়ার ভান করছি। নাসির ভাইয়ের বেশির ভাগ গল্প এখন ওনার এক কলিগকে কেন্দ্র করে। বুঝলে মেয়ে তোমাদের বয়সী, টেক্সাস অস্টিন থেকে গ্রাজুয়েশন। মেয়ে  … ।

গল্প গড়িয়ে এখন আমার বিয়ের দিকে চলে এসেছে। আশিক ওর খালাতো ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ের কথা বলছে। আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে। আশিক আমাকে জোর করে তার ছবি দেখাচ্ছে। আমি কিছুতেই দেখছি না। নাসরিন বললো, আরে ইমেইল কর, দেখবে না মানে!  সব ঢং, দেখবে একা একা থাকলে ছবি গিলে খাবে। ছবি গিলে না খেলেও রাতে আমাদের বেশ খাওয়া দাওয়া হল। মলি ভাবী নাসির ভাই আসা উপলক্ষ্যে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছেন। মলি ভাবী আর একদিন ওনার বাসায় গার্লস পার্টির আয়োজন করলেন। রান্নাবান্না করবে সবাই মিলে। তারপর খাওয়াদাওয়া। সবাই রান্নাবান্না করছে। আমাকে কিছু করতে হচ্ছে  না।  নাসরিন বলছে, ভাবী ওরে দিয়েন না। ও সব গুবলেট করে ফেলবে।

গুবলেট করার ভয়ে আমাকে কেউ কিছু করতে দিচ্ছেনা। আমি মনে মনে নাসরিনকে  অসংখ্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমি এখন নুশেরার সাথে ঘুঘু সই খেলছি। এই খেলা বেশিক্ষণ তার ভাল লাগল না। সে আমার কাছে পাম্পকিন স্টোরি শুনতে চাচ্ছে। আমি তাকে রাজারানির স্টোরি বললাম। কিন্তু সে বার বার পাম্পকিন স্টোরিই শুনতে চাচ্ছে। এই মুহূর্তে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে কোন স্টোরি আমার মনে আসছেনা।

 


প্রবাসে সিরিজের গল্পসমূহঃ

 পর্ব ১ঃ যাত্রাপথের গল্প
 পর্ব ২ঃ নতুন বাসা, ওরিয়েন্টেশন, রাস্তা হারানো
 পর্ব ৩ঃ পুলিশ আসা, রেজিস্ট্রেশন বিড়ম্বনা
 পর্ব ৪ঃ ডরমেটরির গল্প, প্রথম তুষারপাত
 পর্ব ৫ঃ ইন্টারন্যাশনাল নাইট, বাসা নিয়ে ঝামেলা, শায়লা আপুর চলে যাওয়া
 পর্ব ৬ঃ কামরানকে হাসপাতালে নেওয়া, টেকো সুদীপ আর ব্রিটিশ প্রফেসরের গল্প
 পর্ব ৭ঃ ল্যাব ও ফরাসী যুবকের হৃদয় ভাঙার গল্প।
 পর্ব ৮ঃ সামার এসেছে, বেতন পাইনি, প্রথম বাসা ছেড়ে দিলাম
 পর্ব ৯ঃ সঙ্গীহীন জীবন, সুরিয়া মথুর গল্প, সামারের দিনলিপি, একা পথ চলা
 পর্ব ১০ঃ বিদেশী ভাষা শেখা ও আমেরিকান চাষাবাদের গল্প
 পর্ব ১১ঃ আমার বাইবেল শেখা
 পর্ব ১২ঃ সাজ্জাদের চলে যাওয়া, লিবিয়ান পরিবারের গল্প
 পর্ব ১৩ঃ মুহিত ভাইয়ের গল্প, আমার আগুন ধরিয়ে ফেলা
 পর্ব ১৪ঃ মসজিদ, ঈদ, ইয়ামিনী আসা, নতুন বাসা, আমেরিকান বিয়ে ও অরিগন যাবার গল্প
 পর্ব ১৫ঃ অরিগন ভ্রমন, শুরুর গল্প।
 পর্ব ১৬ঃ অরিগনের গল্প, ক্যানন বিচ, লাল টমেটো
 পর্ব ১৭ঃ অরিগন ভ্রমণ-ফেরা, নাসরিনের দেশ থেকে ফেরা, লার্নার্স পারমিট, ডান চোখ নষ্ট হওয়া, গাড়ি কেনা ও ড্রাইভিং শেখা
 পর্ব ১৮ঃ
 পর্ব ১৯ঃ

লেখক পরিচিতিঃ

 জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নর্থ ক্যারোলিনা এ এন্ড টি স্টেট’ ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ‘PhD’ করছেন এবং তার গবেষণার বিষয় হল ‘Real time Object detection with Higher Accuracy’। jannatunজান্নাতুন নাহার তন্দ্রার স্কুল জীবন কেটেছে চুয়াডাঙ্গা শহরে, কলেজ জীবন হলিক্রস কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে। এবং সেখান থেকেই ২০১০ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত কর্মজীবন শেষে ২০১২ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এবং ২০১৪ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা অবসরে লিখতে ভালবাসেন এবং সে অভ্যাস বশতই আমেরিকার গ্রাজুয়েট প্রোগামে একা একটি মেয়ে পড়তে আসার অভিজ্ঞতা (সাউথ ডাকোটা) একসময় তিনি লিখতে শুরু করেন। এবং তার এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘প্রবাসে’ নামে ২০১৫ সালের ‘একুশে বই মেলায়’ তার একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটি কোন তথ্যমূলক বই নয় বরং বলা যায় এটি লেখিকার রোজকার ডায়েরী।