গত কয়েক মাসে জিআরই এবং টোফেল বিষয়ে সহপাঠী, জুনিয়র এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে নানারকম প্রশ্ন পেয়েছি। যদিও আমার নিজের স্কোর তেমন আহামরি কিছু নয়, তারপরও যেহেতু পুরো প্রসেস সম্পর্কে আমার ধারণা আছে, কাজেই জিআরই-টোফেল“পড়া এবং পড়ানোর অভিজ্ঞতার আলোকে” এই কম্প্রিহেনসিভ পোস্টটি লিখলাম। আশা করি সবার উপকার হবে। পোস্টটি আকারে অবশ্যই বড়, এবং আমি ছোট করার কোন চেষ্টা করি নি – বরং চেয়েছি বড় লেখা হলেও যেন একটি পোস্টে সবার সব রকম প্রশ্নের সমাধান হয়ে যায়। আশা করি উপকার হবে। সহপাঠী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুপ্রেরণায় এ লেখা, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা।

এই লেখাতে ছোটখাটো টিপস অ্যান্ড ট্রিক্সের ওপর ফোকাস করা হয় নি, অর্থাৎ কোন শর্টকাট বা ম্যাজিক পদ্ধতি জাতীয় কিছু নেই। ওভারঅল ধারণা এবং লং টার্ম কৌশল (স্ট্র্যাটেজি) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মূলত যাদের ধারণা নেই, অথবা মাত্র প্রিপারেশন শুরু করেছে কিন্তু বুঝতে পারছে না কোনটা কীভাবে পড়তে হবে এবং করতে হবে, কিংবা কোন অংশ দিয়ে কী বোঝায়, নির্দিষ্ট কোন অংশে দুর্বলতা আছে – তাদের জন্যই মূলত এ লেখা।

যে যে বিষয়/প্রশ্নের উত্তর এখানে কাভার করা হয়েছেঃ

১. জিআরই-টোফেলের প্রশ্নের প্রকার এবং ধরণ – অর্থাৎ কী ধরণের প্রশ্ন আসবে, কী কী সেকশনে কী কী ধরণের প্রশ্ন থাকবে, কী কী টপিক থাকবে,

২. বিভিন্ন সেকশনের প্রশ্ন অ্যাপ্রোচ করার উপায় কী, ভালো করার উপায় কী,

৩. কী কী বই পড়তে হবে,

৪. কত সময় নিয়ে পড়তে হবে,

৫. নির্দিষ্ট কোন অংশে খুব দুর্বল হলে কী উপায়,

৬. সাধারণভাবে বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রী যে সেকশনগুলোতে দুর্বল সেগুলো নিয়ে আলোচনা (যেমন অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং, রিডিং কমপ্রিহেনশন, টোফেলের স্পিকিং ইত্যাদি),

৭. অপটিমাম রুটিন, যেটা ফলো করলে সহজে এগুনো যাবে এবং প্রিপারেশন কষ্টদায়ক হবে না ইত্যাদি।

তাহলে শুরু করা যাক।

GRE:

নানান প্রশ্ন পেয়েছি জিআরই নিয়ে, সেগুলো অনেকটা এমন –

১. ভাই, জিআরই আগে দিবো না টোফেল দিবো?

২. রিডিং কম্প্রিহেনশন কিছুই পারি না, পড়তে অনেক সময় লাগে, কিছুই বুঝি না, কী করবো?

৩. কত ওয়ার্ড “মুখস্ত করলে” জিআরই তে “কোপানো” যাবে?

৪. ভাই, শর্টকাট কিছু উপায় বলেন তো?

৫. অ্যানালিটিক্যালে কত শব্দ লিখবো? ইস্যু আর আর্গুমেন্টের পার্থক্য কী? কত পেলে চলবে, ভাই?

৬. ভাই, জিআরই তো খুব কঠিন। আমার হাতে অল্প সময় আছে (কেন যেন সবারই সময় খুব অল্প!)। দরজা আটকে পড়লে সাত দিনে কত স্কোর করা সম্ভব? অনেককে দেখেছি খুব অল্প পড়েই ভালো স্কোর করেছে …

৭. একদিন পড়লেই হাঁপিয়ে পড়ি। পড়ালেখায় “জোর” পাই না। জিআরই-টিআরই আমাকে দিয়ে হবে না …

ইত্যাদি ইত্যাদি।

খুব কম সময়ে ভালো করা নিয়ে কিছুই বলবো না। এটা বলবো যে, অনেকে হয়তো দাবী করছে কম সময় পড়ে “মোটামুটি” স্কোর করতে পেরেছি কাজেই পড়াশোনার তেমন দরকার নেই, কিন্তু তারা ভুলের মধ্যে আছে, এবং মোটামুটি স্কোর পাওয়ার জন্য কষ্ট করা আসলে রেকমেন্ডেড না। এক লাফে গাছে ওঠার কোন পদ্ধতি পৃথিবীতে নেই।

আগেই বলে রাখি যে জিআরই একটা অ্যাকাডেমিক টেস্ট, কোন ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট নয়। অর্থাৎ আপনি ইংলিশ খুব ভালো পারলেই যে খুব ভালো স্কোর করবেন এমন কোন কথা নেই। এবং এখানে আপনার স্কিল এবং প্র্যাকটিসের পাশাপাশি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডেরও একটা ভূমিকা থাকবে – অর্থাৎ যে কেউ বসে গেলেই যে জিআরই তে ৩৪০ তুলে নিয়ে আসতে পারবে এমন কোন কথা নেই, অর্থাৎ আপনার স্কোরের একটা হায়ার লিমিট থাকবে আপনার এতদিনের লেখাপড়ার ধরণের কারণে। এ সীমাবদ্ধতাটুকু শুরুতেই মেনে নিলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

একেবারে নিরপেক্ষ পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বলা যায় যে একজন গড়পড়তা মানুষ যদি বেসিক জ্ঞান থাকে আর খাটতে রাজি থাকে, তাহলে তার পক্ষে তিন মাসের “ডেডিকেটেড”প্রিপারেশনে ভালো স্কোর করা সম্ভব। ডেডিকেটেড বলতে, সকালে তিন ঘণ্টা আর রাত্রে তিন ঘণ্টা (এভারেজ) হলেই যথেষ্ট। এটা এমন কিছু বেশী সময় নয়, জিআরই-টোফেলের চেয়ে অনেক ফালতু বিষয়ে আমরা এর চেয়ে বেশী সময় ব্যয় করে থাকি। ফুল টাইম জব করে প্রিপারেশন নেয়াটা খুব কঠিন, এবং নট রেকমেন্ডেড। একবার ভালো স্কোর করতে পারলে সেটা পাঁচ বছর ইউজ করা যাবে, কাজেই একবার কষ্টটা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। শুধু হেলাফেলা করে পরীক্ষা দেয়ার জন্য অনেকে ভার্বাল বা কোয়ান্টে এমন স্কোর করে বসে যে পছন্দের ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই-ই করতে পারে না কিছু ক্ষেত্রে। সেটি এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ এফোর্টটা দেয়া কর্তব্য।

আমরা যেটা করে থাকি, তা হল শখ করে পড়তে বসে ঝোঁকের মাথায় একদিন দশ-বারো ঘণ্টা পড়ি, তারপর দশ-বারো দিনের জন্য ব্রেকে চলে যাই, তারপর আবার স্কোয়ার ওয়ান থেকে শুরু করি। তাছাড়া হতাশা চলে আসে, একটু পড়ে ছেড়ে দিই। এখানে মনে রাখতে হবে, ট্যালেন্টের চেয়ে Consistency বেশী উপকারে আসবে। আণ্ডারগ্র্যাডের টার্ম ফাইনালের সাথে এই পরীক্ষাগুলোর পার্থক্য হল, এখানে প্রশ্ন প্র্যাকটিস করে হাতে রাখতে হয়, কয়েকদিন পড়ে লোড নিয়ে মাথায় তথ্য রাখতে হয় না। এ পার্থক্যটুকু বুঝতে পারলেই জিআরই দেয়ার মানসিকতা মোটামুটি আপনার আছে!

এবার সেকশন গুলো নিয়ে সংক্ষেপে বলি। প্রতিটি সেকশনে ভালো করার লজিক্যাল উপায়ও থাকছে।

সেকশনঃ Analytical Writing:

এ অংশে আপনাকে দুটো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ত্রিশ মিনিট ত্রিশ মিনিট করে আধ ঘণ্টা। প্রথমটা ইস্যু, দ্বিতীয়টা আর্গুমেন্ট। হায়েস্ট স্কোর ৬.০। অনেকের ধারণা নেই, থাকলেও ভাসা ভাসা এখানে কী চাইছে। সেগুলোই বলছি।

অনেকে মাত্র দু-তিনটা স্যাম্পল প্রশ্ন পরীক্ষার আগে আগে সলভ করে (মানে চোখ বুলিয়ে) যায়, এ অংশকে গুরুত্ব দেয় না এবং এ অংশের স্কোর নিয়েও মাথা ঘামায় না। কিন্তু আপনার অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এটি, এবং আপনি যদি এ অংশে ভালো স্কোর করেন, তাহলে এটা যে-ই দেখবে সে-ই ইমপ্রেসড হবে (অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। এ অংশে ভালো স্কোর মানে আপনি একটা কিছু নিয়ে বলতে বললে সেটা বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং ব্যাখ্যা দিতে পারেন বা বুঝিয়ে বলতে পারেন। গ্র্যাজুয়েট লেভেলের পড়াশোনায় অনেক লেখালেখির কাজ থাকে, তাই এ অংশের স্কোরকে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়।

সাধারণ একটা রেসপন্সে একটা Introductory paragraph, একটা Concluding paragraph আর তিনটা বা চারটা ব্যাখ্যামূলক প্যারাগ্রাফ থাকে, যেখানে আপনি ব্যাখ্যা করবেন আপনার অবস্থান অথবা লজিক।

Issue:

এখানে কোন একটা স্টেটমেন্ট থাকে। আপনার কাজ হল ঐ বাক্যের বক্তব্যের পক্ষে, বিপক্ষে অথবা মাঝামাঝি অবস্থান নেয়া। অর্থাৎ, এখানে আপনার “মতামত”-ই চাওয়া হচ্ছে। এখানে নিজের যেটা লজিক্যাল মনে হয়, সে অবস্থান নিন, এবং সেটা কয়েকটা প্যারাগ্রাফে বুঝিয়ে বলুন। আপনি পক্ষে না বিপক্ষে তাতে কিছু যায় আসে না, আপনার কথা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং লজিক্যাল হলেই হল।

ধরুন, প্রশ্ন এসেছে Democracy is a bliss. আপনি পক্ষে অবস্থান নিলেন। তাহলে আপনার কাজ হল কয়েকটা প্যারাগ্রাফে কয়েকটা পয়েন্টের আলোকে গণতন্ত্র যে একটি আশীর্বাদ, সেটা পাকাপোক্ত করা। এজন্য একেকটা প্যারাগ্রাফে একটা করে পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করুন। যেমন, কোন একটা প্যারাগ্রাফে বলুন অমুক দেশে ডেমোক্রেসির সফল প্রয়োগ দেখা গেছে। অন্য প্যারাগ্রাফে বলুন অমুক দেশে ডেমোক্রেসি না থাকাতে আজ লেজেগোবরে দশা। এভাবে শেষ করুন। শেষ প্যারাগ্রাফে গুছিয়ে সবগুলো পয়েন্টের একটা সামারি বলে দিন।

Argument:

এখানে প্রশ্নে একটা প্যারাগ্রাফের মত থাকে। সেখানে একটা ঘটনা বা একটা সিচুয়েশন নিয়ে একজনের মতামত লেখা থাকে। আপনার কাজ হল ঐ মতামতের ভুলগুলো বের করা (নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে)। অর্থাৎ এখানে আপনি একজন মতামত দানকারী নন, আপনি বিচারক। সোজা কথায়, ভদ্রবেশী ছিদ্রান্বেষী।

ধরুন, প্রশ্নে এসেছে এমন একটা সিচুয়েশন যে, একটা রেস্টুরেন্টে নিউজ স্ট্যান্ড বসানোর পর সেখানে খাবারের বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। সেটা দেখে দ্বিতীয় কোন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনিও নিউজ স্ট্যান্ড বসাবেন, আর নিজের রেস্টুরেন্টের বিক্রিও বাড়াবেন।

এখানে কী কী ভুল হিডেন অবস্থায় আছে? অনেক আছে (ইচ্ছে করেই এই ভুল বা Fallacyগুলো রাখা হয়, যাতে আপনি লিখতে পারেন!)। আপনি তিন থেকে চারটা সবচেয়ে শক্তিশালী ভুল খুঁজে বার করুন। তারপর একেকটা প্যারাগ্রাফে সেগুলো বুঝিয়ে বলুন। আপনার মূল পয়েন্ট হল এই যে, নিউজ স্ট্যান্ড বসালেই যে বিক্রি বাড়বে এমন কোন কথা নেই। যেমন একটা প্যারাগ্রাফে বলুন যে, প্রথম রেস্টুরেন্টে যে নিউজ স্ট্যান্ড বসানোর কারণে খাবারের বিক্রি বেড়েছে এমন কোন এক্সপ্লিসিট প্রমাণ নেই – হতে পারে তারা খাবারে কোন চেঞ্জ এনেছে তাই বিক্রি বেড়েছে। আরেকটা প্যারাগ্রাফে বলুন হয়তো মূল কারণ ছিল খাবারের দাম– নিউজ স্ট্যান্ড না বসালেও হয়তো বিক্রি বেড়ে যেত খাবারের দাম কমার কারণে। আরেকটা প্যারাগ্রাফে বলুন যে দ্বিতীয় রেস্টুরেন্টে নিউজ স্ট্যান্ড বসালে যে লোকজন আসা শুরু করবে তার কোন প্রমাণ নেই, হয়তো প্রথমটাতেই লোকজন যাবে, কারণ অলরেডি ওখানে নিউজস্ট্যান্ড একটা আছেই। সব শেষে বলুন যে এই এই কারণে দেখা যাচ্ছে যে অমুক ম্যানেজারের স্টেটমেন্ট ওপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে অসম্পূর্ণ অথবা ত্রুটিযুক্ত, পর্যাপ্ত প্রমাণ বা ডাটা নেই। এটাই হল আর্গুমেন্ট রাইটিং।

আপনি যদি ৬ এ ৪ তুলতে পারেন তাহলে ধরা যেতে পারে আপনার রাইটিং স্কিল এভারেজ ধরণের। তারও ওপরে যেতে পারলে আপনার রাইটিং বেশ ভালো।

কী পড়তে হবে?

www.ets.org ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যানালিটিক্যাল রাইটিংয়ের জন্য Issue Pool and Argument Pool পেজ দুটো খুঁজে বার করুন। এখানে লিস্ট করে দেয়া আছে কী কী টপিকের ওপর ইস্যু এবং আর্গুমেন্ট আসে। মোটামুটি ১২৫ টা করে ২৫০ টার মত টপিক পাবেন। পছন্দেরগুলো বেছে নিয়ে টাইমড কন্ডিশনে লেখা প্র্যাকটিস করুন। ইস্যুর জন্য পাবেন সায়েন্স, পলিটিক্স, আর্টস, সোসাইটি নানান টপিক, আর আর্গুমেন্টের জন্যও নানান সিচুয়েশন।

স্কোর বাড়াবো কীভাবে?

অ্যানালিটিক্যালে নম্বর নির্ভর করে কয়েকটা ফ্যাক্টরের ওপরঃ

১. Length – এর মানে এই নয় যে বেশী লিখলেই নম্বর পাবেন। আপনার রেসপন্স লম্বা অর্থাৎ আপনি অনেক লিখেছেন, এবং প্রাসঙ্গিক লিখেছেন। গোছানো একটা রেসপন্স ভালো স্কোরের জন্য সাধারণত অনেক কিছু লিখে বোঝাতে হয়। কাজেই দ্রুত লেখা প্র্যাকটিস করুন।

২. Development of the Examples – আপনি প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিতে পেরেছেন কিনা, ক’টা দিয়েছেন, সেগুলো কতটা ব্যাখ্যা করতে পেরেছেন ইত্যাদি। দশ-বারোটা উদাহরণ দিয়ে একেকটা দু’লাইনে বললে যে স্কোর আসবে, তার চেয়ে অনেক বেশী স্কোর আসবে যদি তিন-চারটা উদাহরণ দিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারেন প্রতিটিকে।

৩. Organization – আপনি কতটা গুছিয়ে লিখেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা ধারা বজায় আছে কিনা, নাকি উল্টোপাল্টাভাবে যা মনে এসেছে তাই বলে গেছেন। একটা প্যারাগ্রাফ আরেকটার সাথে সম্পর্কিত, নাকি আসমান থেকে একটা নেমে এসেছে। বিশেষ করে যদি শুরু আর শেষের প্যারাগ্রাফটা গোছানো হয়, তাহলে খুব ভালো। এজন্য ভালো কৌশল হল Introduction and Conclusion এর প্যারাগ্রাফ দুটো আগে লিখে ফেলা, এবং যে পয়েন্ট গুলো লিখবেন সেগুলো সামারাইজ করা। তারপর মাঝখানে এক্সামপলের প্যারাগ্রাফগুলো লিখবেন।

৪. Vocabulary – এখন একটা বেশ ভুল কথা প্রচলিত হয়ে গেছে যে, জিআরই দিতে আর শব্দ জানা লাগে না বা ভোকাবুলারির কোন দরকার নেই। সত্যি বলতে, আপনার ভোকাবুলারি যত স্ট্রং হবে, তত শব্দ প্রয়োগ করতে পারবেন, আপনার লেখার গতি ততই বাড়বে। এবং আপনি কী ধরণের শব্দ প্রয়োগ করে আপনার রেসপন্স লিখছেন, তার ওপরও আপনার স্কোর নির্ভর করবে অনেকটাই। যত জটিল এবং কঠিন (প্রাসঙ্গিক অবশ্যই) শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন, তত আপনার লেখা সমৃদ্ধ এবং উন্নতমানের হবে।

৫. Complexity – আপনার লেখার Sentence Structure কোন লেভেলের। অর্থাৎ আপনি কি বাচ্চাদের মতো তিন-চার শব্দেই একটা বাক্য শেষ করে ফেলেন, নাকি Complex and Compound Sentence হ্যান্ডেল করতে পারেন? যদি না পারেন, প্র্যাকটিস শুরু করুন। Simple Sentence গুলোকে এক করে বড় সেন্টেন্স বানান, Punctuation Marks গুলোর সবক’টির ব্যবহার শিখুন। প্র্যাকটিস করতে করতে হবে। আপনি যত জটিল সেন্টেন্স বানাতে পারবেন, তত আপনার স্কিল ভালো বলে ধরে নিতে হবে।

এছাড়া Grammatical Mistakes, Spelling Mistakes (Typos) এগুলো এভয়েড করতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।

জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ২) পড়তে ক্লিক করুন এখানে

 

– ইসহাক খান, প্রাক্তন গ্রেক ফ্যাকাল্টি


নিচের লিংক থেকে ইসহাক খানের লেখা অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন-

 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ১ – Vocabulary
 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ২ – Analytical Writing
 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ৩ – Reading Comprehension
 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ৪ – Speaking (TOEFL)
 Originality of writing: এসওপি, এলওআর, ইমেইলিং প্রফেসরস, সিভি ও রেজুমে (১ম খণ্ড)
 Originality of writing: এসওপি, এলওআর, ইমেইলিং প্রফেসরস, সিভি ও রেজুমে (২য় খণ্ড)
 Customized Routine: নিয়মিত ফলো করা (১ম খণ্ড)
 Customized Routine: নিয়মিত ফলো করা (২য় খণ্ড)
 আমার জন্য সঠিক রাস্তা কোনটা: বিদেশ, জিআরই, স্বদেশ, বিসিএস, চাকরি?
 রেকমেন্ডেশন বিড়ম্বনা!
 Research: রিসার্চ বা গবেষণা
 ইউএস অ্যাম্বেসির ভেতরের পরিবেশ এবং স্টেপগুলো
 ইংরেজিতে দক্ষতা এবং কিছু স্ট্র্যাটিজি
 Teaching: শেখা ও শেখানো, দেয়া ও নেয়া
 ইউএস ভিসা পাওয়া না পাওয়া এবং হায়ার স্টাডির কিছু পয়েন্ট
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ১)
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ২)
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ৩)
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ৪)
 আমার অভিজ্ঞতা: জিআরই প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা
 আমার অভিজ্ঞতা: টোফেল প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা
 আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা এবং দরকারি কৌশল