আমার প্রিপারেশন এবং পরীক্ষার দিনের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করছি। হয়তো কারো উপকারে আসবে।

TOEFL:  

Date, time and Venue: 14 November 2015, 12.30 p.m., AIUB Campus 5

Score: 109 (Reading: 29, Listening: 24, Speaking: 27, Writing: 29)

Preparation:

আমার যেহেতু জিআরই এর তিনদিন পরই টোফেল ছিল, আমাকে প্যারালালি প্রিপারেশন নিতে হয়েছে। তবে এটার প্রিপারেশন তুলনামূলক সরল ছিল। জিআরই এর পাশাপাশি নিয়মিত একটু করে সময় রেখেছি টোফেলের জন্য।

সাধারণত যারা জিআরই দিয়েছে তাদের টোফেলের রিডিং এবং রাইটিং অংশে কোন সমস্যা হয় না। লিসনিং এর জন্য ইংলিশ মুভি, টিভি সিরিজ ইত্যাদি দেখা খানিকটা কাজে দেয়। সমস্যা হল স্পিকিঙয়ে, কারণ আমাদের অনেকেরই দু’লাইন কোন বিষয়ের ওপর বলতে গেলে হোঁচট খেতে হয়, এবং আণ্ডারগ্র্যাডে ইংলিশ প্রেজেন্টেশনের সংখ্যা হাতেগোণা, দায়সারা ধরণের – এবং সেগুলোতেও আমাদের পারফর্মেন্স অত্যন্ত খারাপ। সাধারণত আমরা বাংলায় চিন্তা করি, সেটাকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেইট করি, তারপর একটা ভুলভাল উচ্চারণে প্রেজেন্ট করি বলে আমাদের ইংরেজি বলতে খুব সমস্যা হয়। স্পিকিং সেকশনের সময়ও কম, মাত্র বিশ মিনিটে ছ’টা অ্যান্সার করতে হয়, কাজেই কোন ভুল করার বা সময় নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। এটির প্রিপারেশন একটু বেশী গুরুত্ব দিয়ে নিয়েছিলাম।

যে যে বই পড়েছি:

  1. ETS Official guide for TOEFL – 4th Ed.
  2. Barron’s TOEFL iBT – 14th Ed.
  3. Kaplan TOEFL iBT – 2013 Ed.

যে যে সফটওয়্যার থেকে প্র্যাকটিস করেছি –

  1. ETS Official guide – 3 sets
  2. Barron’s TOEFL iBT – 14th Ed. – 8 sets

এই প্র্যাকটিস এক্সামগুলোতে আমার রিডিং এবং লিসনিংয়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মোটামুটি ২৫ থেকে ২৯ এর মধ্যে এসেছে। স্পিকিং এবং রাইটিং – এই দুই সেকশনে আমার রেকর্ড করা আর সেইভ করা রেসপন্স থেকে আমার ধারণা যে মন্দ স্কোর আসবে না।

অফিসিয়াল গাইড থেকে তিনটা ফুল লেংথ দেয়া যায়। আমি একটা শুরুর দিকেই দিয়েছিলাম, মোটামুটি ভালো স্কোর এসেছিল। ব্যারন আর অফিসিয়াল গাইডের বইয়ের চ্যাপ্টারগুলো শেষ করার পর বাকি থাকে এই বইগুলোর সফটওয়্যার থেকে ফুল লেংথ টেস্ট দেয়া। অফিসিয়াল গাইডের দুটো টেস্ট রেখেছিলাম পরীক্ষার আগের দু’দিনে দুটো দেয়ার জন্য, আর ব্যারনের আটটা টেস্ট একটু একটু করে সলভ করেছি। মোটামুটি তিন দিন করে সময় নিয়েছি এক একটা টেস্ট শেষ করার জন্য (একদিন রিডিং, একদিন লিসনিং, আরেকদিন স্পিকিং এবং রাইটিং)। অর্থাৎ, মাসখানেকের মত সময় নিয়ে ব্যারনের আটটা সলভ করেছি। প্রতিদিন টোফেলের জন্য আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ ছিল, কাজেই জিআরই প্রিপারেশনের মত এটাও গায়ে লাগে নি।

ব্যারন এবং অফিসিয়াল গাইড বই দুটো ভালো লেগেছে, কিন্তু কাপলানের বইটা একেবারেই ভালো লাগে নি, কোনমতে শেষ করেছি। এটার সফটওয়্যার থেকেও বেশ কয়েকটা ফুল লেংথ টেস্ট দেয়া যায়, সেগুলো দিই নি। নোটফুলের ওয়েবসাইট থেকে প্র্যাকটিস নাকি বেশ উপকারী – আমি এটা করি নি, যারা করেছে তারা বলতে পারে। এছাড়া টিপিও থেকে বোধহয় ফুল লেংথ টেস্ট দেয়া যায় বেশ কয়েকটা, সেগুলোও দিই নি। রাইটিং লিখে লিখে কয়েকটা প্র্যাকটিস করেছি, আর স্পিকিংয়ে টাইমড কন্ডিশনে নিজের রেসপন্স রেকর্ড করে রেখেছি। আমার মনে হয়েছে, যতটা প্র্যাক্টিক্যাল কন্ডিশনের কাছাকাছি যাওয়া যায়, ততই ভালো। রিডিংয়ের প্যাসেজ মাঝে মাঝে বড় হয় অনেক, এবং লিসনিংয়ের বড় সেশনগুলোতে অনেক সময় লাগে – এটা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে টপিকগুলো জটিল কিছু না। স্পিকিংয়ের ছ’টা প্রশ্ন ছ’ধরণের, তবে টপিক সব অ্যাকাডেমিক – ক্যাম্পাস এনভায়রনমেন্টে ফর্মাল কথাবার্তা। রাইটিং জিআরই এর মতই ইস্যু এবং আর্গুমেন্ট টাইপের, তবে এখানেও সহজ টপিক এবং অত বেশী লিখতে হয় না। মনোযোগ রাখা এবং একটা প্রশ্নে আটকে না থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।

কয়েকটা পয়েন্ট:

১. চারটা সেকশনেই ছোট ছোট নোট নেয়া প্র্যাকটিস করলে কাজে দেয়।

২. রিডিঙয়ে ভুল হলে যে পরিমাণ নম্বর কাটা যায়, লিসনিং এ সম্ভবত তার চেয়ে একটু বেশী কাটা যায়।

৩. রিডিঙয়ের প্রতিটি প্যাসেজের শেষ প্রশ্নটিতে বেশী নম্বর থাকে, তাই এগুলো কারেক্ট করা গুরুত্বপূর্ণ।

৪. লিসনিঙয়ে শুধু লেকচার থাকতে পারে, আবার কনভারসেশন থাকতে পারে।

৫. সম্ভবত রিডিঙয়ে লং সেশন (চারটা প্যাসেজ) এলে লিসনিঙয়ে শর্ট সেশন (তিনটা তিনটা করে ছ’টা লিসনিং সেট) আসে।

৫. স্পিকিঙয়ে ছ’টা টাস্ক ছ’রকমের। কোনটা কনভারসেশন, কোনটা লেকচার, কোনটা রিডিং প্যাসেজ অ্যান্ড কনভারসেশন, কোনটা শুধুই প্রশ্ন শুনে অ্যান্সার দেয়া ইত্যাদি। বকবক করা বা চিৎকার করার ওপর নয় – বরং উচ্চারণ, শব্দচয়ন, গুছিয়ে শেষ করতে পারা, চিন্তাভাবনার অর্গানাইজেশন এসবের ওপর নম্বর নির্ভর করে। প্রথম দুটো ইন্ডিপেন্ডেন্ট টাস্ক, অর্থাৎ কোন বিষয়ের ওপর নিজে নিজে বলতে হয় – ওগুলো ঠিকঠাক পার করতে পারলে পরেরগুলো সোজা, কারণ ওগুলোতে প্যাসেজ পড়ে আর কনভার্সেশন শুনে অ্যান্সার করতে হয়।

৬. রাইটিং একটা ইস্যু, আরেকটা আর্গুমেন্ট টাইপের। প্রথমটাতে একটা প্যাসেজ পড়তে হবে আর কনভার্সেশন শুনতে হবে, তারপর অবজেক্টিভলি ব্যাখ্যা করতে হবে (আর্গুমেন্ট); দ্বিতীয়টাতে কোন একটা পজিশন নিয়ে নিজের পজিশন ডিফেন্ড করতে হবে (ইস্যু)।

On the Exam day:

আগের রাতে সাত ঘণ্টার মত ঘুমিয়েছি। দুপুরে পরীক্ষা ছিল, আড়াই ঘণ্টার মত সময় নিয়ে বেরিয়েছি, এক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে গেছি।

এআইইউবি তে রিপোর্টিং টাইম বারোটায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের ডেকে নেয়া হয় সাড়ে বারোটার দিকে। কনফিডেন্সিয়ালিটি এগ্রিমেন্টে সাইন করা হয়, একেকজনের ব্যাগ রাখার জন্য আলাদা লকার দেয়া হয় এবং চাবি নিজের কাছে রাখতে হয়। ছবি তোলার জন্য চারজন চারজন করে ডাকা হয়েছিল বলে আমাদের পরীক্ষা শুরু হতে প্রায় একটা বেজে যায় (শুরু হবার কথা ছিল সাড়ে বারোটায়)। কোন সিকিউরিটি চেক ছিল না – যেটা একটা মস্ত বড় নেগেটিভ দিক।

হেডসেট চেক করার কিছু প্রসিডিউর আছে। হেডসেট গুলোর একেকটা বারকোড থাকে, সেগুলো ইনপুট দিয়ে দেয়া হয়, আর মাইক্রোফোন অ্যাডজাস্ট করে নিতে হয়। সমস্যা থাকলে ঠিক করে দেয়া হয় বা পিসি চেঞ্জ করে দেয়া হয়। যা হোক, এসব শেষে পরীক্ষা শুরু করলাম।

Reading:

আমার এসেছিল লং সেশন (চার প্যাসেজ)। মোট আশি মিনিট সময়, অর্থাৎ গড়ে বিশ মিনিট করে। মোট প্রশ্ন ছিল ৫৫ টা, অর্থাৎ গড়ে প্রায় ১৪ টা করে। প্যাসেজগুলোর সাইজ জিআরই প্যাসেজের প্রায় তিন থেকে চারগুণ বড়, তবে প্রশ্নগুলো তুলনামূলক সহজ।

Listening:

আমার এসেছিল শর্ট সেশন, অর্থাৎ ছ’টা টাস্ক। এটি দুই ভাগে হয়। প্রথম ভাগে তিনটা টাস্ক,১৭ টা প্রশ্ন অ্যান্সার করতে হয় দশ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাগেও তাই। মোট ৩৪ টা প্রশ্ন। এটি রিডিঙয়ের চেয়েও সহজ লেগেছে।

Speaking:

সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং স্টেজ, কারণ এ পর্যায়ে এক সেশনের সবারই প্রায় একসাথে স্পিকিং শুরু হয়। একটি রুমে প্রায় পঁচিশজন একসাথে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করতে থাকে (সম্ভবত অনেকের ধারণা যে গলার জোরের ওপর মার্ক নির্ভর করে)। প্রথমজন হয়তো মোটামুটি জোরে বলে, সেজন্য দ্বিতীয়জনের ডিস্টার্ব হয়, তাই দ্বিতীয়জন আরও জোরে বলে। তৃতীয়জন আবার তার চেয়েও জোরে … এভাবে একজন আরেকজনকে ছাপিয়ে যেতে চায়। এখানে কখনোই আরেকজনের দিকে তাকানো যাবে না, আরেকজনের কথার কারণে ডিস্ট্র্যাক্টেড হওয়া যাবে না, এবং মাথা গরম করা যাবে না। অনেক কথা বলতে না গিয়ে গুছিয়ে অল্প কথায় শেষ করা ভালো স্ট্র্যাটেজি। এছাড়াও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে রেসপন্স ঠিকঠাক দেয়ার ব্যাপক প্র্যাকটিস থাকতে হবে। আমার কপাল ভালো,আমি মনোযোগ নিজের কাজের দিকেই রাখতে পেরেছি।

Writing:

সবচেয়ে রিল্যাক্সড থেকে অ্যান্সার করার সেকশন। কারণ সময় অনেক, টাস্ক মাত্র দুটো,এবং খুবই সহজ। তাছাড়া তখন টেস্ট সেন্টার নীরব থাকে, কাজেই মনোযোগ দিতে আর কোন অসুবিধা থাকে না। রিভিশন দেয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বানান ভুল ও অন্যান্য সমস্যা বেরুতে পারে।

সাড়ে বারোটায় ঢুকেছিলাম, বেরিয়েছি সাড়ে চারটার দিকে। লাঞ্চ মিস গেছে, তবে প্রচণ্ড খিদে টের পেয়েছি বেরুবার বেশ খানিকক্ষণ পর।

Review on AIUB:

আমি বলবো যে আমি গড়পড়তা একটা টেস্ট সেন্টার থেকে যা যা সুবিধা এবং অসুবিধা এক্সপেক্ট করি, তার সবই ছিল এটাতে।

সুবিধাঃ

আলাদা লকার, পানির বোতল সাথে রাখার অনুমতি, আনলিমিটেড স্ক্র্যাচ পেপার ইত্যাদি(সুবিধাগুলোর বেশীরভাগই আসলে অনিয়ম!)। এছাড়া কোন টেকনিক্যাল প্রবলেম, যেমন হেডসেট অ্যাডজাস্ট করা না গেলে পিসি চেঞ্জ করে দেয়া হয়।

অসুবিধাঃ

কোন সিকিউরিটি চেক ছিল না, এবং যদিও ইটিএস এর নির্দেশনা অনুযায়ী কিছুই নিজের সাথে রাখার অনুমতি নেই, এখানে রুমাল, পানির বোতল ইত্যাদি কেউ কেউ নিজের কাছে রেখেছিল। ফুল শার্ট পরে পরীক্ষা দিয়েছি বলে জিআরই-টোফেল কোনটিতেই ঠাণ্ডা-গরমজনিত কোন সমস্যা হয় নি।

এক সেশনে অনেক মানুষ, প্রায় ২৫ জন। ট্রিপল এ তে এক সেশনে সাকুল্যে ১৫ জনের মত ছিল, যার কারণে ভালো ছিল – ওখানে টোফেল রিভিউ কেমন অবশ্য জানি না। কোন আলাদা নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন দেয়া হয় নি (ট্রিপল এ তে দেয়া হয়, যদিও নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন শব্দ ইনসুলেট করে দেয় না, শুধু ইন্টেন্সিটি কমিয়ে দেয়)। প্রায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে হয় পাশের জনের সাথে, এবং সামনের বা পাশের জনের পিসি থেকে চাইলে দেখে দেখে লেখা যায় (যদিও আমি অ্যান্সার দেখে লিখি নি, চোখ পড়েছে এবং খেয়াল করেছি যে আমার টপিকেই আরেকজন পরীক্ষা দিচ্ছে)। স্পিকিং সেকশনে মাছের বাজারের অবস্থা হয়। আলাদা কিউবিকল থাকে না, কারণ টেস্ট সেন্টারটি আসলে এআইইউবি এর একটা কম্পিউটার ল্যাব।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো যে যদিও আমার নিজের তেমন অসুবিধা হয় নি, কিন্তু যদি এমন কেউ থেকে থাকো যে অল্প আওয়াজেও মনোযোগ রাখতে সমস্যা হয়, তাহলে এমন কোন সেন্টার বেছে নাও, যেখানে এক সেশনে মানুষ কম থাকে, আলাদা কিউবিকল থাকে, একেকজন অনেক দূরে দূরে বসে ইত্যাদি। তবে যদি চ্যালেঞ্জ নিতে পারো, তাহলে এটিতে যেতে পারো, কারণ অন্যান্য ফ্যাসিলিটি গড়পড়তা মানের। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা খুব কাজে দেবে, কারণ অনেকেই যে চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে না, সেটা তুমি নিতে পারবে।

সত্যিকারের নিয়মগুলো কেমন:

আমাদের স্বভাব হল সুযোগ পেলে নিয়মকানুন ট্যাম্পার করা, কাজেই কিছু কিছু টেস্ট সেন্টারে বেশ উদার নীতি চালু আছে। এগুলো হয়তো অনেকে সুবিধার মনে করছে, কিন্তু আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই।

আমি যতটুকু জানি তার ভিত্তিতে বলছি – ইটিএস এর নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার হলে ঢোকার সময়, এবং ব্রেক থেকে আবার ঢোকার সময় সিকিউরিটি চেক করতে হয় কড়াকড়িভাবে। কিছুই নিজের সাথে রাখা যায় না, রুমাল, পানির বোতল, টিস্যু পেপার কিছুই না – শুধু পাসপোর্ট ছাড়া।

দশ মিনিটের ব্রেকে কিছু লেখা যায় না, যদিও স্ক্র্যাচ পেপার নিজের টেবিলেই থাকে। অনেকে পরের সেকশনের জন্য প্রিপারেটরি কিছু কী-ওয়ার্ড লিখে রাখে, ফরম্যাট তৈরি করে রাখে –এসবের অনুমতি নেই। যদি কোন সেন্টারে এসবের অনুমতি থাকে তাহলে তারা ভুল করছে।

স্ক্র্যাচ পেপারের পরিমাণ সম্পর্কে বলছি – নিয়ম হল শুরুতে তিন-চারটা স্ক্র্যাচ পেপার দেয়া হয়। সেগুলো শেষ হলে আবার তিনটা দেয়া হয়। পেন্সিল দু-তিনটা দেয়া হয়, সেগুলো শেষ হলে বা ভেঙে গেলে আবার দেয়া হয়। সেজন্য উঠে যাওয়া, পেছনে ঘোরা বা শব্দ করার অনুমতি নেই। শুধু হাত উঁচু করতে হয়, এবং স্টাফরা এসে কাগজ-পেন্সিল দিয়ে যায়। কারো হাতের লেখার ফন্ট যদি ৪৮ বা তার বেশী (!) না হয়, এবং শর্ট নোট লিখতে গিয়ে রচনা না লেখে, তাহলে তিনটি পেপারই যথেষ্ট। জিআরই, টোফেল কোনটিতেই আমার প্রথমে নেয়া তিনটা পেপারের বেশী লাগে নি। জিআরই তে অ্যানালিটিক্যালে এক পেজ, ভার্বালে এক পেজ, এবং কোয়ান্টে তিন পেজে হয়ে গিয়েছিল – যদিও দেয়া হয়েছিল তিনটি পেপার (মোট বারো পেজ)। টোফেলে রিডিঙয়ে প্রায় কিছুই লাগে নি, লিসনিং এ দুই পেজ, স্পিকিংয়ে দুই পেজ এবং রাইটিঙয়ে এক পেজ লেগেছিল (দেয়া হয়েছিল তিনটা এ ফোর কাগজ, অর্থাৎ ছয় পেজ)।

আমার মনে হয় নিয়মগুলো যেখানে ঠিকঠাক ফলো করা হয়, সেখানেই পরীক্ষা দেয়া উচিৎ। প্রোমেট্রিক সেন্টারগুলোতে (যেমন ট্রিপল এ) এগুলো ঠিকঠাক ফলো করা হয়।

যা হোক, এই হল আমার টোফেল অভিজ্ঞতা। আমি মনে করি আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে, এবং সবাই দোয়া কোরো যেন স্কোর ভালো আসে।

সবার পরীক্ষা ভালো হোক। ধন্যবাদ।

 

– ইসহাক খান, প্রাক্তন গ্রেক ফ্যাকাল্টি


নিচের লিংক থেকে ইসহাক খানের লেখা অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন-

 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ১ – Vocabulary
 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ২ – Analytical Writing
 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ৩ – Reading Comprehension
 স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ৪ – Speaking (TOEFL)
 Originality of writing: এসওপি, এলওআর, ইমেইলিং প্রফেসরস, সিভি ও রেজুমে (১ম খণ্ড)
 Originality of writing: এসওপি, এলওআর, ইমেইলিং প্রফেসরস, সিভি ও রেজুমে (২য় খণ্ড)
 Customized Routine: নিয়মিত ফলো করা (১ম খণ্ড)
 Customized Routine: নিয়মিত ফলো করা (২য় খণ্ড)
 আমার জন্য সঠিক রাস্তা কোনটা: বিদেশ, জিআরই, স্বদেশ, বিসিএস, চাকরি?
 রেকমেন্ডেশন বিড়ম্বনা!
 Research: রিসার্চ বা গবেষণা
 ইউএস অ্যাম্বেসির ভেতরের পরিবেশ এবং স্টেপগুলো
 ইংরেজিতে দক্ষতা এবং কিছু স্ট্র্যাটিজি
 Teaching: শেখা ও শেখানো, দেয়া ও নেয়া
 ইউএস ভিসা পাওয়া না পাওয়া এবং হায়ার স্টাডির কিছু পয়েন্ট
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ১)
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ২)
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ৩)
 জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ৪)
 আমার অভিজ্ঞতা: জিআরই প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা
 আমার অভিজ্ঞতা: টোফেল প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা
 আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা এবং দরকারি কৌশল