GRE:
Date, time and Venue: 11 November 2015, 09.00 a.m., AAA
Score: 324 (V: 158, Q: 166)
আণ্ডারগ্রেডে থাকতেই একটু নাড়াচাড়া শুরু করেছিলাম, জিআরই কী এবং কেন বোঝার জন্য। ভোকাবুলারির জন্য বড় ভাইয়ের ইউজ করা ব্যারনের পুরনো বইয়ের পঞ্চাশটা ওয়ার্ড লিস্ট (৩৫০০ ওয়ার্ড) ভালমতো পড়েছি, কয়েকবার। লেভেল – ৪ এ থাকতে কয়েকটা বই ক্যাজুয়ালি একটু একটু করে পড়তে পড়তে শেষ হয়ে গেছিল। মূল থ্রাস্টটা সম্ভবত দিয়েছি শেষ দু’মাসে, অর্থাৎ বিএসসি এর রেজাল্টের পরপর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত।
যা যা পড়েছি:
- ETS Official Guide
- Barron’s New GRE (19th Ed.)
- Princeton – 1007 GRE Practice Questions
- Princeton – Cracking the GRE (2nd Ed.)
- Kaplan – New GRE Premier (2011-2012)
- Aristotle Prep – Verbal Grail
- ETS Big Book (Old) – solved 15 Verbal Model Question sets out of 27 (for Text Completion and Reading Comprehension)
- Magoosh GRE E-book (About 100 pages only!)
- ETS – Quantitative Reasoning Part 1 (Practice Questions)
- ETS – Verbal Reasoning Part 1 (Practice Questions)
- Manhattan 5 lb book of GRE Practice Problems – Solved several chapters for quantitative and the chapters on diagnostic test and sentence equivalence for verbal
Analytical Writing:
- Arco – Answers to the real essay questions
- GRE Writing of Kaplan
- Washington Post (Online Newspaper) – mostly articles on political issues
Vocabulary:
- Barron’s 3500 words
- Painless GRE (Android App)
এই লিস্টের বেশীরভাগ বইতেই ভার্বাল এবং কোয়ান্ট দুটো সেকশনই আছে। তবে ভার্বাল গ্রেইল শুধু ভার্বালের জন্য। আরও অনেক বই (যেমন গ্রুবার, LSAT for Dummies, কাপলান ম্যাথ ওয়ার্কবুক, নোভা ম্যাথ) ইত্যাদি লিস্টে ছিল, পড়া হয়ে উঠলো না। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নাকি ভোক্যাবিউলারির ভালো প্র্যাকটিস করা যায়, সেগুলোও করি নি।
১. ETS এর অফিসিয়াল গাইডের প্রশ্নগুলো রিয়েল জিআরই এর মত (ডিফিকাল্টিতে হয়তো না, কিন্তু একই “টোনের”)। সম্পূর্ণ জিআরই ইস্যু এবং আর্গুমেন্ট পুল পড়া থাকলে অ্যানালিটিক্যালে কমন পড়বে।
২. কাপলানের বইটা শুরু করেছিলাম বলে শেষ করেছি, কিন্তু খুব সুবিধার ঠেকে নি। হয়তো বইটা আসলেই খুব সুবিধার না, অথবা আমি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারিনি।
৩. অ্যানালিটিক্যাল রাইটিংয়ের জন্য যে বই দুটোর নাম লিখেছি, দুটো মনে হয় একই, পিডিএফ এর নাম দুটো শুধু আলাদা! যা হোক, সম্পূর্ণ পড়লে জিআরই এর পুরো পুল (ইস্যু এবং আর্গুমেন্ট) কাভার হয়ে যায়।
জিআরই প্রিপারেশনের ইন্টেন্সিটি নিয়ে নানান কিংবদন্তী চালু আছে। কিন্তু আমি জানতাম যে প্রতিদিন আঠারো-বিশ ঘণ্টা করে পড়ে দশদিনে প্রিপারেশন নেয়া আমার কম্ম নয়, কাজেই যাতে জিআরই একটা কষ্টকর বিষয় হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য একটা খুব সিম্পল আর আরামদায়ক শিডিউল ফলো করতাম – যেন জিআরই পড়া হয়, আবার অন্য কাজকর্মও ঠিকঠাক চলে। জিআরই পড়তে পড়তে মাস্টার্সের ক্লাস, সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়াদৌড়ি, অন্যান্য বিষয় ইত্যাদি ঠিকমতোই করতে পেরেছি (তবে সম্ভবত ন’টা-পাঁচটা জব থাকলে পারতাম না), কোন রাতের ঘুমও বাদ দিতে হয় নি। প্রতিদিন নিয়মিত ছয় ঘণ্টা করে পড়লে তিন মাসে প্রচুর ম্যাটেরিয়াল কাভার করা যায়।
চেষ্টা করতাম যাতে প্রতিদিন সবগুলো সেকশন একটু একটু করে টাচ করা হয়, যেন যেকোনো সময় পরীক্ষা দিতে বসে যেতে পারি। প্রতিদিনই মোটামুটি যা যা একবার করে পড়ার চেষ্টা করতাম (শেষের মোটামুটি এক মাস এই জিনিসটা ভালমতো ফলো করতে পেরেছি):
- Painless GRE – 1 session of vocabulary (takes around 10 minutes)
- Arco/Kaplan writing – 1 issue, 1 argument
- 1 article from Washington Post
- 10 questions from Manhattan 5 lb (Chapter on Sentence Equivalence)
- GRE Big Book – 1 Model Question (Text Completion and Reading Comprehension)
- Manhattan 5 lb – 1 Chapter (Quant)
এই ছ’টা ধাপে জিআরই এর সবগুলো সেকশনই একবার করে কাভার হয়ে যায় – আর সময়ও খুব বেশী দিতে হয় না। তবে প্রতিদিন সময় দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ – কারণ একটু বড় গ্যাপ পড়লে পারফর্মেন্সের উল্লেখযোগ্য অবনতি দেখা যায়! অর্থাৎ, বড় সময় নিয়ে অল্প অল্প করে পড়ে (যত বেশী সম্ভব প্র্যাকটিস করে) এগোনোটা আরামদায়ক এবং ইফেক্টিভ। এবং, এটা বুয়েটের টার্ম ফাইনালের মত বেশী বেশী তথ্য মাথায় রাখতে পারার মত নয় – বরং নিয়মিত প্র্যাকটিস করে সবকিছু আয়ত্তে রাখার মত ব্যাপার।
আমি ফুল লেংথ পরীক্ষা দিয়েছি চারটা। বেশ আগে দিয়েছিলাম পাওয়ারপ্রেপের দুটো, এবং আসল জিআরই এর আগে আগে আরও দুটো। স্কোর এসেছে এমনঃ
- Powerprep I – 314 (V:150, Q:164)
- Powerprep II – 311 (V:150, Q:161)
- Manhattan (free from website) – 318 (V:158, Q:160)
- Barron (from CD) – 316 (V:156, Q:160)
আরেকটা বিষয় – বেশ কয়েকটা ভালো ম্যাটেরিয়াল আমি কাভার করি নি, যেমন মাগুশের ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ম্যানহাটনের ১-৮ বইগুলো। সম্ভবত এগুলো বেশ ভালো ম্যাটেরিয়াল, এবং হায়ার স্কোর করার জন্য উপকারে আসে। এগুলো যারা পড়েছে তারা ভালো বলতে পারবে। আর 5 lb বইটাও পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি (ম্যাথে যেগুলো ঝামেলার আর আমার দুর্বলতার, সেগুলোকে প্রায়োরিটি দিয়ে আগে শেষ করেছি), হয়তো সময় আরও থাকলে আস্তে আস্তে শেষ করে ফেলতাম।
আমার মনে হয় তিন-চার মাস নিয়মিত, প্রতিদিন মোটামুটি করে সময় দিলে একজন গড়পড়তা স্টুডেন্ট ভালো স্কোর করতে পারবে। তবে ঝোঁকের মাথায় দশ-পনেরো দিনের প্রিপারেশনে পরীক্ষা দিতে বসে গেলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা আছে – রিপিট করতে হতে পারে। কম বা আধাখাপচা প্রিপারেশনে পরীক্ষা দিয়ে ভালো স্কোর হলে সবাই ভাবতে পারে যে কম প্রিপারেশনই ভালো। আবার খারাপ হলে দোষটা পড়বে কম প্রিপারেশনের ওপরেই। কাজেই ভালমতো প্রিপারেশন নিয়ে, “আবার দেয়ার তো সুযোগ আছে” – এমনটা না ভেবে একবার ভালমতো দেয়াই ভালো।
আরেকটা কথা, এটা শুনতে আমার ভালো লাগে নি কিন্তু বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি –জিআরই পরীক্ষাটা এমন যে শুধু চর্চা না, ব্যাকগ্রাউন্ডও লাগে। আমার চর্চার লেভেল আর ব্যাকগ্রাউন্ড, বেসিক ইত্যাদি থেকে আমি একটা ধারণা করতে পেরেছিলাম যে আমার কিছু লিমিটেশন আছে – অর্থাৎ আমার স্কোরের একটা হায়ার লিমিট আছে, যেটা চর্চা করেও ছাড়িয়ে যাওয়াটা কঠিন হবে। হিসেব করে চর্চা করলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে কোন সন্দেহ নেই, তবে অসম্ভব কিছু ঘটে যাবার সম্ভাবনা কম বলেই মনে হয়। কাজেই রিজনেবল স্কোর প্রেডিকশন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বইগুলো সলভ করতে করতে, প্র্যাকটিস করতে করতে আর টেস্ট দিতে দিতে সবারই নিজের সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা হয় – এটা প্রিপারেশনের একটা উল্লেখযোগ্য দিক। আমি আমার এক্সপেক্টেশনের মতই স্কোর করতে পেরেছি।
আগের রাতে ঘণ্টা সাতেক ঘুমিয়েছি। দু’ঘণ্টা সময় নিয়ে বের হয়েছিলাম বাসা থেকে, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পৌঁছে গেছি। ট্রিপল এ খুঁজে বার করলাম, পাসপোর্ট আর টিকেট কনফার্মেশন দেখিয়ে, ফ্রেশ হয়ে, কনফিডেনশিয়ালিটি এগ্রিমেন্টে সাইন করে, সিকিউরিটি চেক করে ঢুকে গেলাম। ওদের মনিটর অনেক বড়, এবং একেকজন একেকটা কিউবিকলে বসে। স্ক্র্যাচ পেপার দিয়েছিল তিনটা (একেকটা চার পেজ করে), পেন্সিল দুটো। আমার সবগুলো পেপার লাগে নি সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করেও। মোট পরীক্ষার্থী থাকে এক সেশনে পনেরো জনের মত। বুয়েটের আরও তিন-চারজনকে দেখেছি (মেকা, সিভিল, বড় ভাই ইত্যাদি)। কোন প্রবলেম থাকলে হাত উঁচু করতে হয়, দাঁড়ানো যায় না বা পেছনে ঘোরা যায় না। স্টাফ যারা থাকে তারা কারো স্ক্রিনে তাকাতে পারে না, হাত উঁচু করলেই এসে সাহায্য করে, খুবই নিচু স্বরে কথা বলে এবং উটকো ডিস্টার্ব করে না। পাওয়ার ফেইলিউর হবে না, এবং টেকনিক্যাল সমস্যা হলে সেটা সলভ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন স্টাফরা।
অ্যানালিটিক্যালে বিকট আওয়াজে টাইপ করতে শুরু করলাম অন্য সবার মতই (সবাই জানপ্রাণ দিয়ে টাইপ করছিল, তাই এক ঘণ্টার জন্য রুমটা খটখট আওয়াজে ভরে গেলো)। আমি তখনো হেডফোন কানে লাগাই নি, কিন্তু খেয়াল করলাম যে এক ঘণ্টা ওভাবে কাজ করার পরও মনোযোগে কোন সমস্যা হয় নি। স্টেইক যখন খুবই হাই থাকে, তখন মানুষ আশেপাশের সবকিছু উপেক্ষা করতে পারে। আমি লেফটি বলে সম্ভবত বাঁ পাশের শিফট কী ইউজ করি, কিন্তু এই কীবোর্ড গুলোর লেফট শিফট কী আকারে ছোট, আর ঠিক সাথেই একটা স্ল্যাশ কী ছিল বলে ওটাতে চাপ পড়ছিল। যা হোক, কয়েক মিনিটেই অবশ্য রাইট শিফট কী ইউজ করতে অভ্যাস হয়ে গেলো (ক্যাপিটাল লেটার খুব বেশী অবশ্য লাগেও না!)।
অ্যানালিটিক্যালের পর ভার্বাল এলো একটা, এবং বুঝলাম ভার্বাল তিনটা আসবে। একটা একটা করে দুটো সেকশন শেষ হল। ব্রেকে গিয়ে ফ্রেশ হলাম, আবারো সিকিউরিটি চেক করে ঢুকলাম, তিনটা সেকশন শেষ করলাম, চারটা ইউনিভার্সিটিতে স্কোর পাঠালাম, তারপর আমাকে বের করে দেয়া হল (!)।
এবার কয়েকটা পয়েন্ট বলি। শেষ সেকশনে একটু মাথা ঝিমঝিম করেছে। প্রশ্নের ডিফিকাল্টির জন্য, নাকি আমার ক্লান্তির জন্য জানি না। তবে এজন্য চিন্তা করতে সমস্যা হয় নি। ভার্বাল এবং কোয়ান্টের পাঁচটা সেকশন হেডফোন কানে লাগিয়ে রেখেছিলাম, যদিও তখন পুরো হলই ছিল নিশ্চুপ (ইন্টারেস্টিং, যখন ইউজ করার কথা তখন ইউজ করি নি, আর যখন না করলেও চলে তখন করেছি!)। শেষের সেকশনে বোধহয় পরের সেশনের কয়েকজন ঢুকেছে, কিন্তু আমি টের পাই নি। যা হোক, এজন্য ডিস্টার্ব হয় নি।
মাঝের দশ মিনিটে আমি ফ্রেশ হতে গিয়েছি, এবং সামান্য পানি খেয়েছি। সারাদিন কিছু না খেয়ে, এবং ফ্রেশ না হয়ে থাকার অভ্যাস আছে, কাজেই খাওয়াদাওয়ার ঝামেলায় যাই নি। আমি খেয়াল করেছি যে মাঝখানের ব্রেকে যদি এমন কিছু করা হয় যে একটু হলেও মনোযোগ দেয়া লাগে (যেমন খাওয়াদাওয়া, কারো সাথে খেজুরে আলাপ, ইন্টারনেট ইউজ করা ইত্যাদি), তাহলে পরের সেকশনগুলোতে একটু মনোযোগের ঘাটতি হয়, বা “পেইস আপ” করতে একটু অসুবিধা হয়।
AAA তে একটা ব্যাপার, পরীক্ষা দিতে ঢোকার আগে ব্যাগ রেখে দিতে হয় এবং সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ হবার আগ পর্যন্ত ব্যাগ টাচ করা যায় না, মাঝের দশ মিনিটের ব্রেকেও না। খাবার থাকলে বোধহয় বের করে স্টাফদের জমা দিতে হয়, ব্রেকে এসে উনাদের কাছ থেকে নিয়ে খেতে হয়। পানির ব্যবস্থা আছে, ওখান থেকেই খেয়েছি। অন্য ভেন্যু গুলোতে কেমন সিস্টেম জানি না।
ডিফিকাল্টির ব্যাপারে বলতে পারি, ওভারঅল সবগুলো সেকশনই বেশ সোজা লেগেছে। সত্যি বলতে, ভার্বালের কোন সেকশনটা যে এক্সপেরিমেন্টাল, বুঝতে পারি নি – তিনটাই একই রকম লেগেছে। বিগ বুক সলভ করতে করতে বিশাল আকারের প্যাসেজ দ্রুত পড়ার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল – এটা কাজে দিয়েছে – কারণ রিয়েল জিআরইতে সবগুলো প্যাসেজ বেশ ছোট এসেছে – প্রশ্ন দুটো, তিনটা অথবা চারটা করে থাকে একেকটা প্যাসেজের আণ্ডারে, এবং খুব একটা জটিল নয়। যেমনটা ভেবেছিলাম, তেমনটাই এসেছে – অর্থাৎ আর্ট, সায়েন্স সবই কিছু না কিছু পেয়েছি। আমার ধারণা আমার ভুলগুলো বেশীরভাগ হয়েছে টেক্সট কমপ্লেশনে। তবে একটা কথা বলতে পারি, যদি ভোকাবুলারি মোটামুটি ভালো থাকে, তাহলে একটা শব্দের অর্থ না জানার জন্য কারো কোন প্রশ্নে ঠেকে যেতে হবে না – যদি ঠেকতে হয় তাহলে টেক্সট কমপ্লেশনের সেন্টেন্স স্ট্রাকচারের কনভলিউশনের জন্য। টাইমের সমস্যায় পড়তে হয় নি।
কোয়ান্ট ছিল দুটো (আমি শুনেছিলাম যে কোয়ান্টের তিনটা সেকশন এলে একটু সমস্যা হয়, কারণ জানি না)। এই দুটো সেকশনেও মোটামুটি সহজ প্রশ্ন এসেছে, কয়েকটা চোখে দেখেই অ্যান্সার করে দেয়া যায়, কয়েকটা ত্রিশ সেকেন্ডেই। তবে কয়েকটা বেশ সময়সাপেক্ষ ছিল (খুব কঠিন নয়, তবে বড়) – তিন মিনিটের মত লেগে গেছিল ক্যালকুলেশন করতে, কারণ বেশ কয়েকটা স্টেজ ছিল। ডাটা ইন্টারপ্রিটেশনে হয়তো দুটো তিনটা প্রশ্ন বেশ কঠিন লাগতে পারে – এবং আমি স্বীকার করছি যে ভার্বাল এবং কোয়ান্টে দু’তিনটা প্রশ্নে আমাকে“এডুকেটেড গেস” করতে হয়েছে। টাইমের সমস্যা এখানেও হয় নি।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে প্র্যাকটিস ম্যাটেরিয়াল এবং ফুল লেংথের ডিফিকাল্টির চেয়ে রিয়েল জিআরই এর ডিফিকাল্টি খানিকটা কম ছিল (খানিকটা কম বলছি, যাতে আবার অনেকে“পানির মত” ধরে না বসে!)।
শেষ হবার সাথে সাথে একজন স্টাফ এলেন, এবং বলে দিলেন কীভাবে স্কোর পাঠাতে হবে।স্টেট দিয়ে সার্চ করলেই (ইউএসএ এর জন্য) ইউনিভার্সিটির লিস্ট চলে আসে, সেখান থেকে ইউনিভার্সিটি আর ডিপার্টমেন্ট সিলেক্ট করে দিতে হয়। পাঠানোর পর সব ফিনিশ করে বেরিয়ে আসতে হয়, বিল্ডিংয়ের ভেতরে আর থাকতে দেয়া হয় না বা কারো সাথে কথা বলতে দেয়া হয় না। আটটার দিকে ঢুকেছিলাম, ন’টার দিকে এক্সাম শুরু হয়েছিল, যখন বেরিয়েছি তখন প্রায় একটা বাজে।
আমি এটা বলতে পারি যে জিআরই নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, এবং অভিজ্ঞতাটা ছিল দারুণ।এটা একটা পরীক্ষা মাত্র, অন্য কিছু নয়, এবং এতে ভালো করা খুবই সম্ভব। পরীক্ষার সময় শুধু পুরো মনোযোগ রাখতে হবে অ্যান্সার করার ওপর – ভালো হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে, ঠিক হচ্ছে না ভুল হচ্ছে, স্কোর কমে যাচ্ছে না বেড়ে যাচ্ছে এসব চিন্তা মাথার বাইরে রাখতে হবে। রিল্যাক্সড থাকতে হবে, সময়টা ওয়াইজলি ব্যবহার করতে হবে, মনোযোগ সর্বোচ্চ মাত্রায় রাখতে হবে। এবং ভালো কিছু আশা করার পাশাপাশি সম্ভাব্য খারাপ কিছুর জন্যও তৈরি থাকতে হবে। তাহলেই আর কারো সমস্যা হবার কথা নয়।
মোটামুটি এই হল আমার অভিজ্ঞতা। It was one hell of an experience. আমি আমার স্কোরে সন্তুষ্ট, যদিও আরও ভালো করার স্কোপ ছিল। ১৪ তারিখ টোফেল, সেজন্য সবার দোয়াপ্রার্থী। আশা করি সেই অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে পারবো।
সবার পরীক্ষা ভালো হোক। ধন্যবাদ।
– ইসহাক খান, প্রাক্তন গ্রেক ফ্যাকাল্টি
নিচের লিংক থেকে ইসহাক খানের লেখা অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন-
☑ স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ১ – Vocabulary
☑ স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ২ – Analytical Writing
☑ স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ৩ – Reading Comprehension
☑ স্টুডেন্টদের সাধারণ দুর্বলতা – পার্ট ৪ – Speaking (TOEFL)
☑ Originality of writing: এসওপি, এলওআর, ইমেইলিং প্রফেসরস, সিভি ও রেজুমে (১ম খণ্ড)
☑ Originality of writing: এসওপি, এলওআর, ইমেইলিং প্রফেসরস, সিভি ও রেজুমে (২য় খণ্ড)
☑ Customized Routine: নিয়মিত ফলো করা (১ম খণ্ড)
☑ Customized Routine: নিয়মিত ফলো করা (২য় খণ্ড)
☑ আমার জন্য সঠিক রাস্তা কোনটা: বিদেশ, জিআরই, স্বদেশ, বিসিএস, চাকরি?
☑ রেকমেন্ডেশন বিড়ম্বনা!
☑ Research: রিসার্চ বা গবেষণা
☑ ইউএস অ্যাম্বেসির ভেতরের পরিবেশ এবং স্টেপগুলো
☑ ইংরেজিতে দক্ষতা এবং কিছু স্ট্র্যাটিজি
☑ Teaching: শেখা ও শেখানো, দেয়া ও নেয়া
☑ ইউএস ভিসা পাওয়া না পাওয়া এবং হায়ার স্টাডির কিছু পয়েন্ট
☑ জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ১)
☑ জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ২)
☑ জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ৩)
☑ জিআরই এবং টোফেল: হায়ারস্টাডির প্রস্তুতি হোক স্ট্র্যাটিজিক্যালি (পার্ট- ৪)
☑ আমার অভিজ্ঞতা: জিআরই প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা
☑ আমার অভিজ্ঞতা: টোফেল প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা
☑ আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা এবং দরকারি কৌশল